০১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে ড. ইউনূসের’

অর্থ আত্মসাতের মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হতে পারে।

দুদকের পিপি আরও জানান, মানিলন্ডারিংয়ের যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, সেই ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১২ বছর এবং সর্বনিম্ন চার বছরের সাজা হয়েছে। অন্যান্য ধারায়ও শাস্তির বিধান রয়েছে। এ বিষয়টি সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে, মামলা নিস্পত্তির পর আদালত পর্যালোচনা করবেন।

বুধবার (১২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ। একই সঙ্গে আগামী ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এদিকে ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকারের নির্দেশেই হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মতো কোনও উপদান ছিল না মামলাটিতে। আমরা এই অভিযোগ গঠন আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।

গত ২ জুন দুদকের পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন। অপরদিকে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের পক্ষের তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১২ জুন দিন ধার্য করেন।

২০২৩ সালের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

জনপ্রিয়

‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে ড. ইউনূসের’

প্রকাশিত : ০৪:২২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

অর্থ আত্মসাতের মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হতে পারে।

দুদকের পিপি আরও জানান, মানিলন্ডারিংয়ের যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, সেই ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১২ বছর এবং সর্বনিম্ন চার বছরের সাজা হয়েছে। অন্যান্য ধারায়ও শাস্তির বিধান রয়েছে। এ বিষয়টি সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে, মামলা নিস্পত্তির পর আদালত পর্যালোচনা করবেন।

বুধবার (১২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ। একই সঙ্গে আগামী ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এদিকে ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকারের নির্দেশেই হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মতো কোনও উপদান ছিল না মামলাটিতে। আমরা এই অভিযোগ গঠন আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।

গত ২ জুন দুদকের পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন। অপরদিকে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের পক্ষের তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১২ জুন দিন ধার্য করেন।

২০২৩ সালের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে