নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দুরে সর্বরামপুর গ্রামের পাশ তিয়ে বয়ে গেছে রতনডারি খাল। ২০১৫সালে খালটিতে সেতু নির্মানের উদ্যোগ নেই উপজেলা পরিষদ। কাজ শুরু হয় পুরোদমে। এরপর শুধু দুটি পিলার নির্মাণ করেই কাজ থেমে আছে। দীর্ঘ ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুর বাকি কাজ আর হয়নি। অর্থের অভাবে কাজ বন্ধের কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী। সেতু না হওয়ায় সর্বরামপুর,ভবানিপুর,ডাঙ্গাপাড়া, এনায়েতপুর, উত্তরডাঙ্গাপাড়াসহ দুটি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের মানুষের পারাপারের দুর্ভোগ শেষ হয়নি।
রাণীনগর উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের শুরুর দিকে স্থানীয়দের কৃষিজমিতে সেচব্যবস্থা ও খালের পানিপ্রবাহ সচল রাখতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উদ্যোগে কুজাইল ¯øুইসগেট থেকে হাতিপুল হয়ে রক্তদহ বিল পর্যন্ত খাল খনন করা হয়।
এলাকাবাসির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাণীনগর উপজেলা পরিষদের রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে ২০১৫ সালে ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দে রতনডালি খালের ওপর সেতু নির্মানের জন্য একটি দরপত্র আহবান করা হয়। পরে গোলাম কিবরিয়া নামের ঠিবাদার নির্মাণকাজের দায়িত ¡পান। সেই মোতাবেক শুষ্ক মৌসুমে ওই খালের দুই পাড়ে দুটি পিলার নির্মানের পর কাজটি বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান, রাশেদুজ্জামান, কুষক তোফাজ্জল, মজিদ, খালেকসহ অনেকেই জানান, বর্ষা মৌসুমে খাল পেরিয়ে ফসল ঘরে আনতে গেলে পানিতে ভিজে যায়। সব সময় নৌকা পাওয়া যায়না।
সর্বরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গুলনাহার খানম বলেন, বর্ষা মৌসুমে ছোট ছেলেমেয়েদের খাল পার হয়ে স্কুলে যেতে বেশি সমস্যা হয়। সব সময় নৌকা পাওয়া যায় না। ফলে অনেক শিশু স্কুলে আসতেও পারে না।
রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি ) ইসমাইল হোসেন বলেন, অর্থের অভাবে কাজটি পিছিয়ে পড়ে আছে।এটি মূলত উপজেলা পরিষদের কাজ।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলু বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ করতে প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। পরিষদের তহবিলে এই পরিমাণ টাকা না থাকায় পুনরায় কাজে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। চলতি বছরে কিছু বরাদ্দ হবে। তবে তা সেতু নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব