১২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

শিম চাষে লাভবান নওগাঁর কৃষক

নওগাঁয় আগাম শিম চাষে করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা চলতি মৌসুমে আগাম জাতের শিম চাষ করে আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হচ্ছেন নওগাঁর কৃষকেরা। ভালো ফলন ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারায় কৃষকরা ভীষণ আনন্দিত। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া আগাম শিম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ফলন ভালো হওয়ায় প্রতিবছর বাড়তে শুরু করেছে আগাম শিম চাষির সংখ্যা।

নওগাঁ জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছরে শিম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৮০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু অনুকূল আবহাওয়া ও ভালো ফলনের কারণে চাষ হয়েছে প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে। এই অঞ্চলে আগাম চাষের জন্য ‘রূপবান’ ও ‘ইফশা’ নামের দু’টি জাতের শিম চাষ করা হয়। জৈষ্ঠ্য মাসের শেষের দিকে শিমের বীজ বপন করেন চাষিরা।

জেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ফুলে ফুলে শোভা পাচ্ছে শিমের মাচা। জেলার দেলুয়াবাড়ি ও হাপানিয়া গ্রামে গেলে রাস্তার দু’ধারে দেখা যায় নীল-বেগুনি রঙের শিম ক্ষেতগুলোর নয়ানাভিরাম দৃশ্য। শিমের রুগ্ন ফুল ছাড়িয়ে ফেলা, ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করা এবং কীট-পতঙ্গ প্রতিরোধসহ নানা কাজে সময় পার করছেন শিম চাষিরা।

নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের শিম চাষি আবুল কালাম বলেন, ‘প্রায় ৮ থেকে ৯ বছর ধরে শিম চাষ করে আসছি। কম বেশি প্রতি বছরই লাভবান হচ্ছি। এ বছরও বাজারে শিমের দাম ভালো।

একই গ্রামের শিম চাষি রুবেল হোসেন জানান, দশ কাঠা জমিতে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৮-৯ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন এ বছরে অন্য বছরের তুলনায় বেশি লাভ হবে।

মহাদেবপুর খেজুর গ্রামের ছিম চাষী রহমত আলী, একরামুল হক বলেন,এবারে ২০ কাটা জিতে ছিম চাষ করেছি ছিমও ভাল হয়েছে আশা করি লাভও ভালো হবে।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন আগাম শিম চাষ সম্ভাবনাময়। এখানকার মাটি শিম চাষের জন্য উপযোগী।যদি অধিক বৃষ্টি হয় তাহলে শিমের ফুল পচে কুশি গজানোর ক্ষমতা হারিয়ে যায়। শিম গাছের গোড়া পঁচা রোগ দেখা দিলে ছত্রাক নাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

শিম চাষে লাভবান নওগাঁর কৃষক

প্রকাশিত : ০৩:২৮:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

নওগাঁয় আগাম শিম চাষে করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা চলতি মৌসুমে আগাম জাতের শিম চাষ করে আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হচ্ছেন নওগাঁর কৃষকেরা। ভালো ফলন ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারায় কৃষকরা ভীষণ আনন্দিত। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া আগাম শিম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ফলন ভালো হওয়ায় প্রতিবছর বাড়তে শুরু করেছে আগাম শিম চাষির সংখ্যা।

নওগাঁ জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছরে শিম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৮০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু অনুকূল আবহাওয়া ও ভালো ফলনের কারণে চাষ হয়েছে প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে। এই অঞ্চলে আগাম চাষের জন্য ‘রূপবান’ ও ‘ইফশা’ নামের দু’টি জাতের শিম চাষ করা হয়। জৈষ্ঠ্য মাসের শেষের দিকে শিমের বীজ বপন করেন চাষিরা।

জেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ফুলে ফুলে শোভা পাচ্ছে শিমের মাচা। জেলার দেলুয়াবাড়ি ও হাপানিয়া গ্রামে গেলে রাস্তার দু’ধারে দেখা যায় নীল-বেগুনি রঙের শিম ক্ষেতগুলোর নয়ানাভিরাম দৃশ্য। শিমের রুগ্ন ফুল ছাড়িয়ে ফেলা, ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করা এবং কীট-পতঙ্গ প্রতিরোধসহ নানা কাজে সময় পার করছেন শিম চাষিরা।

নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের শিম চাষি আবুল কালাম বলেন, ‘প্রায় ৮ থেকে ৯ বছর ধরে শিম চাষ করে আসছি। কম বেশি প্রতি বছরই লাভবান হচ্ছি। এ বছরও বাজারে শিমের দাম ভালো।

একই গ্রামের শিম চাষি রুবেল হোসেন জানান, দশ কাঠা জমিতে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৮-৯ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন এ বছরে অন্য বছরের তুলনায় বেশি লাভ হবে।

মহাদেবপুর খেজুর গ্রামের ছিম চাষী রহমত আলী, একরামুল হক বলেন,এবারে ২০ কাটা জিতে ছিম চাষ করেছি ছিমও ভাল হয়েছে আশা করি লাভও ভালো হবে।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন আগাম শিম চাষ সম্ভাবনাময়। এখানকার মাটি শিম চাষের জন্য উপযোগী।যদি অধিক বৃষ্টি হয় তাহলে শিমের ফুল পচে কুশি গজানোর ক্ষমতা হারিয়ে যায়। শিম গাছের গোড়া পঁচা রোগ দেখা দিলে ছত্রাক নাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে