১২:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪

সিজদার সময় কপাল মাটিতে না লাগলে নামাজের ক্ষতি হবে?

সিজদা নামাজের অন্যতম ফরজ। সিজদা আদায় ছাড়া নামাজ হয় না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা রুকূ কর, সিজদা কর এবং তোমাদের রব-এর ইবাদত কর ও সৎকাজ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা হজ, আয়াত, ৭৭)

সিজদায় যাওয়ার নিয়ম হলো- শরীরের যে অঙ্গ জমিনের সবচেয়ে নিকটবর্তী— সিজদার সময়ে সেই অঙ্গ সর্বপ্রথম জমিনে নিকটবর্তী হবে। সুতরাং সিজদা সময়ে সর্বপ্রথম হাঁটু জমিনের নিকটবর্তী হবে বা রাখা হবে। এরপর ক্রমান্বয়ে হাত, নাক ও তারপর কপাল রাখা হবে।

সিজদা থেকে উঠার মুহূর্তে শরীরের যে অঙ্গ জমিন থেকে দূরবর্তী— সর্বপ্রথম সেই অঙ্গ উঠবে। সুতরাং সিজদা থেকে উঠার সময় সর্বপ্রথম কপাল উঠবে। এরপর উভয় হাত এবং এরপর হাঁটু। এরপর সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াবে।

হাদিস শরিফে আছে, ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) সিজদায় যাওয়ার সময় আমি তাকে হাতের পূর্বে হাঁটু রাখতে এবং সিজদা থেকে উঠার সময় হাঁটুর পূর্বে হাত জমিন থেকে উঠাতে দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১/১২২)

সিজদার সময় কপাল মাটিতে বা ফ্লোরে লাগানোর নিয়ম। তবে প্রচণ্ড রোদের কারণে উত্তপ্ত জমিন বা ফ্লোরে সিজদা করতে কষ্ট হলে পাগড়ি বা টুপির একাংশ কপালের উপর টেনে নিয়ে তার উপর সিজদা করা যাবে। এতে নামাজ মাকরূহ হবে না।

সাহাবায়ে কেরাম থেকেও প্রচণ্ড শীত বা গরমে সরাসরি মাটিতে সিজদা করতে কষ্ট হওয়ার কারণে পাগড়ির পেঁচের উপর সিজদা করা প্রমাণিত আছে। (সহীহ বুখারী ১/৫৬; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ১/৪০০)

তবে এ ধরনের বিশেষ কারণ ছাড়া পাগড়ি বা টুপির কোনো অংশের উপর সিজদা করা মাকরূহ। কারণ, হাদিস শরিফে এসেছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে পাগড়ির পেঁচের উপর সিজদা করতে দেখে তার কপালের দিকে ইশারা করে বলেন, তোমার পাগড়ি আরো উঠাও। -(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২/৫০০)

আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকেও বর্ণিত আছে যে, তিনি পাগড়ির পেঁচের উপর সিজদা করাকে অপছন্দ করতেন।-(আলআওসাত ৩/৩৪৩; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২/৫০০)

আর কেউ যদি সিজদাতে জমিনে শুধু মাথা রাখে অর্থাৎ চুলের অংশ জমিনে রাখে কপালের কোনো অংশই জমিনে না লাগে তবে তার সিজদা আদায় হবে না। তাই তার নামাজও হবে না। কারণ সিজদার অঙ্গ কপাল, মাথা নয়।

-(আলবাহরুর রায়েক ১/৩১৯; ফাতহুল কাদীর ১/২৬৫-২৬৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৫৯; ফাতাওয়া, ৩১৬৫, আল কাউসার অনলাইন, আদ্দুররুল মুখতার ১/৫০০)

বিজনেস বাংলাদেশ/ একে

সিজদার সময় কপাল মাটিতে না লাগলে নামাজের ক্ষতি হবে?

প্রকাশিত : ০১:২২:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

সিজদা নামাজের অন্যতম ফরজ। সিজদা আদায় ছাড়া নামাজ হয় না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা রুকূ কর, সিজদা কর এবং তোমাদের রব-এর ইবাদত কর ও সৎকাজ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা হজ, আয়াত, ৭৭)

সিজদায় যাওয়ার নিয়ম হলো- শরীরের যে অঙ্গ জমিনের সবচেয়ে নিকটবর্তী— সিজদার সময়ে সেই অঙ্গ সর্বপ্রথম জমিনে নিকটবর্তী হবে। সুতরাং সিজদা সময়ে সর্বপ্রথম হাঁটু জমিনের নিকটবর্তী হবে বা রাখা হবে। এরপর ক্রমান্বয়ে হাত, নাক ও তারপর কপাল রাখা হবে।

সিজদা থেকে উঠার মুহূর্তে শরীরের যে অঙ্গ জমিন থেকে দূরবর্তী— সর্বপ্রথম সেই অঙ্গ উঠবে। সুতরাং সিজদা থেকে উঠার সময় সর্বপ্রথম কপাল উঠবে। এরপর উভয় হাত এবং এরপর হাঁটু। এরপর সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াবে।

হাদিস শরিফে আছে, ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) সিজদায় যাওয়ার সময় আমি তাকে হাতের পূর্বে হাঁটু রাখতে এবং সিজদা থেকে উঠার সময় হাঁটুর পূর্বে হাত জমিন থেকে উঠাতে দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১/১২২)

সিজদার সময় কপাল মাটিতে বা ফ্লোরে লাগানোর নিয়ম। তবে প্রচণ্ড রোদের কারণে উত্তপ্ত জমিন বা ফ্লোরে সিজদা করতে কষ্ট হলে পাগড়ি বা টুপির একাংশ কপালের উপর টেনে নিয়ে তার উপর সিজদা করা যাবে। এতে নামাজ মাকরূহ হবে না।

সাহাবায়ে কেরাম থেকেও প্রচণ্ড শীত বা গরমে সরাসরি মাটিতে সিজদা করতে কষ্ট হওয়ার কারণে পাগড়ির পেঁচের উপর সিজদা করা প্রমাণিত আছে। (সহীহ বুখারী ১/৫৬; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ১/৪০০)

তবে এ ধরনের বিশেষ কারণ ছাড়া পাগড়ি বা টুপির কোনো অংশের উপর সিজদা করা মাকরূহ। কারণ, হাদিস শরিফে এসেছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে পাগড়ির পেঁচের উপর সিজদা করতে দেখে তার কপালের দিকে ইশারা করে বলেন, তোমার পাগড়ি আরো উঠাও। -(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২/৫০০)

আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকেও বর্ণিত আছে যে, তিনি পাগড়ির পেঁচের উপর সিজদা করাকে অপছন্দ করতেন।-(আলআওসাত ৩/৩৪৩; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২/৫০০)

আর কেউ যদি সিজদাতে জমিনে শুধু মাথা রাখে অর্থাৎ চুলের অংশ জমিনে রাখে কপালের কোনো অংশই জমিনে না লাগে তবে তার সিজদা আদায় হবে না। তাই তার নামাজও হবে না। কারণ সিজদার অঙ্গ কপাল, মাথা নয়।

-(আলবাহরুর রায়েক ১/৩১৯; ফাতহুল কাদীর ১/২৬৫-২৬৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৫৯; ফাতাওয়া, ৩১৬৫, আল কাউসার অনলাইন, আদ্দুররুল মুখতার ১/৫০০)

বিজনেস বাংলাদেশ/ একে