০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লোহাগাড়ায় বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বেশি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বেসরকারি (ভাড়ায় চালিত) এ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নেয়ার সুযোগ না থাকলেও সেটি এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি খোদ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং চালকও স্বীকার করেছেন। দেখিয়েছেন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং এ্যাম্বুলেন্সের সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখার অজুহাত। লোহাগাড়া থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার ভাড়া বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স নিচ্ছে ২৫শত থেকে ২৮শত টাকা। সেখানে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে নিচ্ছে ৩১ শত টাকা।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারিভাবে একটি এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু রয়েছে। লোহাগাড়া থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুরত্ব অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত ভাড়া আসে ১২’শ টাকা। অথচ তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং এ্যাম্বুলেন্সের সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখার অজুহাত দেখিয়ে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি ৩ হাজার ১’শ টাকা। যেটি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে বেশি। জরুরিমুহুর্তে অসহায় রোগীর স্বজনরা এর প্রতিবাদও করতে পারেন না।

আধুনগরের গাউছিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক আবুল হোসেন বলেন, আমার দোকানের কর্মচারী বিটন বড়ুয়া গত ১২ জুলাই চরম্বায় কাজ করতে গিয়ে টিনের চালা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রেফার করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। এসময় রোগী গাড়িতে উঠানোর আগে ৩ হাজার ১’শ টাকা দরদাম ঠিক করেন কর্তৃপক্ষ এবং পরে সেখানকার সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে করে চমেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জরুরিমুহুর্তে প্রতিবাদ করার সুযোগও পাইনি। তিনি আরও বলেন, সরকারি এ্যাম্বুলেন্স হয়েও বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছে।

এ্যাম্বুলেন্সের চালক নুর হোসেন বলেন, পেট্রোল পাম্পে বকেয়া থাকলে তেল দেয় না তাই রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি নেয়া হয়। যাতে এ্যাম্বুলেন্সের সেবাটি চালু রাখা যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, এ্যাম্বুলেন্সের সেবাটি সার্বক্ষণিক চালু রাখার স্বার্থে বাড়তি দামটি নেয়া হচ্ছে। যেহেতু তেলের দাম বাড়তি সরকার যে নির্ধারিত ফি আছে ঐরকম ফি হলে সাধারণত দেখা যাবে মাসের ৫-৬ দিন সেবাটি চালু রাখা যাবে, বাকিসময় চালানো আর্থিক সংকট হয়ে যাবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

লোহাগাড়ায় বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বেশি

প্রকাশিত : ০১:৪১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বেসরকারি (ভাড়ায় চালিত) এ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নেয়ার সুযোগ না থাকলেও সেটি এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি খোদ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং চালকও স্বীকার করেছেন। দেখিয়েছেন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং এ্যাম্বুলেন্সের সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখার অজুহাত। লোহাগাড়া থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার ভাড়া বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স নিচ্ছে ২৫শত থেকে ২৮শত টাকা। সেখানে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে নিচ্ছে ৩১ শত টাকা।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারিভাবে একটি এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু রয়েছে। লোহাগাড়া থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুরত্ব অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত ভাড়া আসে ১২’শ টাকা। অথচ তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং এ্যাম্বুলেন্সের সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখার অজুহাত দেখিয়ে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি ৩ হাজার ১’শ টাকা। যেটি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে বেশি। জরুরিমুহুর্তে অসহায় রোগীর স্বজনরা এর প্রতিবাদও করতে পারেন না।

আধুনগরের গাউছিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক আবুল হোসেন বলেন, আমার দোকানের কর্মচারী বিটন বড়ুয়া গত ১২ জুলাই চরম্বায় কাজ করতে গিয়ে টিনের চালা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রেফার করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। এসময় রোগী গাড়িতে উঠানোর আগে ৩ হাজার ১’শ টাকা দরদাম ঠিক করেন কর্তৃপক্ষ এবং পরে সেখানকার সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে করে চমেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জরুরিমুহুর্তে প্রতিবাদ করার সুযোগও পাইনি। তিনি আরও বলেন, সরকারি এ্যাম্বুলেন্স হয়েও বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছে।

এ্যাম্বুলেন্সের চালক নুর হোসেন বলেন, পেট্রোল পাম্পে বকেয়া থাকলে তেল দেয় না তাই রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি নেয়া হয়। যাতে এ্যাম্বুলেন্সের সেবাটি চালু রাখা যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, এ্যাম্বুলেন্সের সেবাটি সার্বক্ষণিক চালু রাখার স্বার্থে বাড়তি দামটি নেয়া হচ্ছে। যেহেতু তেলের দাম বাড়তি সরকার যে নির্ধারিত ফি আছে ঐরকম ফি হলে সাধারণত দেখা যাবে মাসের ৫-৬ দিন সেবাটি চালু রাখা যাবে, বাকিসময় চালানো আর্থিক সংকট হয়ে যাবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে