আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে টাঙ্গাইলে তিন প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
শনিবার ২ ডিসেম্বর সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাইকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম তাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেন।
মনোননয়ন পত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদা রহমান খান ও টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের জাসদ (ইনু) প্রার্থী এস এম আবু মোস্তফা।
জানা যায়, যাচাই বাছাইয়ের প্রথম দিনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী), টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর), টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) ও টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের ৩০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই বাছাই করা হয়। যাচাই বাছাই শেষে তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। জেলা রিটানিং অফিসার কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতী অভিযোগে ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ও ফরিদা রহমান খানের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। এছাড়াও জাসদের মনোনয়ন পত্রে সভাপতির স্বাক্ষর না মিল না থাকায় এস এম আবু মোস্তফার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
ভূঞাপুরের মাদারিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আরফান আলী সেক বলেন, আমি কোন নির্বাচনি কাগজে স্বাক্ষর করি নাই। তবে আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, আরফান আলী সেক স্বাক্ষর দেয়ার পর অস্বীকার করছেন। তবে তার বাড়িতে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি আপিল করবো।
জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর আবেদনে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছেন। সেখান থেকে ১০ ভোটারের স্বাক্ষর ও তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। সেখানে ৯টি ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়। তবে একটি ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন যাচাই বিধিমালা ২০১১ এর ৫ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। পরে আইন অনুযায়ী তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। এছাড়াও আরও দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।






















