০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

চাঞ্চল্যকর ৭ বছরের শিশু জিসান হত্যাকান্ডের মূলহোতা আল আমিন’কে গ্রেফতার করেছে সিপিসি-২ সাভার:র‍্যাব-৪

্যাব-৪ এর আওতাধীন সিপিসি-২ সাভার,সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জোরালো তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ১০ জুন ২০২৪ তারিখ রাতে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিখোঁজের একদিন পর ৭ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার ও হত্যাকান্ডের মূলহোতা আল আমিন (২২)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গত ০৯ জুন ২০২৪ তারিখ বিকালে ভিকটিমের পিতা তার ৭ বছরের শিশু নিখোঁজের বিষয়ে র্যাব-৪ সাভার ক্যাম্পে একটি নিখোঁজ অভিযোগ দাখিল করেন।পরবর্তীতে ১০ জুন ২০২৪ তারিখ বিকালে জানা যায় যে, ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কালামপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে জঙ্গলের ভিতরে একটি শিশুর নিথর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ কর্তৃক মরদেহ উদ্ধারপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, আসামী আল আমিন পেশায় একজন চোর। চুরির পাশাপাশি সে ছিনতাই ও ডাকাতির সাথেও জড়িত। আসামী নিয়মিত মাদক হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজা সেবনেও করে থাকে। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সে ধামরাই, আশুলিয়া, সাভারসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেফতারকৃত আসামী গত ৯ জুন ২০২৪ তারিখ বিকেলে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কালামপুর এলাকায় গেলে সেখানে সে ভিকটিম শিশুটির গলায় রুপার চেইন পরিহিত অবস্থায় খেলতে দেখতে পায়। এ সময় আসামী কৌশলে ভিকটিম শিশুটিকে চকলেট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশে জঙ্গলে নিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিম শিশুটিকে জঙ্গলে নিয়ে বলাৎকার করে তার গলায় থাকা রুপার চেইনটি খুলে নিয়ে শিশুটির পরিহিত প্যান্টের রশি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে এবং শিশুটি মাথার অংশ কাদা যুক্ত মাটির নিচে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে আসামী ভিকটিমের গলায় পরিহিত রুপার চেইনটি নিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য যে,একই এলাকায় গত ৫/৬ মাস পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামী চুরির ঘটনায় ধরা পড়ে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

চাঞ্চল্যকর ৭ বছরের শিশু জিসান হত্যাকান্ডের মূলহোতা আল আমিন’কে গ্রেফতার করেছে সিপিসি-২ সাভার:র‍্যাব-৪

প্রকাশিত : ০৮:৫০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

্যাব-৪ এর আওতাধীন সিপিসি-২ সাভার,সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জোরালো তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ১০ জুন ২০২৪ তারিখ রাতে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিখোঁজের একদিন পর ৭ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার ও হত্যাকান্ডের মূলহোতা আল আমিন (২২)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গত ০৯ জুন ২০২৪ তারিখ বিকালে ভিকটিমের পিতা তার ৭ বছরের শিশু নিখোঁজের বিষয়ে র্যাব-৪ সাভার ক্যাম্পে একটি নিখোঁজ অভিযোগ দাখিল করেন।পরবর্তীতে ১০ জুন ২০২৪ তারিখ বিকালে জানা যায় যে, ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কালামপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে জঙ্গলের ভিতরে একটি শিশুর নিথর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ কর্তৃক মরদেহ উদ্ধারপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, আসামী আল আমিন পেশায় একজন চোর। চুরির পাশাপাশি সে ছিনতাই ও ডাকাতির সাথেও জড়িত। আসামী নিয়মিত মাদক হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজা সেবনেও করে থাকে। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সে ধামরাই, আশুলিয়া, সাভারসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেফতারকৃত আসামী গত ৯ জুন ২০২৪ তারিখ বিকেলে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কালামপুর এলাকায় গেলে সেখানে সে ভিকটিম শিশুটির গলায় রুপার চেইন পরিহিত অবস্থায় খেলতে দেখতে পায়। এ সময় আসামী কৌশলে ভিকটিম শিশুটিকে চকলেট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশে জঙ্গলে নিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিম শিশুটিকে জঙ্গলে নিয়ে বলাৎকার করে তার গলায় থাকা রুপার চেইনটি খুলে নিয়ে শিশুটির পরিহিত প্যান্টের রশি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে এবং শিশুটি মাথার অংশ কাদা যুক্ত মাটির নিচে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে আসামী ভিকটিমের গলায় পরিহিত রুপার চেইনটি নিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য যে,একই এলাকায় গত ৫/৬ মাস পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামী চুরির ঘটনায় ধরা পড়ে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।