১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৪ রানে হারল বাংলাদেশ

টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০১ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। বাংলাদেশের সামনে ২০৬ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তুলে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তে মাত্র ৪৭ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে বাংলাদেশ।

২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন দুই ওপেনার সৌম্য সরাকার আর নাজমুল হোসেন শান্ত। কাগিসো রাবাদার প্রথম ওভারে থেকেই দুই টাইগার ওপেনার তুলে নেয় ১৭ রান।

দ্বিতীয় ওভারে এসে কিছুটা ক্ষান্ত দিয়ে দুই ওপেনার তুলেছেন ৯ রান। শুরুর ২ ওভার থেকেই এসেছে ২৬ রান। ২০৬ রানের টার্গেটে হয়তো প্রয়োজনও ছিলো এমন শুরুর।

তবে বিপত্তির শুরু এরপর থেকেই। এনরিখ নর্টজের করা তৃতীয় ওভারে একসঙ্গেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনারই। ওভারের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সৌম্য। ২ ছক্কায় ৬ বলে ১৫ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। ওভারের চতুর্থ বলে ১৪৮ কি.মি. গতিতে ভেঙে যায় আরেক ওপেনার শান্তর স্ট্যাম্প। বরাবরের মতোই ভালো শুরুর পর একসঙ্গে সাজঘরে ফেরেন টাইগারদের দুই ওপেনার।

এরপর দলীয় ৩৯ রানে ৪ বলে মাত্র ১ রান করে আউত হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সাকিবের বিদায়ের পরপরই আউট হন আফিফ হোসেন। ৫ বলে ১ রান করে রাবাদার বলে পার্নেলকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরন তিনি। অন্যপান্তে লিটন দাস টিকে থাকলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। দলীয় ৬৬ রানে আউত হন একাদশে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। মেহেদীর আউটের পর রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরতে হয় মোসাদ্দেক সৈকতকে। কেশভ মহারাজের বলে উইকেট ছেড়ে বেড়িয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন এই অলরাউন্ডার।

এরপর উইকেট বিলানোর মিছিলে যোগ দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার নূরুল হাসান সোহান। সামসিকে স্লগ সুইপে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কায়ার লেগে থাকা নর্থজের হাতে ধরা পরেন। দলীয় ৭৬ রানে ৬ বলে ২ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু তখনই আউট হন অন্যপান্তে টিকে থাকা লিটন দাস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেরন তিনি।

ততোক্ষণ ৮৫ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে নেই কোন স্বীকৃত ব্যাটার। এর মাঝে রান আউটের শিকার হন পেসার হাসান মাহমুদ। ২ বলে খেলে রানের খাতা না খুলেই ফিরে যেতে হয় তাকে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৪ রানে হারল বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১২:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০১ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। বাংলাদেশের সামনে ২০৬ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তুলে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তে মাত্র ৪৭ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে বাংলাদেশ।

২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন দুই ওপেনার সৌম্য সরাকার আর নাজমুল হোসেন শান্ত। কাগিসো রাবাদার প্রথম ওভারে থেকেই দুই টাইগার ওপেনার তুলে নেয় ১৭ রান।

দ্বিতীয় ওভারে এসে কিছুটা ক্ষান্ত দিয়ে দুই ওপেনার তুলেছেন ৯ রান। শুরুর ২ ওভার থেকেই এসেছে ২৬ রান। ২০৬ রানের টার্গেটে হয়তো প্রয়োজনও ছিলো এমন শুরুর।

তবে বিপত্তির শুরু এরপর থেকেই। এনরিখ নর্টজের করা তৃতীয় ওভারে একসঙ্গেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনারই। ওভারের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সৌম্য। ২ ছক্কায় ৬ বলে ১৫ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। ওভারের চতুর্থ বলে ১৪৮ কি.মি. গতিতে ভেঙে যায় আরেক ওপেনার শান্তর স্ট্যাম্প। বরাবরের মতোই ভালো শুরুর পর একসঙ্গে সাজঘরে ফেরেন টাইগারদের দুই ওপেনার।

এরপর দলীয় ৩৯ রানে ৪ বলে মাত্র ১ রান করে আউত হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সাকিবের বিদায়ের পরপরই আউট হন আফিফ হোসেন। ৫ বলে ১ রান করে রাবাদার বলে পার্নেলকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরন তিনি। অন্যপান্তে লিটন দাস টিকে থাকলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। দলীয় ৬৬ রানে আউত হন একাদশে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। মেহেদীর আউটের পর রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরতে হয় মোসাদ্দেক সৈকতকে। কেশভ মহারাজের বলে উইকেট ছেড়ে বেড়িয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন এই অলরাউন্ডার।

এরপর উইকেট বিলানোর মিছিলে যোগ দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার নূরুল হাসান সোহান। সামসিকে স্লগ সুইপে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কায়ার লেগে থাকা নর্থজের হাতে ধরা পরেন। দলীয় ৭৬ রানে ৬ বলে ২ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু তখনই আউট হন অন্যপান্তে টিকে থাকা লিটন দাস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেরন তিনি।

ততোক্ষণ ৮৫ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে নেই কোন স্বীকৃত ব্যাটার। এর মাঝে রান আউটের শিকার হন পেসার হাসান মাহমুদ। ২ বলে খেলে রানের খাতা না খুলেই ফিরে যেতে হয় তাকে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব