০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তাইওয়ানের নির্বাচন নিয়ে চীন-মার্কিন উত্তেজনা

আগামী ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন ঘিরে তাইওয়ানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনেও বিরাজ করছে উত্তেজনা। নির্বাচনের আগে তাইওয়ানে যুদ্ধবিমান, নৌজাহাজসহ চীনা বেলুনও মোতায়েন করেছে বেইজিং। কিন্তু এতসব বাধা সত্ত্বেও বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে নিয়ে মাঠে নেমেছে তাইওয়ান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

তাইওয়ানের নির্বাচন পুরো অঞ্চল জুড়েই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ তাইওয়ানের। মূলত তাইওয়ানকে চীন নিজেদের অংশ মনে করে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র তাইওয়ান। বলা যায় এই নির্বাচন বিশ্বের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।

তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি – ডিপিপি’র সাই ইং-ওয়েন। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পর সংবিধান অনুসারে সরে দাঁড়াচ্ছেন সাই ইং-ওয়েন। এখন তার উত্তরসূরী হওয়ার জন্য লড়াই করছেন তিনজন।

যদিও ডিপিপিকে চীন বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে দেখে থাকে। অন্যদের সাথে জোট বেঁধে ১১৩ সদস্যের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার আশা করছে, তাহলে আইন তৈরি, বাজেট, যুদ্ধ ঘোষণা এবং কূটনৈতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা তাদের হাতেই থাকবে।

এদিকে গুজবের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ানকে দূর করার চেষ্টা করেছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমদানি করা বিষাক্ত শূকর তাইওয়ানের নাগরিকদের খাইয়ে দেওয়া কিংবা চীনে আক্রমণ চালাতে জনগণের কাছ থেকে গোপনে রক্ত সংগ্রহ করে জীবাণু অস্ত্র বানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর মতো গুজব আগেই ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। তবে তাইওয়ানের জাতীয় নির্বাচনের আগে নতুন করে এসব বিষয় আলোচনায় এসেছে। এরপর মার্কিন বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, গত বছর মাত্র ৩৪ শতাংশ তাইওয়ানের নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বস্ত দেশ মনে করেছে। অথচ ২০২১ সালে ৪৫ শতাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বস্ত দেশ মনে করত।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

তাইওয়ানের নির্বাচন নিয়ে চীন-মার্কিন উত্তেজনা

প্রকাশিত : ০২:১৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

আগামী ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন ঘিরে তাইওয়ানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনেও বিরাজ করছে উত্তেজনা। নির্বাচনের আগে তাইওয়ানে যুদ্ধবিমান, নৌজাহাজসহ চীনা বেলুনও মোতায়েন করেছে বেইজিং। কিন্তু এতসব বাধা সত্ত্বেও বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে নিয়ে মাঠে নেমেছে তাইওয়ান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

তাইওয়ানের নির্বাচন পুরো অঞ্চল জুড়েই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ তাইওয়ানের। মূলত তাইওয়ানকে চীন নিজেদের অংশ মনে করে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র তাইওয়ান। বলা যায় এই নির্বাচন বিশ্বের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।

তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি – ডিপিপি’র সাই ইং-ওয়েন। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পর সংবিধান অনুসারে সরে দাঁড়াচ্ছেন সাই ইং-ওয়েন। এখন তার উত্তরসূরী হওয়ার জন্য লড়াই করছেন তিনজন।

যদিও ডিপিপিকে চীন বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে দেখে থাকে। অন্যদের সাথে জোট বেঁধে ১১৩ সদস্যের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার আশা করছে, তাহলে আইন তৈরি, বাজেট, যুদ্ধ ঘোষণা এবং কূটনৈতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা তাদের হাতেই থাকবে।

এদিকে গুজবের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ানকে দূর করার চেষ্টা করেছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমদানি করা বিষাক্ত শূকর তাইওয়ানের নাগরিকদের খাইয়ে দেওয়া কিংবা চীনে আক্রমণ চালাতে জনগণের কাছ থেকে গোপনে রক্ত সংগ্রহ করে জীবাণু অস্ত্র বানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর মতো গুজব আগেই ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। তবে তাইওয়ানের জাতীয় নির্বাচনের আগে নতুন করে এসব বিষয় আলোচনায় এসেছে। এরপর মার্কিন বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, গত বছর মাত্র ৩৪ শতাংশ তাইওয়ানের নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বস্ত দেশ মনে করেছে। অথচ ২০২১ সালে ৪৫ শতাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বস্ত দেশ মনে করত।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি