সূর্য যেদিকে ফুল সেদিকে। এজন্যই এই ফুলের নাম সূর্যমুখী। সবসময় সূর্যের মুখ করে তাকিয়ে থাকে।স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি),নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর একটি আঞ্চলিক প্রকল্প ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাঁশখালী কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সূর্যমুখী বীজ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। বাঁশখালীতে উপজেলার সাধনপুর, কালিপুর, বৈলছড়ী,জলদি, চাম্বল ও পুইছড়ী সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হয়েছে।
সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেলে লিনোলিক এসিড থাকে যা হার্টের জন্য ভালো। সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন বাড়লে মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত তেল পাবে, চাষিরাও লাভবান হবেন। কম খরচে বেশি লাভের সুযোগ থাকায় একই এলাকায় অনেকেই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। রবি ফসলের মধ্যে সূর্যমুখী অন্যতম তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফুল ফুটার পর বাগানগুলো অপরূপ সুন্দর্য ধারন করেছে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৈলছড়ী ইউনিয়নের পূর্ব চেচুরিয়া গ্রামের কৃষাণী বুলু রাণী দাশ ও স্বপনা চৌধুরী এবার জমিতে সূর্যমূখী চাষ করেছেন ফলে হয়েছে ফুলের বাম্পার ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। বুলু রাণী দাশ থেকে প্রথম বারের মতো সূর্যমুখী চাষ করতে গিয়ে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে। সে বলে আমাদেরকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পূর্বে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আবু ছালেক বলেন, সূর্যমুখী তেলজাতিয় ফসল।তেলের পরিমাণ বেশি থাকে। তেলটাও পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আমাদের যে জায়গুলো পতিত থাকে বা পাহাড়ের পাদদেশে কম খরচে এ তেল জাতীয় ফসলগুলোর চাষ বাড়াতে পারি। জাতীয়ভাবে আমাদের একটা গুরুত্ব বহন করবে। বাঁশখালীর পাদদেশ সাধনপুর,কালিপুর, বৈলছড়ী, জলদী, শীলকুপ ও পুইছড়ীতে পাহড়ি ছাইড়ের জায়গাগুলোতে চাষ হয়েছে।পাহাড়ের পাদদেশ যেখানে পানি কম লাগে তেলজাতিয় সূর্যমুখী চাষ করার জন্য এসএসিপি, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর একটি আঞ্চলিক প্রকল্প আছে। আমরা ওই প্রকল্প ও বাঁশখালী কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নত মানের বীজ দিয়েছি। বাঁশখালীতে এ ফসলটা নতুন হলেও এ ফসলের সম্ভবনা আছে। যে কৃষকরা এ ফসলের চাষ করে তাদের ফসল এখন পর্যন্ত ভালো আছে ফলনও ভালো হয়েছে। আমরাও চাই এ ফসলের চাষটা বাড়ুক।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব