০৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর সুদৃঢ় ঐক্য কামনায় শেষ হলো ইজতেমা

আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো তাবলিগ জামাতের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
রোববার ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সকাল ৯টায় মোনাজাত শরু হয়ে শেষ হয় ৯টা ২১ মিনিটে। তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মাওলানা রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে তিনি মুসলিম উম্মাহর সুদৃঢ় ঐক্য, দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও দেশের কল্যাণ কামনা করেন। তিনি আরবি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় মোনাজাত করেন।
৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহমাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করা হয়। এ সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় লাখ লাখ মুসল্লি আকুতি জানান।
এদিন ভোর থেকে দিক-নির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখ লাখ মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে সকাল ৯টায়। ২১ মিনিটের মোনাজাতে বিশাল এ জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে পিনপতন নীরবতা।
যে যেখানে ছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। কান্নায় বুক ভাসান তারা। প্রথম ৮ মিনিট ব্যাপী মোনাজাতে মাওলানা জুবায়ের পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। পরে ১৫ মিনিট বাংলা ভাষায় মেনাজাত করেন।
মুঠোফোন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরও লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। অনেকে বিমানবন্দর গোল চত্বর কিংবা উত্তরা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুর ছিল প্রায় ফাঁকা। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণিবিতান, অফিসসহ সবকিছু ছিল বন্ধ।
চারদিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।
জনপ্রিয়

ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত উত্তরাঞ্চল,দুর্ভোগে নিম্নআয়ের মানুষ

আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর সুদৃঢ় ঐক্য কামনায় শেষ হলো ইজতেমা

প্রকাশিত : ০৬:১১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো তাবলিগ জামাতের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
রোববার ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সকাল ৯টায় মোনাজাত শরু হয়ে শেষ হয় ৯টা ২১ মিনিটে। তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মাওলানা রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে তিনি মুসলিম উম্মাহর সুদৃঢ় ঐক্য, দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও দেশের কল্যাণ কামনা করেন। তিনি আরবি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় মোনাজাত করেন।
৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহমাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করা হয়। এ সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় লাখ লাখ মুসল্লি আকুতি জানান।
এদিন ভোর থেকে দিক-নির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখ লাখ মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে সকাল ৯টায়। ২১ মিনিটের মোনাজাতে বিশাল এ জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে পিনপতন নীরবতা।
যে যেখানে ছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। কান্নায় বুক ভাসান তারা। প্রথম ৮ মিনিট ব্যাপী মোনাজাতে মাওলানা জুবায়ের পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। পরে ১৫ মিনিট বাংলা ভাষায় মেনাজাত করেন।
মুঠোফোন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরও লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। অনেকে বিমানবন্দর গোল চত্বর কিংবা উত্তরা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুর ছিল প্রায় ফাঁকা। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণিবিতান, অফিসসহ সবকিছু ছিল বন্ধ।
চারদিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।
বিজনেস বাংলাদেশ/DS