১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রবল বৃষ্টি ও ভারত থেকে পানি আসায় চরম ভোগান্তিতে গোমতী পাড়ের মানুষ

গত তিন দিনের টানা ভারীবর্ষণ ও বৃষ্টিপাতের ফলে এবং উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের কামারখাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেঁচ গেইটের ভেতর দিয়ে পানি দ্রুত প্রবেশ করছে।স্বেচ্ছাসেবী কর্মী,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা,উপজেলা প্রশাসন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন,জনপ্রতিনিধি ও স্হানীয় জণগণ এই বেড়ীবাঁধের সেচ গেইটটি বস্তায় বস্তায় মাটি দিয়েও মেরামত করতে পারছেনা।এতে বুড়িচং উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে।ইতিমধ্যে গোমতী পাড়ের মানুষ তাদের জানমাল রক্ষার্থে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র,শুকনো খাবার ও গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছে। ভারতের ত্রিপুরা থেকে খরস্রোতা পানিতে গোমতীর চরের ফসলী জমি এবং শতাধিক বাড়িঘর ভেসে গেছে। হাজার হাজার মানুষ তীরে অবস্থান করছে। বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের কিংবাজেহুড়া গ্রামের মানুষের ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।২২ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের পালপাড়া থেকে নানুয়ার বাজার পর্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কয়েকটি স্থানে ছোট -বড় খাল ও রাস্তাগুলো পানিতে সয়লাব। এদিকে স্থানীয় লোকজন গোমতীর বুড়িচং অংশে বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার কাজ করছে। পানি নদীর আইল (বেড়িবাঁধ) ছুঁই ছুঁই।উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেন, আমি বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। এতে গোমতীর বেড়িবাঁধের সাত স্থানে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে (বেড়িবাঁধ) ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় লোকজন মিলে বস্তা দিয়ে মেরামত করছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করছি এবং ইত্যিমধ্যে কিছু বিতরণও করছি।

তিনি আরো বলেন, বৃষ্টি পড়া বন্ধ হয়ে গেলে বিপদ কেটে যাবে। এখনো বড় ধরণের কোনো বিপদ হয় নাই। বুড়িচং উপজেলার কংশনগর এলাকায় দুটি, গোবিন্দুপুর এলাকায় দুটি, কাহেতরা এলাকায় একটি এবং ভান্তি এলাকায় একটি,কামাড়খাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি সহ বেড়িবাঁধের সাতটি স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

দশম গ্রেড বাস্তবায়নে সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্মারকলিপি

প্রবল বৃষ্টি ও ভারত থেকে পানি আসায় চরম ভোগান্তিতে গোমতী পাড়ের মানুষ

প্রকাশিত : ০৭:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

গত তিন দিনের টানা ভারীবর্ষণ ও বৃষ্টিপাতের ফলে এবং উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের কামারখাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেঁচ গেইটের ভেতর দিয়ে পানি দ্রুত প্রবেশ করছে।স্বেচ্ছাসেবী কর্মী,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা,উপজেলা প্রশাসন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন,জনপ্রতিনিধি ও স্হানীয় জণগণ এই বেড়ীবাঁধের সেচ গেইটটি বস্তায় বস্তায় মাটি দিয়েও মেরামত করতে পারছেনা।এতে বুড়িচং উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে।ইতিমধ্যে গোমতী পাড়ের মানুষ তাদের জানমাল রক্ষার্থে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র,শুকনো খাবার ও গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছে। ভারতের ত্রিপুরা থেকে খরস্রোতা পানিতে গোমতীর চরের ফসলী জমি এবং শতাধিক বাড়িঘর ভেসে গেছে। হাজার হাজার মানুষ তীরে অবস্থান করছে। বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের কিংবাজেহুড়া গ্রামের মানুষের ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।২২ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের পালপাড়া থেকে নানুয়ার বাজার পর্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কয়েকটি স্থানে ছোট -বড় খাল ও রাস্তাগুলো পানিতে সয়লাব। এদিকে স্থানীয় লোকজন গোমতীর বুড়িচং অংশে বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার কাজ করছে। পানি নদীর আইল (বেড়িবাঁধ) ছুঁই ছুঁই।উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেন, আমি বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। এতে গোমতীর বেড়িবাঁধের সাত স্থানে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে (বেড়িবাঁধ) ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় লোকজন মিলে বস্তা দিয়ে মেরামত করছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করছি এবং ইত্যিমধ্যে কিছু বিতরণও করছি।

তিনি আরো বলেন, বৃষ্টি পড়া বন্ধ হয়ে গেলে বিপদ কেটে যাবে। এখনো বড় ধরণের কোনো বিপদ হয় নাই। বুড়িচং উপজেলার কংশনগর এলাকায় দুটি, গোবিন্দুপুর এলাকায় দুটি, কাহেতরা এলাকায় একটি এবং ভান্তি এলাকায় একটি,কামাড়খাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি সহ বেড়িবাঁধের সাতটি স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।