০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লোডশেডিং বেশি হচ্ছে গ্রামাঞ্চলে

জ্বালানি সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে লোডশেডিংয়ের ধকলে পড়েছেন মানুষজন। রাজধানী ঢাকার অনেক এলাকায়ও দিনে ও রাতে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে দেশের অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে।

ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। এ দুটি সংস্থার দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ঢাকায় আগের দিনের মতো লোডশেডিং ছিল গতকাল বুধবারও। গতকাল দিনের বেলাতেও ডেসকো এলাকায় ১৫০ মেগাওয়াট ও ডিপিডিসি এলাকায় ২০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। এতে করে রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় এক ঘণ্টা আর কোথাও দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) তথ্য বলছে, গতকাল দিনের বেলায় বিকেল তিনটার দিকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯২ মেগাওয়াট লোডশেডিং করেছে তারা। গড়ে ২৫ শতাংশ সরবরাহ কম পেয়েছে আরইবি।

আরইবি ঢাকা শহরের বাইরে ঢাকা জেলার সব গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। গতকাল ৩৩ শতাংশ সরবরাহ ঘাটতি ছিল। কুমিল্লা এলাকায় সরবরাহ ঘাটতি ছিল ৩৪ শতাংশ। ময়মনসিংহ অঞ্চলে এটি ছিল ৩৩ শতাংশ। এর বাইরে রাজশাহী ২৭ শতাংশ, রংপুর ও সিলেটে ১৯ শতাংশ করে, চট্টগ্রামে ৬ শতাংশ ও বরিশালে ১ শতাংশ বিদ্যুৎ–ঘাটতি ছিল।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের বর্তমান সক্ষমতা ২৭ হাজার ৮৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে জ্বালানিস্বল্পতায় ৩ হাজার ৮৪৬, আর রক্ষণাবেক্ষণ ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩ হাজার ৮৩৫ মেগাওয়াট ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কয়লার অভাবে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুরোদমে উৎপাদন করা যাচ্ছে না। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কেন্দ্রটি থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে ৮০০ মেগাওয়াট।

পিডিবি সূত্র বলছে, বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে পটুয়াখালীর পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পুরো সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। বাগেরহাটের রামপাল কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি বন্ধ ছিল কারিগরি কারণে। গতকাল থেকে দুটিই চালু হয়েছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী কেন্দ্রের একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণে, তাই অর্ধেক সরবরাহ হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

আমি কুমিল্লার মানুষের হৃদয়ে নাম লিখতে চাই : নবাগত জেলা প্রশাসক

লোডশেডিং বেশি হচ্ছে গ্রামাঞ্চলে

প্রকাশিত : ১০:৩৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জ্বালানি সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে লোডশেডিংয়ের ধকলে পড়েছেন মানুষজন। রাজধানী ঢাকার অনেক এলাকায়ও দিনে ও রাতে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে দেশের অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে।

ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। এ দুটি সংস্থার দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ঢাকায় আগের দিনের মতো লোডশেডিং ছিল গতকাল বুধবারও। গতকাল দিনের বেলাতেও ডেসকো এলাকায় ১৫০ মেগাওয়াট ও ডিপিডিসি এলাকায় ২০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। এতে করে রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় এক ঘণ্টা আর কোথাও দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) তথ্য বলছে, গতকাল দিনের বেলায় বিকেল তিনটার দিকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯২ মেগাওয়াট লোডশেডিং করেছে তারা। গড়ে ২৫ শতাংশ সরবরাহ কম পেয়েছে আরইবি।

আরইবি ঢাকা শহরের বাইরে ঢাকা জেলার সব গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। গতকাল ৩৩ শতাংশ সরবরাহ ঘাটতি ছিল। কুমিল্লা এলাকায় সরবরাহ ঘাটতি ছিল ৩৪ শতাংশ। ময়মনসিংহ অঞ্চলে এটি ছিল ৩৩ শতাংশ। এর বাইরে রাজশাহী ২৭ শতাংশ, রংপুর ও সিলেটে ১৯ শতাংশ করে, চট্টগ্রামে ৬ শতাংশ ও বরিশালে ১ শতাংশ বিদ্যুৎ–ঘাটতি ছিল।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের বর্তমান সক্ষমতা ২৭ হাজার ৮৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে জ্বালানিস্বল্পতায় ৩ হাজার ৮৪৬, আর রক্ষণাবেক্ষণ ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩ হাজার ৮৩৫ মেগাওয়াট ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কয়লার অভাবে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুরোদমে উৎপাদন করা যাচ্ছে না। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কেন্দ্রটি থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে ৮০০ মেগাওয়াট।

পিডিবি সূত্র বলছে, বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে পটুয়াখালীর পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পুরো সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। বাগেরহাটের রামপাল কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি বন্ধ ছিল কারিগরি কারণে। গতকাল থেকে দুটিই চালু হয়েছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী কেন্দ্রের একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণে, তাই অর্ধেক সরবরাহ হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস