ঢাকা রাত ৮:৪১, শুক্রবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ব্রহ্মপুত্রের বানভাসিদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার পর এবার ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।ডুবে গেছে আমনের ক্ষেত।হাজারের বেশী পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা ও হাতিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সংকটে ভুগছে ভুক্তভোগীরা।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মশালেরচর, বতুয়াতলী, দক্ষিণ বালাডোবা, উত্তর বালাডোবা, রসুলপুর চরসহ বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে হাজার পরিবার পানিবন্দী। সাহেবের আলগা ইউনিয়নের মাঝের আলগা, ২৭ দাগের চর, মেকুরের আলগা, পূর্ব দইখাওয়া নামাপাড়া, আইরমারীর চর, নামাজের চর, সুখের বাতির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি সংকট। পাশাপাশি চরের উচু স্থানে শৌচাগারগুলোতে পানি উঠায় নারী ও কিশোরীরা পয়ঃনিস্কাশনে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন। কোথাও কোথাও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় সেখানকার লোকজন কলার গাছের ভেলা ও নৌকায় যাতায়াত করছেন।

আইরমারীর চরের বাসিন্দা আইয়ুব আলী মন্ডল। সেখানকার পরিস্থিতি জানিয়ে তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ায় তিন দিন ধরে পানিবন্দী এখানকার বাসিন্দারা । এটি একটি দুর্গম, বিচ্ছিন্ন ও সীমান্তবর্তী এলাকা।খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে আছি। কোন ত্রাণ তৎপরতা নেই।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, তাঁর ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। ইতিমধ্যে দুই শতাধিক পরিবারের বসতভিটা প্লাবিত হয়েছে। তিনি দুই মেট্রিক টন করে চাল দুই দফায় পেয়েছেন। উপজেলার সবচেয়ে নিচু এলাকা বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন। এখানে মানুষ প্রতিবছর বন্যা ও নদীভাঙনের শিকার হয়ে অভাবের মধ্যে বসবাস করে। তাদের জন্য একটু বরাদ্দ বেশি দেওয়া দরকার।

কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন,ব্রহ্মপুত্র ছাড়া জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমছে।তবে ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় বড় কোনো বন্যার আশঙ্কা নেই।

বিজনেস বাংলাদেশ/bh

এ বিভাগের আরও সংবাদ