০৯:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে জবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে বাংলাবাজার হয়ে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানেই সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান করে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘বাতিল করো, বাতিল করো, কোটা পদ্ধতি বাতিল করো’— এসব স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় জসিম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা যুক্ত করার মধ্য দিয়ে বৈষম্য করা হচ্ছে। আমরা কখনো এটা মেনে নেব না। ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সে সময় কোটা পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু আজকে হাইকোর্ট সেই কোটা পুনর্বহাল করেছেন। আমরা এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনির কিসের অবদান? তারা কেন এত সুযোগ পাবে? নাতি-নাতনি আর আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সমান।

চাকরিপ্রত্যাশী আরেক শিক্ষার্থী নাইমা আক্তার রিতা বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা যুক্ত করার ফলে আমাদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে। এটা আমরা কোনোভাবে মেনে নেব না। এ বৈষম্য দূর করার জন্য যদি এক মাস রাজপথে থাকতে হয়, তাহলে আমরা থাকব।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে জবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত : ০৩:১০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে বাংলাবাজার হয়ে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানেই সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান করে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘বাতিল করো, বাতিল করো, কোটা পদ্ধতি বাতিল করো’— এসব স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় জসিম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা যুক্ত করার মধ্য দিয়ে বৈষম্য করা হচ্ছে। আমরা কখনো এটা মেনে নেব না। ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সে সময় কোটা পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু আজকে হাইকোর্ট সেই কোটা পুনর্বহাল করেছেন। আমরা এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনির কিসের অবদান? তারা কেন এত সুযোগ পাবে? নাতি-নাতনি আর আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সমান।

চাকরিপ্রত্যাশী আরেক শিক্ষার্থী নাইমা আক্তার রিতা বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা যুক্ত করার ফলে আমাদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে। এটা আমরা কোনোভাবে মেনে নেব না। এ বৈষম্য দূর করার জন্য যদি এক মাস রাজপথে থাকতে হয়, তাহলে আমরা থাকব।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে