০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জে তাঁতশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করায় ভূমিকা নিলেন ডিসি-ইউএনও

ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজকাল তাঁতশিল্প নেই বললেই চলে। বিভিন্ন কারণে হবিগঞ্জ জেলায়ও আগের মতো তাঁতশিল্পের বিচরণ নেই। দিনকে দিন সুতা, রং ও রাসায়নিক দ্রব্যাদির দাম বৃদ্ধি এবং তাঁতের বস্ত্র বাজারজাত করে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছিল এ শিল্পটি। এ শিল্পের ক্রান্তিকালে তাঁতীদের পাশে দাঁড়ালেন, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ও বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা।

এ শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করায় বিশেষ ভূমিকা নিলেন তারা। হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার কালিগজিয়ায় বসবাসরত তাঁতীদের আর্থিক অনুদান, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অত্যাধুনকি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে তাঁত বুনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের জঙ্গলে বসবাস করেন প্রায় তিন শতাধিক ত্রিপুরা আদিবাসী।

আর্থিক অনুদান ও তদারকির কারণে ওই এলাকার তাঁতীরা এখন চাদর, পিনন, হাদি, লেহেঙ্গা, গঙ্গা যমুনা শাড়ী ও উড়না সহ হরেকরকম কাপড় তৈরি করছেন। এসব বাজারজাত করে সাবলম্বী হওয়া এখন সময়ের দাবী। তবে তাঁতের তৈরি কাপড়গুলো বাজারজাত করণে অনলাইন মাধ্যম ফেসবুক পেইজ, গ্রæপ, বøগ, ইউটিউব বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁতবোনা সমবায় সমিতির সভাপতি স্বপ্না বর্মা ও সম্পাদক শিল্পী বর্মা জানান, তাঁতীদের সুষ্ঠু সংগঠন, মূলধনের অভাব, উপকরণ সহজলভ্য না হওয়া, প্রযুক্তির অনুপস্থিতি, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার অভাব, উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বিপণন এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে অনেকে এ পেশা বদলে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসক ও ইউএনও’র আন্তরিকতা এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় তাঁতীরা এখন সাচ্ছন্দ্যে কাজ করছে।

বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা জানান, জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের নির্দেশনায় তাঁতীদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পরে তাঁত বুনতে কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করাসহ তদারকির মাধ্যমে তাদের সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহŸান জানান তিনি। তিনি আরো জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁতীদের এমন সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

হবিগঞ্জে তাঁতশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করায় ভূমিকা নিলেন ডিসি-ইউএনও

প্রকাশিত : ০৩:৫২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজকাল তাঁতশিল্প নেই বললেই চলে। বিভিন্ন কারণে হবিগঞ্জ জেলায়ও আগের মতো তাঁতশিল্পের বিচরণ নেই। দিনকে দিন সুতা, রং ও রাসায়নিক দ্রব্যাদির দাম বৃদ্ধি এবং তাঁতের বস্ত্র বাজারজাত করে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছিল এ শিল্পটি। এ শিল্পের ক্রান্তিকালে তাঁতীদের পাশে দাঁড়ালেন, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ও বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা।

এ শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করায় বিশেষ ভূমিকা নিলেন তারা। হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার কালিগজিয়ায় বসবাসরত তাঁতীদের আর্থিক অনুদান, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অত্যাধুনকি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে তাঁত বুনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের জঙ্গলে বসবাস করেন প্রায় তিন শতাধিক ত্রিপুরা আদিবাসী।

আর্থিক অনুদান ও তদারকির কারণে ওই এলাকার তাঁতীরা এখন চাদর, পিনন, হাদি, লেহেঙ্গা, গঙ্গা যমুনা শাড়ী ও উড়না সহ হরেকরকম কাপড় তৈরি করছেন। এসব বাজারজাত করে সাবলম্বী হওয়া এখন সময়ের দাবী। তবে তাঁতের তৈরি কাপড়গুলো বাজারজাত করণে অনলাইন মাধ্যম ফেসবুক পেইজ, গ্রæপ, বøগ, ইউটিউব বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁতবোনা সমবায় সমিতির সভাপতি স্বপ্না বর্মা ও সম্পাদক শিল্পী বর্মা জানান, তাঁতীদের সুষ্ঠু সংগঠন, মূলধনের অভাব, উপকরণ সহজলভ্য না হওয়া, প্রযুক্তির অনুপস্থিতি, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার অভাব, উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বিপণন এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে অনেকে এ পেশা বদলে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসক ও ইউএনও’র আন্তরিকতা এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় তাঁতীরা এখন সাচ্ছন্দ্যে কাজ করছে।

বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা জানান, জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের নির্দেশনায় তাঁতীদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পরে তাঁত বুনতে কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করাসহ তদারকির মাধ্যমে তাদের সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহŸান জানান তিনি। তিনি আরো জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁতীদের এমন সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব