১২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

আইএমএফ’কে দেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতার আহবান

আইএমএফ’কে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদানের জন্য আহবান জানান, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর সভাপতি ফারুক হাসান।

রবিবার বাংলাদেশে আইএমএফ এর মিশন প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্ব্বে আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার এর সময় এ কথা বলেন।

আইএমএফ এর প্রতিনিধিদলে রাহুল আনন্দের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ও ভুটানে আইএমএফ এর আবাসিক প্রতিনিধি জায়েন্দু দে; ডিভিশন চিফ; পিয়াপর্ণ সোদশ্রিবিবুন, ডেপুটি ডিভিশন চিফ; এস্টেল জু লিউ, সিনিয়র ইকোনমিস্ট; সিওক হিউন ইউন, সিনিয়র ইকোনমিস্ট; সুফাছল সুফাচালশাই, সিনিয়র ইকোনমিস্ট এবং রিচার্ড ভার্গিস, ইকোনমিস্ট।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক নীলা হোসনে আরা, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন লেবার এন্ড আইএলও অ্যাফেয়ার্স এর চেয়ারম্যান আ ন ম সাইফুদ্দিন এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন মিশন সেল এর চেয়ারম্যান শামস মাহমুদ।

বৈঠকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে শিল্পের বর্তমান অবস্থা, বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি এবং দেশের রপ্তানি পারফরমেন্স এর উপর বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাব প্রভৃতি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাগুলো নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যে এই গ্র্যাজুয়েশনের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে এলডিসি-পরবর্তী যুগে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা উপরও জোর দেয়া হয়। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আইএমএফ প্রতিনিধিদলকে পোশাক শিল্পের টেকসই কৌশলগত ২০৩০ বিষয়ে অবহিত করে বলেন, এই রূপকল্পের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ এবং জনগণের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রেখে আরও টেকসই উপায়ে পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি অর্জন করা।

তিনি পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির কথা বলেন, যার মধ্যে রয়েছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং সার্কুলার ইকোনমিসহ আরো উৎকর্ষতা অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উচ্চতর প্রবৃদ্ধির রূপকল্পের আলোকে মূল্য সংযোজন আইটেম, বিশেষ করে নন-কটন পণ্য অন্তর্ভূক্ত করার মাধ্যমে তার পণ্যের পরিসরে বৈচিত্র্য আনতে সক্রিয়ভাবে মনোযোগ প্রদান করছে। ফারুক হাসান আরও বলেন, শিল্পটি উৎপাদনশীলতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি গ্রহন করছে এবং এভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবণতার সাথে সংগতি বজায় রেখে নিজেকে প্রতিযোগিতামূলকও রেখেছে। এছাড়াও শিল্প দ্ক্ষ জনশক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দক্ষতার ঘাটতি পূরণ এবং দক্ষ উন্নয়নের উপর জোরালোভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। শিল্প উদীয়মান বাজারগুলোতে অনুপ্রবেশ করা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুযোগগুলোও অন্বেষণ করছে। বিজিএমইএ সভাপতি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে আইএমএফ এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে আইএমএফ’কে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদানের জন্য আহবান জানান।

বিজনেস বাংলাদেশ/এনআই

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ‍দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

আইএমএফ’কে দেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতার আহবান

প্রকাশিত : ০৬:৫০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

আইএমএফ’কে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদানের জন্য আহবান জানান, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর সভাপতি ফারুক হাসান।

রবিবার বাংলাদেশে আইএমএফ এর মিশন প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্ব্বে আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার এর সময় এ কথা বলেন।

আইএমএফ এর প্রতিনিধিদলে রাহুল আনন্দের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ও ভুটানে আইএমএফ এর আবাসিক প্রতিনিধি জায়েন্দু দে; ডিভিশন চিফ; পিয়াপর্ণ সোদশ্রিবিবুন, ডেপুটি ডিভিশন চিফ; এস্টেল জু লিউ, সিনিয়র ইকোনমিস্ট; সিওক হিউন ইউন, সিনিয়র ইকোনমিস্ট; সুফাছল সুফাচালশাই, সিনিয়র ইকোনমিস্ট এবং রিচার্ড ভার্গিস, ইকোনমিস্ট।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক নীলা হোসনে আরা, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন লেবার এন্ড আইএলও অ্যাফেয়ার্স এর চেয়ারম্যান আ ন ম সাইফুদ্দিন এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন মিশন সেল এর চেয়ারম্যান শামস মাহমুদ।

বৈঠকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে শিল্পের বর্তমান অবস্থা, বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি এবং দেশের রপ্তানি পারফরমেন্স এর উপর বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাব প্রভৃতি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাগুলো নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যে এই গ্র্যাজুয়েশনের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে এলডিসি-পরবর্তী যুগে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা উপরও জোর দেয়া হয়। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আইএমএফ প্রতিনিধিদলকে পোশাক শিল্পের টেকসই কৌশলগত ২০৩০ বিষয়ে অবহিত করে বলেন, এই রূপকল্পের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ এবং জনগণের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রেখে আরও টেকসই উপায়ে পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি অর্জন করা।

তিনি পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির কথা বলেন, যার মধ্যে রয়েছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং সার্কুলার ইকোনমিসহ আরো উৎকর্ষতা অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উচ্চতর প্রবৃদ্ধির রূপকল্পের আলোকে মূল্য সংযোজন আইটেম, বিশেষ করে নন-কটন পণ্য অন্তর্ভূক্ত করার মাধ্যমে তার পণ্যের পরিসরে বৈচিত্র্য আনতে সক্রিয়ভাবে মনোযোগ প্রদান করছে। ফারুক হাসান আরও বলেন, শিল্পটি উৎপাদনশীলতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি গ্রহন করছে এবং এভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবণতার সাথে সংগতি বজায় রেখে নিজেকে প্রতিযোগিতামূলকও রেখেছে। এছাড়াও শিল্প দ্ক্ষ জনশক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দক্ষতার ঘাটতি পূরণ এবং দক্ষ উন্নয়নের উপর জোরালোভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। শিল্প উদীয়মান বাজারগুলোতে অনুপ্রবেশ করা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুযোগগুলোও অন্বেষণ করছে। বিজিএমইএ সভাপতি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে আইএমএফ এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে আইএমএফ’কে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদানের জন্য আহবান জানান।

বিজনেস বাংলাদেশ/এনআই