দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংশোধনে অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শফিকুর রহমান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব অনেক। তারা আওয়ামী-বাকশালীদের হাত থেকে একটি বিধ্বস্ত দেশ পেয়েছেন। তাই দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংশোধনে সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে। দেশের মানুষ জাস্টিস চায়। দেশে জাস্টিস প্রতিষ্ঠা করা না গেলে স্বাধীনতা কখনো অর্থবহ হয়ে উঠবে না কিংবা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করা যাবে না। আর দেশের আকাশ থেকে এখনো কালো মেঘের ঘনঘটা কেটে যায়নি। শকুনীর দৃষ্টি এখনো তৎপর রয়েছে। তাই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা এবং সুশাসন ও ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে আরও বড় ধরনের ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন তার লেখনী ও তাফসির মাহফিলের মাধ্যমে আমৃত্যু দ্বীনের খেদমত করে গেছেন। কিন্তু জুলুমবাজ ও ফ্যাসিবাদী সরকার তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা দিয়ে তাকে কারারুদ্ধ করেছে।
তারা দেশকে মেধা ও নেতৃত্বশূন্য করার জন্যই কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে প্রহসন করে শীর্ষ ১১ জন জাতীয় নেতা ও বরেণ্য আলেমদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যার মহড়া চালিয়েছে। তারা ৫ জন নেতাকে প্রহসনের বিচারের নামে ফাঁসিতে হত্যা আরও ৫ জন নেতাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। বরং জামায়াতকে ধ্বংস করার জন্য শত শত নেতাকে হত্যা করেছে। পঙ্গু করেছে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে। তারা অন্যান্য বিরোধী দলের ওপরও নির্মম দলন-পীড়ন চালিয়েছে। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু জুলুমবাজ ও ফ্যাসিবাদীদের শেষ রক্ষা হয়নি। বরং ছাত্র-জনতার তোপের মুখে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
জামায়াতের আমীর বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনে দিশাহারা হয়ে জামায়াত নিষিদ্ধ করেছিল। তারা জামায়াতের ওপর দায় চাপিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু আমরা সে পাতানো ফাঁদে পা দেইনি। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করে মাত্র ২৬ দিনের মাথায় আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।
পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, প্রফেসর ড. আব্দুল হান্নান, ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, সাবেক জাজ এডভোকেট তাহা মোল্লাহ, কর্নেল (অব.) ডা. জিহাদ খান, ইঞ্জিনিয়ার মিসবাহ উদ্দীন খান, ওবায়দুর রহমান, ড. মুফতি মাওলানা আবুল কালাম আযাদ বাশার, মোহাম্মদ মাসুদ কবির, উত্তর জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মুসা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/এমএফ

























