০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সেই যুবলীগ নেতা নাজমুল কারাগারে

নিজের সাজা অন্যজনকে দিয়ে খাটানোর ঘটনায় সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৩ মে) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিনুল ইসলামের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মিলনবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‘মাদক মামলায় যুবলীগ নেতার আয়নাবাজি’ শিরোনামে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। তবে এর আগে ওই মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হাসানের নামে ২০২৩ সালে হাইকোর্টে একটি আপিল করা হয়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আপিল শুনানি শেষে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য ছিল। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন সেদিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করে আইনগত প্রতিকার প্রার্থনা করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আদালত রায় ঘোষণা মুলতবি করেন। অন্যদিকে বিচারিক আদালতের একজন আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করেন। পরে প্রধান বিচারপতি আপিলটি নিষ্পত্তির জন্য ওই বেঞ্চে পাঠান।

গত ২৪ এপ্রিল এক আসামির পরিবর্তে আরেকজনের সাজা খাটার ঘটনায় নিম্ন আদালতের বিচারক, আইনজীবী ও কারা কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে তাদেরকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

হাইকোর্টের এ আদেশ অনুযায়ী আজ সবাই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আদালতে আসামি নাজমুল হাসানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা। দুই জেলারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আজিম। আর দুই আইনজীবীর পক্ষে ছিলেন এস এম শাহজাহান।

শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, নাজমুল যে হলফনামা দাখিল করেছেন, সেখানে তিনি নিজেই বলেছেন, এ রায়ের ব্যাপারে তিনি জানেন না। এমনকি রায়ের পরে তিনি হাজিরও হননি। তাহলে তিনি নিজেই বলছেন তিনি পলাতক। পলাতক অবস্থায় তার বাইরে থাকার সুযোগ নেই।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ট্যাগ :

সেই যুবলীগ নেতা নাজমুল কারাগারে

প্রকাশিত : ০২:৪৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

নিজের সাজা অন্যজনকে দিয়ে খাটানোর ঘটনায় সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৩ মে) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিনুল ইসলামের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মিলনবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‘মাদক মামলায় যুবলীগ নেতার আয়নাবাজি’ শিরোনামে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। তবে এর আগে ওই মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হাসানের নামে ২০২৩ সালে হাইকোর্টে একটি আপিল করা হয়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আপিল শুনানি শেষে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য ছিল। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন সেদিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করে আইনগত প্রতিকার প্রার্থনা করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আদালত রায় ঘোষণা মুলতবি করেন। অন্যদিকে বিচারিক আদালতের একজন আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করেন। পরে প্রধান বিচারপতি আপিলটি নিষ্পত্তির জন্য ওই বেঞ্চে পাঠান।

গত ২৪ এপ্রিল এক আসামির পরিবর্তে আরেকজনের সাজা খাটার ঘটনায় নিম্ন আদালতের বিচারক, আইনজীবী ও কারা কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে তাদেরকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

হাইকোর্টের এ আদেশ অনুযায়ী আজ সবাই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আদালতে আসামি নাজমুল হাসানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা। দুই জেলারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আজিম। আর দুই আইনজীবীর পক্ষে ছিলেন এস এম শাহজাহান।

শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, নাজমুল যে হলফনামা দাখিল করেছেন, সেখানে তিনি নিজেই বলেছেন, এ রায়ের ব্যাপারে তিনি জানেন না। এমনকি রায়ের পরে তিনি হাজিরও হননি। তাহলে তিনি নিজেই বলছেন তিনি পলাতক। পলাতক অবস্থায় তার বাইরে থাকার সুযোগ নেই।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে