০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেরপুরে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী মো.তোফাজ্জল হোসেন (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪। রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় তাকে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ধনতলা বেলগাছা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃত মো.তোফাজ্জেল হোসেন শ্রীবরদী উপজেলার পশ্চিম খারামোড়া এলাকার মো. গুডেলু মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব-১৪,জামালপুর এর সুত্রে জানা গেছে,গত ২৫/২৬ বছর আগে আহাম্মদ আলীর মেয়ে রহিমা খাতুন ওরফে মালতী (৪১)কে একই উপজেলার ছনকান্দা গ্রামের মৃত ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল সালামের সাথে বিবাহ হয়। রহিমা খাতুন ওরফে মালতীর স্বামী আব্দুস সালাম ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে প্রায় ৪ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর রহিমা খাতুন ওরফে মালতী সংসারের তাগিদে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকুরী নেয়। চাকুরী করাকালীন এক পর্যায়ে মো. তোফাজ্জল হোসেনের সাথে পরিচয় ও প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।তাহারা উভয়ে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করতে থাকে।

ঘটনার ৭/৮ দিন আগে তোফাজ্জল হোসেন ধান কাটার কথা বলে তার নিজ বাড়িতে এসে মালতীর সাথে যোগাযোগ খোঁজখবর নেয়া বন্ধ করে দেয়। ঘটনার ৩/৪ দিন আগে রহিমা খাতুন ওরফে মালতী তার বড় বোন মোছা.আসমা আক্তারের বাড়িতে এসে তার সাথে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।পরে চলতি বছরের ১৭ মে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে রহিমা খাতুন ওরফে মালতী তোফাজ্জল হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে তাকে বিবাহ করার দাবি জানান।

তোফাজ্জল হোসেন তাকে বিবাহ করবেনা মর্মে সাফ জানিয়ে দেন পাশাপাশি তোফাজ্জল হোসেন ও তার প্রথম স্ত্রী মোছা.খালেদা বেগম,রহিমা খাতুন ওরফে মালতীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করে। একপর্যায়ে টানা হেচড়া করে মালতিকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।পরবর্তীতে তোফাজ্জল হোসেন রহিমা খাতুন ওরফে মালতীর সাথে প্রেম ভালোবাসা করার পরেও বিবাহ করতে অস্বীকার করায় মনের ক্ষোভে চলতি বছরের ১৮ মে সকালে উপজেলার বালিজুরী এলাকায় বনবিভাগের খাঁস জমিতে থাকা গাছের ডালের সাথে মালতীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার সহ ওড়নার আচলে বাঁধা একটি চিরকুট পায়।

ভিকটিম মালতী মৃত্যুর বিষয়ে যাবতীয় ঘটনা উল্লেখ করেছে সেই চিরকুটে।পুলিশ মৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।পরে নিহতের পিতা আহাম্মদ আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার পর থেকেই মো. তোফাজ্জেল হোসেন পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলো।

এই ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র‌্যাব-১৪,সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো.আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল তাকে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে উক্ত মামলায় শ্রীবরদী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS

ট্যাগ :

শেরপুরে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ০৬:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী মো.তোফাজ্জল হোসেন (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪। রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় তাকে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ধনতলা বেলগাছা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃত মো.তোফাজ্জেল হোসেন শ্রীবরদী উপজেলার পশ্চিম খারামোড়া এলাকার মো. গুডেলু মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব-১৪,জামালপুর এর সুত্রে জানা গেছে,গত ২৫/২৬ বছর আগে আহাম্মদ আলীর মেয়ে রহিমা খাতুন ওরফে মালতী (৪১)কে একই উপজেলার ছনকান্দা গ্রামের মৃত ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল সালামের সাথে বিবাহ হয়। রহিমা খাতুন ওরফে মালতীর স্বামী আব্দুস সালাম ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে প্রায় ৪ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর রহিমা খাতুন ওরফে মালতী সংসারের তাগিদে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকুরী নেয়। চাকুরী করাকালীন এক পর্যায়ে মো. তোফাজ্জল হোসেনের সাথে পরিচয় ও প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।তাহারা উভয়ে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করতে থাকে।

ঘটনার ৭/৮ দিন আগে তোফাজ্জল হোসেন ধান কাটার কথা বলে তার নিজ বাড়িতে এসে মালতীর সাথে যোগাযোগ খোঁজখবর নেয়া বন্ধ করে দেয়। ঘটনার ৩/৪ দিন আগে রহিমা খাতুন ওরফে মালতী তার বড় বোন মোছা.আসমা আক্তারের বাড়িতে এসে তার সাথে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।পরে চলতি বছরের ১৭ মে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে রহিমা খাতুন ওরফে মালতী তোফাজ্জল হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে তাকে বিবাহ করার দাবি জানান।

তোফাজ্জল হোসেন তাকে বিবাহ করবেনা মর্মে সাফ জানিয়ে দেন পাশাপাশি তোফাজ্জল হোসেন ও তার প্রথম স্ত্রী মোছা.খালেদা বেগম,রহিমা খাতুন ওরফে মালতীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করে। একপর্যায়ে টানা হেচড়া করে মালতিকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।পরবর্তীতে তোফাজ্জল হোসেন রহিমা খাতুন ওরফে মালতীর সাথে প্রেম ভালোবাসা করার পরেও বিবাহ করতে অস্বীকার করায় মনের ক্ষোভে চলতি বছরের ১৮ মে সকালে উপজেলার বালিজুরী এলাকায় বনবিভাগের খাঁস জমিতে থাকা গাছের ডালের সাথে মালতীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার সহ ওড়নার আচলে বাঁধা একটি চিরকুট পায়।

ভিকটিম মালতী মৃত্যুর বিষয়ে যাবতীয় ঘটনা উল্লেখ করেছে সেই চিরকুটে।পুলিশ মৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।পরে নিহতের পিতা আহাম্মদ আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার পর থেকেই মো. তোফাজ্জেল হোসেন পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলো।

এই ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র‌্যাব-১৪,সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো.আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল তাকে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে উক্ত মামলায় শ্রীবরদী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS