০৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

বৌদ্ধ বিহারে ‘নাশকতার’ ঘটনায় উদ্বেগ

দেড়শত বছরের প্রাচীন রামুর চেরাংঘাটা উসাইসেন বৌদ্ধ বিহারে ‘নাশকতার’ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন তারা। পাশাপাশি বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ পল্লীগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

এর আগে শুক্রবার গভীররাতে রামুর চেরাংঘাটা এলাকায় উসাইসেন বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ কিংবা এটি নাশকতা না-কি নিছক দুর্ঘটনা তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। এই ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।

এদিকে এই ঘটনাকে ‘নাশকতা’ দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, কক্সবাজারের রামুর বড় ক্যাং নামে পরিচিত কাঠের তৈরি বিহারটিতে গত ৫ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে আগুন দিয়ে নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে মৌলবাদী গোষ্ঠী। আগুনে বিহারের কাঠের সিঁড়ি পুড়ে গেছে। তবে ভয়াবহ নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে কক্সবাজার জেলার রামু থানার ঐতিহ্যবাহী চেরাংঘাটা উসাইসেন বৌদ্ধ বিহার।

‘নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির ন্যাক্কারজনক এই অপচেষ্টা’, নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন-এর সভাপতি প্রকৌশলী দিব্যেন্দুবিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়। তারা জানান, নির্বাচনের প্রাক্কালে সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টির জন্য সুপরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী। 

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন তারা।

১২ বছর আগে রামুর বৌদ্ধ বিহার জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা স্মরণ করে বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরেও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা অগ্নিসংযোগ করে বিহারটি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুরোহিতরা বিহারের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় এবার অগ্নিসংযোগ করা হয়।’

ট্যাগ :

বৌদ্ধ বিহারে ‘নাশকতার’ ঘটনায় উদ্বেগ

প্রকাশিত : ১০:০৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

দেড়শত বছরের প্রাচীন রামুর চেরাংঘাটা উসাইসেন বৌদ্ধ বিহারে ‘নাশকতার’ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন তারা। পাশাপাশি বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ পল্লীগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

এর আগে শুক্রবার গভীররাতে রামুর চেরাংঘাটা এলাকায় উসাইসেন বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ কিংবা এটি নাশকতা না-কি নিছক দুর্ঘটনা তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। এই ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।

এদিকে এই ঘটনাকে ‘নাশকতা’ দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, কক্সবাজারের রামুর বড় ক্যাং নামে পরিচিত কাঠের তৈরি বিহারটিতে গত ৫ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে আগুন দিয়ে নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে মৌলবাদী গোষ্ঠী। আগুনে বিহারের কাঠের সিঁড়ি পুড়ে গেছে। তবে ভয়াবহ নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে কক্সবাজার জেলার রামু থানার ঐতিহ্যবাহী চেরাংঘাটা উসাইসেন বৌদ্ধ বিহার।

‘নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির ন্যাক্কারজনক এই অপচেষ্টা’, নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন-এর সভাপতি প্রকৌশলী দিব্যেন্দুবিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়। তারা জানান, নির্বাচনের প্রাক্কালে সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টির জন্য সুপরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী। 

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন তারা।

১২ বছর আগে রামুর বৌদ্ধ বিহার জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা স্মরণ করে বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরেও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা অগ্নিসংযোগ করে বিহারটি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুরোহিতরা বিহারের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় এবার অগ্নিসংযোগ করা হয়।’