০৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

ভারতের ‘বয়কট মালদ্বীপ’ ইস্যুতে মুখ খুললেন মোহাম্মদ শামি

সারা ভারতে চলছে বয়কট মালদ্বীপ (Boycott Maldives) ট্রেন্ড। মূলত দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রীর করা অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সেলেব্রেটি ও সাধারণ মানুষ ফুঁসে উঠেছে। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি। অন্যান্য তারকাদের মতো তিনিও মোদির পাশে দাঁড়ালেন।

সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ মঙ্গলবার ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চক্রীড়া সম্মান অর্জুন পুরস্কার গ্রহণ করেছেন শামি।

একই দিনে তিনি বয়কট মালদ্বীপ ইস্যুতে গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের পর্যটনকে অবশ্যই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এটা দেশের জন্য খুব ভালো। প্রধানমন্ত্রী চাইছেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমাদের উচিত তাকে সাহায্য করা।’

বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬ উইকেটে হারের পর টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমে এসেছিলেন মোদি। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার পর বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন শামিকে। এবার সেই শামি প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন।

ঘটনার সূত্রপাত নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর থেকে। সেই সফরের কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছিলেন মোদি। যেখানে ভারতীয়দের মালদ্বীপের বদলে সেই দ্বীপে ভ্রমণেরও আবেদন করেছিলেন তিনি। সে দ্বীপটি মালদ্বীপ থেকে খুব দূরে নয়। এর বিপরীতে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী ও কয়েকজন নেতা মোদির বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক টেনে এনেও তাকে বিরূপ মন্তব্য করা হয়। পরে অবশ্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে মালদ্বীপের মন্ত্রী-রাজনীতিকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সেসব মন্তব্য মুছে দিয়েছেন। কিন্তু তাতে সমালোচনার জোয়ার সামাল দেওয়া হয়নি।

এরপর তিন মন্ত্রীকে বরখাস্তও করে মালদ্বীপের চীনপন্থী মোহামেদ মুইজ্জুর সরকার। ওই তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেও নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত দ্বীপরাষ্ট্রটির হাইকমিশনারকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে বেশ উত্তপ্ত ভারত এবং মালদ্বীপের পারস্পরিক সম্পর্ক।

এরপরেই শুরু হয় বয়কট মালদ্বীপের ডাক। শত শত ভারতীয় নাগরিকের মত তাতে যোগ দিয়েছেন ক্রিকেট অঙ্গনের তারকারাও। ভারতের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বলেছেন, তিনি ‘ভারতকে নিয়ে যা বলা হয়েছে, তা দেখে খুবই দুঃখিত’। পরের ছুটিতে তিনি ভারতেই কোনো সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান।

কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার সিন্ধুদুর্গে নিজের ভ্রমণের কথা উল্লেখ করে লেখেন, ৫০তম জন্মদিনে তিনি ভারতের একটি সৈকতে গিয়েছিলেন, ‘এ উপকূলীয় শহরে আমরা যা চাই, সবই আছে, এমনকি এর চেয়েও বেশি। দারুণ সব স্থানের সঙ্গে অসাধারণ আতিথেয়তা আমাদের দারুণ সব স্মৃতি উপহার দিয়েছে।’ কথা বলেছেন সাবেক ক্রিকেটার সুরেশ রায়নাও, ‘মালদ্বীপ কয়েকবার গেছি এবং সব সময়ই এর সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছি। আমার বিশ্বাস এখন আমাদের আত্মসম্মানকে প্রাধান্য দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

দুই মাসে পিয়াজের দাম বেড়েছে ৮০  শতাংশ , আলু ৫৫ শতাংশ

ভারতের ‘বয়কট মালদ্বীপ’ ইস্যুতে মুখ খুললেন মোহাম্মদ শামি

প্রকাশিত : ১২:০৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

সারা ভারতে চলছে বয়কট মালদ্বীপ (Boycott Maldives) ট্রেন্ড। মূলত দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রীর করা অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সেলেব্রেটি ও সাধারণ মানুষ ফুঁসে উঠেছে। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি। অন্যান্য তারকাদের মতো তিনিও মোদির পাশে দাঁড়ালেন।

সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ মঙ্গলবার ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চক্রীড়া সম্মান অর্জুন পুরস্কার গ্রহণ করেছেন শামি।

একই দিনে তিনি বয়কট মালদ্বীপ ইস্যুতে গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের পর্যটনকে অবশ্যই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এটা দেশের জন্য খুব ভালো। প্রধানমন্ত্রী চাইছেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমাদের উচিত তাকে সাহায্য করা।’

বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬ উইকেটে হারের পর টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমে এসেছিলেন মোদি। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার পর বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন শামিকে। এবার সেই শামি প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন।

ঘটনার সূত্রপাত নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর থেকে। সেই সফরের কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছিলেন মোদি। যেখানে ভারতীয়দের মালদ্বীপের বদলে সেই দ্বীপে ভ্রমণেরও আবেদন করেছিলেন তিনি। সে দ্বীপটি মালদ্বীপ থেকে খুব দূরে নয়। এর বিপরীতে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী ও কয়েকজন নেতা মোদির বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক টেনে এনেও তাকে বিরূপ মন্তব্য করা হয়। পরে অবশ্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে মালদ্বীপের মন্ত্রী-রাজনীতিকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সেসব মন্তব্য মুছে দিয়েছেন। কিন্তু তাতে সমালোচনার জোয়ার সামাল দেওয়া হয়নি।

এরপর তিন মন্ত্রীকে বরখাস্তও করে মালদ্বীপের চীনপন্থী মোহামেদ মুইজ্জুর সরকার। ওই তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেও নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত দ্বীপরাষ্ট্রটির হাইকমিশনারকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে বেশ উত্তপ্ত ভারত এবং মালদ্বীপের পারস্পরিক সম্পর্ক।

এরপরেই শুরু হয় বয়কট মালদ্বীপের ডাক। শত শত ভারতীয় নাগরিকের মত তাতে যোগ দিয়েছেন ক্রিকেট অঙ্গনের তারকারাও। ভারতের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বলেছেন, তিনি ‘ভারতকে নিয়ে যা বলা হয়েছে, তা দেখে খুবই দুঃখিত’। পরের ছুটিতে তিনি ভারতেই কোনো সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান।

কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার সিন্ধুদুর্গে নিজের ভ্রমণের কথা উল্লেখ করে লেখেন, ৫০তম জন্মদিনে তিনি ভারতের একটি সৈকতে গিয়েছিলেন, ‘এ উপকূলীয় শহরে আমরা যা চাই, সবই আছে, এমনকি এর চেয়েও বেশি। দারুণ সব স্থানের সঙ্গে অসাধারণ আতিথেয়তা আমাদের দারুণ সব স্মৃতি উপহার দিয়েছে।’ কথা বলেছেন সাবেক ক্রিকেটার সুরেশ রায়নাও, ‘মালদ্বীপ কয়েকবার গেছি এবং সব সময়ই এর সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছি। আমার বিশ্বাস এখন আমাদের আত্মসম্মানকে প্রাধান্য দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’

বিজনেস বাংলাদেশ/একে