০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাকৃবিতে ৬ দফা দাবিতে দাবিতে মানববন্ধন

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কর্তৃক বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগে নতুন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় অপেক্ষমান নন-ক্যাডার প্রার্থীরা। মানববন্ধনে চাকুরী প্রার্থীরা নতুন নিয়মকে অযৌক্তিক বলে পিএসসির সমালোচনা করে ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রসাশনিক ভবন সংলগ্ন আমতলার সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এই মানববন্ধনে বাকৃবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আনন্দমোহন কলেজের শতাধিক চাকুরী প্রত্যাশী অংশ নেন। অবিলম্বে ছয় দফা দাবি মেনে নিতে তাঁরা পিএসসির প্রতি আহবা ন জানিয়েছেন।

প্রার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো, বিজ্ঞপ্তির পরে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখ অনুযায়ী নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদসংখ্যা নির্ধারণের বেকার বিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল, ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে দেওয়ার অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল, করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা, যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই একই প্রক্রিয়ায় বর্তমানে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান, ‘যার যা প্রাপ্য, তাকে তা-ই দেওয়া হবে’ পিএসসির এমন বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও বেকারত্ব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করে বেকার বান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং গত এক যুগে পিএসসি যে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল, সেই ধারা অব্যাহত রাখা।

সুপারিশের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা বলছেন, নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিটি বিসিএসে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হতো এবং পরের বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে যত চাহিদা আসে, সেই অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হতো। কিন্তু ৪০ তম বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগ দেওয়ার আগেই ৪১,৪৩ ও ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির তারিখ অনুযায়ী শূন্য পদ আলাদা করার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে পিএসসি। এমনকি বিজ্ঞপ্তি না হলেও ৪৫ তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের পদের চাহিদা চাওয়া হয়েছে। পিএসসির এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ৪০ তম এবং পরবর্তী ৪১,৪৩ ও ৪৪ তম বিসিএসের নন-ক্যাডার প্রার্থীদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসবে। এই চার বিসিএসের ৩০-৩৫ হাজার প্রার্থীকে তখন শূন্য হাতে ফিরতে হবে।

অন্দোলনকারীরা আরও বলেন, পিএসসির এমন সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য অমানবিক, এমনটা আমরা কখনোই প্রত্যাশা করি না। বর্তমান সরকারের সময় বিসিএসকে বেকারবান্ধব করে মানুষের আস্থার জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই পিএসসি এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

 

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

বাকৃবিতে ৬ দফা দাবিতে দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত : ০৫:০৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কর্তৃক বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগে নতুন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় অপেক্ষমান নন-ক্যাডার প্রার্থীরা। মানববন্ধনে চাকুরী প্রার্থীরা নতুন নিয়মকে অযৌক্তিক বলে পিএসসির সমালোচনা করে ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রসাশনিক ভবন সংলগ্ন আমতলার সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এই মানববন্ধনে বাকৃবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আনন্দমোহন কলেজের শতাধিক চাকুরী প্রত্যাশী অংশ নেন। অবিলম্বে ছয় দফা দাবি মেনে নিতে তাঁরা পিএসসির প্রতি আহবা ন জানিয়েছেন।

প্রার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো, বিজ্ঞপ্তির পরে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখ অনুযায়ী নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদসংখ্যা নির্ধারণের বেকার বিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল, ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে দেওয়ার অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল, করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা, যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই একই প্রক্রিয়ায় বর্তমানে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান, ‘যার যা প্রাপ্য, তাকে তা-ই দেওয়া হবে’ পিএসসির এমন বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও বেকারত্ব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করে বেকার বান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং গত এক যুগে পিএসসি যে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল, সেই ধারা অব্যাহত রাখা।

সুপারিশের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা বলছেন, নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিটি বিসিএসে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হতো এবং পরের বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে যত চাহিদা আসে, সেই অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হতো। কিন্তু ৪০ তম বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগ দেওয়ার আগেই ৪১,৪৩ ও ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির তারিখ অনুযায়ী শূন্য পদ আলাদা করার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে পিএসসি। এমনকি বিজ্ঞপ্তি না হলেও ৪৫ তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের পদের চাহিদা চাওয়া হয়েছে। পিএসসির এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ৪০ তম এবং পরবর্তী ৪১,৪৩ ও ৪৪ তম বিসিএসের নন-ক্যাডার প্রার্থীদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসবে। এই চার বিসিএসের ৩০-৩৫ হাজার প্রার্থীকে তখন শূন্য হাতে ফিরতে হবে।

অন্দোলনকারীরা আরও বলেন, পিএসসির এমন সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য অমানবিক, এমনটা আমরা কখনোই প্রত্যাশা করি না। বর্তমান সরকারের সময় বিসিএসকে বেকারবান্ধব করে মানুষের আস্থার জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই পিএসসি এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব