১২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

টাঙ্গাইলে শীতার্তদের মুখে হাসি ফোটালো বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১ টায় পাঠাগার প্রাঙ্গণে অর্ধশতাধিক পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। কম্বল পেয়ে চৌরাকররা গ্রামের সত্তরোর্ধ শুকুর আলী বলেন, ‘এই ঠান্ডায় আমাদের কেউ একটা কাপড়ও দেয় নাই। ঠান্ডায় খুব কষ্ট করতাছি। আমরা গরিব মানুষ, ট্যাহা পয়সা নাই। কম্বল পেয়ে আমি খুব খুশি হইছি। আল্লায় আমারে ঠাণ্ডা থিকা বাঁচাইলো।’

দুই সন্তান নিয়ে শীতবস্ত্র নিতে এসেছেন জহুরা বেগম। অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এই নারী। গরম কাপড় পেয়ে তার যেন আনন্দ আর ধরে না। খুশি হয়ে বলেন, ‘সন্তানদের নিয়ে কয়েকদিন ধরে শীতে খুব কষ্ট করছি। ঠান্ডার কোনো কাপড়চোপড় নাই। কোনো মতে এ্যাহন ঠান্ডা থেইকা বাঁচুম।’

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, সামাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সাধ্যমত আর্তমানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তবেই মানবিক পৃথিবী গড়ে উঠবে। এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহজাহান। এ সময় পাঠাগারের সদস্য অনিক হাসান, মো. হাবিবুর রহমান, জয় চন্দ্র দাস, নূর মোহাম্মদ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

দ্বিতীয়বারের মতো মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের খেতাব জিতলেন মিথিলা

টাঙ্গাইলে শীতার্তদের মুখে হাসি ফোটালো বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার

প্রকাশিত : ০১:৩১:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১ টায় পাঠাগার প্রাঙ্গণে অর্ধশতাধিক পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। কম্বল পেয়ে চৌরাকররা গ্রামের সত্তরোর্ধ শুকুর আলী বলেন, ‘এই ঠান্ডায় আমাদের কেউ একটা কাপড়ও দেয় নাই। ঠান্ডায় খুব কষ্ট করতাছি। আমরা গরিব মানুষ, ট্যাহা পয়সা নাই। কম্বল পেয়ে আমি খুব খুশি হইছি। আল্লায় আমারে ঠাণ্ডা থিকা বাঁচাইলো।’

দুই সন্তান নিয়ে শীতবস্ত্র নিতে এসেছেন জহুরা বেগম। অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এই নারী। গরম কাপড় পেয়ে তার যেন আনন্দ আর ধরে না। খুশি হয়ে বলেন, ‘সন্তানদের নিয়ে কয়েকদিন ধরে শীতে খুব কষ্ট করছি। ঠান্ডার কোনো কাপড়চোপড় নাই। কোনো মতে এ্যাহন ঠান্ডা থেইকা বাঁচুম।’

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, সামাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সাধ্যমত আর্তমানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তবেই মানবিক পৃথিবী গড়ে উঠবে। এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহজাহান। এ সময় পাঠাগারের সদস্য অনিক হাসান, মো. হাবিবুর রহমান, জয় চন্দ্র দাস, নূর মোহাম্মদ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব