০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সাভারে তালাবদ্ধ ঘরে আগুনে পুড়ে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

সাভারের আশুলিয়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়াসহ সাকিব (৪) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাথালিয়া ইউনিয়নের পানধোয়া এলাকায় শামসুন্নাহারের মালিকানাধীন টিনশেড বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ওই বাড়ির  ৪টি কক্ষ এবং ভিতরে থাকা মালামাল পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শিশুরটির দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত সাকিব পানধোয়া এলাকার দিনমজুর নিজাম উদ্দিনের ছেলে। তারা ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হলেও তাদের নিজস্ব বাড়ি না থাকায় স্থানীয় শামসুন্নাহারের বাসায় ভাড়া থাকত।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত সাকিবের বাবা দিনমজুর ও মা মানুষের বাসায় কাজ করে। তাই ৫ বছরের শিশু সাকিবকে ঘরে তালাবদ্ধ রেখেই কাজে যান তাঁরা। কিন্তু রবিবার হঠাৎই ঘরে আগুন লেগে যাওয়ায় বের হতে না পেরে ঘরের ভেতরেই আগুনে পুড়ে মারা যায় শিশুটি। যে ঘরে শিশুটি ছিল, সেই ঘরের সবকিছুই আগুনে পুড়ে গেছে। তবে আশপাশের কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়লেও সব পুড়ে যায়নি, কিছু কিছু জিনিস বের করতে পেরেছে।
পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোজাফফর হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি অনেক দরিদ্র। তারা এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হলেও নিজেদের কোনো বাড়ি নেই। শিশুটির শরীরের প্রায় ৪ ভাগের ৩ ভাগ অংশ পুড়ে গেছে।
জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম বলেন, ‘শিশুকে তালাবদ্ধ রেখে কাজে যেতেন বাবা-মা। আজ সেই ঘর থেকেই আগুনের সূত্রপাত। এক প্রতিবেশীর কাছে সাকিবদের ঘরের চাবি ছিল, আগুন ছড়িয়ে পড়লে তারা ঘর খুলে শিশুটিকে বের করার চেষ্টা করলেও আগুনের তীব্রতায় বের করতে পারেনি। পরে আমরা গিয়ে আগুন নেভাই ও শিশুটির পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করি। অগ্নিকান্ডের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিশুটি আগুন নিয়ে খেলছিল নাকি শর্টসার্কিট হয়েছে তা আপাতত বলতে পারছি না। তবে প্রাথমিকভাবে শর্টসার্কিটের কথাই সন্দেহ করছি।
আশুলিয়া থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নূর আলম মিয়া বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশুটির লাশ ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে আমাদের কাছে দিয়েছে। ঘরের সবকিছুই পুড়ে একেবারে ছাই। লাশের কিছু অংশ পাওয়া গেছে।
ট্যাগ :

সাভারে তালাবদ্ধ ঘরে আগুনে পুড়ে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৮:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সাভারের আশুলিয়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়াসহ সাকিব (৪) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাথালিয়া ইউনিয়নের পানধোয়া এলাকায় শামসুন্নাহারের মালিকানাধীন টিনশেড বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ওই বাড়ির  ৪টি কক্ষ এবং ভিতরে থাকা মালামাল পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শিশুরটির দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত সাকিব পানধোয়া এলাকার দিনমজুর নিজাম উদ্দিনের ছেলে। তারা ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হলেও তাদের নিজস্ব বাড়ি না থাকায় স্থানীয় শামসুন্নাহারের বাসায় ভাড়া থাকত।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত সাকিবের বাবা দিনমজুর ও মা মানুষের বাসায় কাজ করে। তাই ৫ বছরের শিশু সাকিবকে ঘরে তালাবদ্ধ রেখেই কাজে যান তাঁরা। কিন্তু রবিবার হঠাৎই ঘরে আগুন লেগে যাওয়ায় বের হতে না পেরে ঘরের ভেতরেই আগুনে পুড়ে মারা যায় শিশুটি। যে ঘরে শিশুটি ছিল, সেই ঘরের সবকিছুই আগুনে পুড়ে গেছে। তবে আশপাশের কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়লেও সব পুড়ে যায়নি, কিছু কিছু জিনিস বের করতে পেরেছে।
পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোজাফফর হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি অনেক দরিদ্র। তারা এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হলেও নিজেদের কোনো বাড়ি নেই। শিশুটির শরীরের প্রায় ৪ ভাগের ৩ ভাগ অংশ পুড়ে গেছে।
জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম বলেন, ‘শিশুকে তালাবদ্ধ রেখে কাজে যেতেন বাবা-মা। আজ সেই ঘর থেকেই আগুনের সূত্রপাত। এক প্রতিবেশীর কাছে সাকিবদের ঘরের চাবি ছিল, আগুন ছড়িয়ে পড়লে তারা ঘর খুলে শিশুটিকে বের করার চেষ্টা করলেও আগুনের তীব্রতায় বের করতে পারেনি। পরে আমরা গিয়ে আগুন নেভাই ও শিশুটির পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করি। অগ্নিকান্ডের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিশুটি আগুন নিয়ে খেলছিল নাকি শর্টসার্কিট হয়েছে তা আপাতত বলতে পারছি না। তবে প্রাথমিকভাবে শর্টসার্কিটের কথাই সন্দেহ করছি।
আশুলিয়া থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নূর আলম মিয়া বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশুটির লাশ ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে আমাদের কাছে দিয়েছে। ঘরের সবকিছুই পুড়ে একেবারে ছাই। লাশের কিছু অংশ পাওয়া গেছে।