০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

জাবির সেরা এ্যাথলেট হলেন সিরাজগঞ্জের রাসেল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর ৪৭তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সেরা এ্যাথলেট হয়েছেন সিরাজগঞ্জের রাসেল।

গত ৬ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ১৭ টি (ছেলে-৯, মেয়ে-৮) হলের এ্যাথলেটগণ অংশগ্রহণ করেন। ছেলেদের হল গুলোর মধ্যে মোট ১৮ (ব্যাক্তিগত) পয়েন্ট নিয়ে শ্রেষ্ঠ এ্যাথলেট হওয়ার গৌরব অর্জন করে মোঃ রাসেল মাহমুদ। এছাড়াও গত ২০২২ এবং ২০২৩ সালে একক ভাবে সর্বোচ্চ ২০ (ব্যাক্তিগত) পয়েন্ট নিয়ে শেষ্ঠ এ্যাথলেট হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন রাসেল। এ বছর তার ইভেন্ট গুলো হল: ৮০০ মি (১ম),১৫০০ মি(২য়), ৫০০০মি (১ম) এবং ১০০০০মি (১ম)।

এছাড়া হলের হয়ে ৪×১০০ মি এবং ৪×৪০০মি রিলে দৌড় এ অংশগ্রহণ করেন। একক ভাবে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়ে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন এবং সেই সাথে তাকে প্রোফেসর হাফিজা খাতুন গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। প্রোফেসর হাফিজা খাতুন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন কৃতি এ্যাথলেট ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য ।

তিনিই গত বছর থেকে শ্রেষ্ঠ এ্যাথলেটদের মাঝে এই গোল্ড মেডেল এর প্রোচলন করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক মো: নূরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো- উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ ও রাশেদা আখতার প্রমুখ।

রাসেলের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া। তার বাবার নাম মো: নজরুল ইসলাম। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়নরত এবং শহীদ সালাম বরকত হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী। সপ্তম শ্রেণী থেকেই পাবনা ক্যাডেট কলেজে এ্যাথলেটিক্স এ তার হাতেখড়ি। তখন থেকেই মেডল পাওয়া ছিল যেন তার নেশা। আর এই নেশায় যে কোন নেশাকেই যেন হার মানায়। তার মতে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এ খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। একমাত্র খেলাধুলাই পারে মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়তে। তাছাড়া সুস্থ ও সবল থাকার জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই নিয়ম অনুযায়ী ব্যায়াম ও অনুশীলন করার জন্য বলেন। যার ফলে কোন শিক্ষার্থীর মাঝে থাকবে না কোন হতাশা এবং রাত গুলো কাটবে না অনিদ্রায়। প্রত্যকেই থাকবে প্রাণবন্ত ও সতেজ যা তাদের কর্মদক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলবে কয়েক গুন।

তিনি ভবিষ্যতে বাংলা চ্যালেন পাড়ি দেওয়ার স্বপ্নসহ নিজেকে একজন ট্রাই এ্যাথলেট হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ট্যাগ :

জাবির সেরা এ্যাথলেট হলেন সিরাজগঞ্জের রাসেল

প্রকাশিত : ০১:১৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর ৪৭তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সেরা এ্যাথলেট হয়েছেন সিরাজগঞ্জের রাসেল।

গত ৬ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ১৭ টি (ছেলে-৯, মেয়ে-৮) হলের এ্যাথলেটগণ অংশগ্রহণ করেন। ছেলেদের হল গুলোর মধ্যে মোট ১৮ (ব্যাক্তিগত) পয়েন্ট নিয়ে শ্রেষ্ঠ এ্যাথলেট হওয়ার গৌরব অর্জন করে মোঃ রাসেল মাহমুদ। এছাড়াও গত ২০২২ এবং ২০২৩ সালে একক ভাবে সর্বোচ্চ ২০ (ব্যাক্তিগত) পয়েন্ট নিয়ে শেষ্ঠ এ্যাথলেট হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন রাসেল। এ বছর তার ইভেন্ট গুলো হল: ৮০০ মি (১ম),১৫০০ মি(২য়), ৫০০০মি (১ম) এবং ১০০০০মি (১ম)।

এছাড়া হলের হয়ে ৪×১০০ মি এবং ৪×৪০০মি রিলে দৌড় এ অংশগ্রহণ করেন। একক ভাবে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়ে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন এবং সেই সাথে তাকে প্রোফেসর হাফিজা খাতুন গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। প্রোফেসর হাফিজা খাতুন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন কৃতি এ্যাথলেট ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য ।

তিনিই গত বছর থেকে শ্রেষ্ঠ এ্যাথলেটদের মাঝে এই গোল্ড মেডেল এর প্রোচলন করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক মো: নূরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো- উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ ও রাশেদা আখতার প্রমুখ।

রাসেলের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া। তার বাবার নাম মো: নজরুল ইসলাম। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়নরত এবং শহীদ সালাম বরকত হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী। সপ্তম শ্রেণী থেকেই পাবনা ক্যাডেট কলেজে এ্যাথলেটিক্স এ তার হাতেখড়ি। তখন থেকেই মেডল পাওয়া ছিল যেন তার নেশা। আর এই নেশায় যে কোন নেশাকেই যেন হার মানায়। তার মতে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এ খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। একমাত্র খেলাধুলাই পারে মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়তে। তাছাড়া সুস্থ ও সবল থাকার জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই নিয়ম অনুযায়ী ব্যায়াম ও অনুশীলন করার জন্য বলেন। যার ফলে কোন শিক্ষার্থীর মাঝে থাকবে না কোন হতাশা এবং রাত গুলো কাটবে না অনিদ্রায়। প্রত্যকেই থাকবে প্রাণবন্ত ও সতেজ যা তাদের কর্মদক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলবে কয়েক গুন।

তিনি ভবিষ্যতে বাংলা চ্যালেন পাড়ি দেওয়ার স্বপ্নসহ নিজেকে একজন ট্রাই এ্যাথলেট হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে