০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলে ধর্ষন মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইলে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন। সেই সাথে দন্ডিত ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

ধর্ষনের ফলে জন্ম নেয়া শিশুর ভরণপোষণ রাষ্ট্র বহন করবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। দন্ডিত ব্যক্তির নাম লিটন মিয়া (২৩)। তিনি মধুপুর উপজেলার পীরগাছা গরম বাজার এলাকার ছোয়াদ আলীর ছেলে।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌশুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান, দন্ডিত লিটন মিয়ার সাথে তাদের এলাকার এক কলেজ ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর লিটন মিয়া ওই ছাত্রীর বাড়িতে যায় এবং বিয়ের প্রবোলন দেখিয়ে ধর্ষন করে। এই ধর্ষনের ফলে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে।

পরে লিটন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল মধুপুর থানায় লিটন মিয়া বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই ছাত্রী পুত্র সন্তান জন্ম দেন। ডিএনএ পরীক্ষায় আসামী লিটন মিয়া ওই শিশুর জৈবিক পিতা বলে প্রমানিত হয়।

তদন্ত শেষে মধুপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছানোয়ার হোসেন ওই বছর ৩০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন। মামলায় সাত জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারি সরকারি কৌশুলি (এপিপি) মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস ও মোহাম্মদ কামরুজ্জামান তরফদার। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে আতাউর রহমান খান এবং মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে জিনিয়া বখ্শ মামলার বাদিকে আইনগত সহায়তা প্রদান করেন। আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন একেএম শামীমুল আখতার।

বিজনেস বাংলাদেশ/ একে

জনপ্রিয়

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

টাঙ্গাইলে ধর্ষন মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত : ০৩:৫১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

টাঙ্গাইলে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন। সেই সাথে দন্ডিত ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

ধর্ষনের ফলে জন্ম নেয়া শিশুর ভরণপোষণ রাষ্ট্র বহন করবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। দন্ডিত ব্যক্তির নাম লিটন মিয়া (২৩)। তিনি মধুপুর উপজেলার পীরগাছা গরম বাজার এলাকার ছোয়াদ আলীর ছেলে।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌশুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান, দন্ডিত লিটন মিয়ার সাথে তাদের এলাকার এক কলেজ ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর লিটন মিয়া ওই ছাত্রীর বাড়িতে যায় এবং বিয়ের প্রবোলন দেখিয়ে ধর্ষন করে। এই ধর্ষনের ফলে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে।

পরে লিটন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল মধুপুর থানায় লিটন মিয়া বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই ছাত্রী পুত্র সন্তান জন্ম দেন। ডিএনএ পরীক্ষায় আসামী লিটন মিয়া ওই শিশুর জৈবিক পিতা বলে প্রমানিত হয়।

তদন্ত শেষে মধুপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছানোয়ার হোসেন ওই বছর ৩০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন। মামলায় সাত জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারি সরকারি কৌশুলি (এপিপি) মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস ও মোহাম্মদ কামরুজ্জামান তরফদার। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে আতাউর রহমান খান এবং মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে জিনিয়া বখ্শ মামলার বাদিকে আইনগত সহায়তা প্রদান করেন। আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন একেএম শামীমুল আখতার।

বিজনেস বাংলাদেশ/ একে