০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ৭ জনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়টি রোববার রাত ৮টার দিকে উপকূলে আঘাত করে। এই ঝড়ের প্রভাবে গতকাল থেকে আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, ভোলা, চট্টগ্রামে মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বরিশালের রূপাতলীতে দেয়াল চাপায় মারা গেছেন দুজন।

সোমবার (২৭ মে) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল এলাকায় দেয়াল চাপায় মারা যান সাইফুল ইসলাম হৃদয় নামের এক পথচারী।

স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের সময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় একটি দেয়ালের পাশে আশ্রয় নেন হৃদয়। হঠাৎ দেয়ালটি ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে মারা যান তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস তার মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ভোলায় বসতঘরে চাপা পড়ে মারা যান মনেজা খাতুন নামের এক নারী। তিনি লালমোহন উপজেলার চর উমেদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদেরের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, রাতে মনেজা খাতুন তার এক নাতিকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে ঝড়ো বাতাসে তার টিনের ঘর ভেঙে চাপা পড়েন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনেজা। তবে অক্ষত আছেন তার নাতি। এ ছাড়া জেলার দৌলতখানে ঘর চাপা পড়ে মাইশা (৪) নামে আর এক শিশুর প্রাণ গেছে।

এ ছাড়া রোববার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালি আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকত মোড়ল নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। একইদিন বিকেলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপ‌জেলার ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্লা‌বিত এলাকা থেকে বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে মো. শরীফুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়।

এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কয়রা ও খুলনায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসাবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমেই বৃষ্টিপাত ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।

এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১২:২৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়টি রোববার রাত ৮টার দিকে উপকূলে আঘাত করে। এই ঝড়ের প্রভাবে গতকাল থেকে আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, ভোলা, চট্টগ্রামে মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বরিশালের রূপাতলীতে দেয়াল চাপায় মারা গেছেন দুজন।

সোমবার (২৭ মে) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল এলাকায় দেয়াল চাপায় মারা যান সাইফুল ইসলাম হৃদয় নামের এক পথচারী।

স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের সময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় একটি দেয়ালের পাশে আশ্রয় নেন হৃদয়। হঠাৎ দেয়ালটি ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে মারা যান তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস তার মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ভোলায় বসতঘরে চাপা পড়ে মারা যান মনেজা খাতুন নামের এক নারী। তিনি লালমোহন উপজেলার চর উমেদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদেরের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, রাতে মনেজা খাতুন তার এক নাতিকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে ঝড়ো বাতাসে তার টিনের ঘর ভেঙে চাপা পড়েন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনেজা। তবে অক্ষত আছেন তার নাতি। এ ছাড়া জেলার দৌলতখানে ঘর চাপা পড়ে মাইশা (৪) নামে আর এক শিশুর প্রাণ গেছে।

এ ছাড়া রোববার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালি আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকত মোড়ল নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। একইদিন বিকেলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপ‌জেলার ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্লা‌বিত এলাকা থেকে বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে মো. শরীফুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়।

এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কয়রা ও খুলনায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসাবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমেই বৃষ্টিপাত ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।

এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে