০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

এনবিআরের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, দুদকের পরিচালিত তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার নিজ নামে বা তার পক্ষে অনা কোন ব্যক্তির বৈধ উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পত্তির দখলে রয়েছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর ১৭ নং বিধির আলোকে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী তার সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

যে ১৭ জন কর্মকর্তার নামে সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে- কর অঞ্চল-৩ কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক, কর আপিল ট্রাব্যুনাল এর কমিশনার লোকমান আহমেদ, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কর কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, অতিরিক্ত কর কমিশনার মোঃ মামুন মিয়া, ভ্যাট গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারিক রিকাবদার, যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা সাহরিন সুস্মিতা, কর একাডেমির যুগ্ম-কর কমিশনার মোঃ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, কর অঞ্চল ১৬ এর উপকর কমিশনার মোঃ শিহাবুল ইসলাম, ভ্যাটের বিয়েত করদাতা ইউনিটের অতিরিক্ত অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশিদ মিয়া, রেলওয়ে কাস্টমসের কমিশনার মো কামরুজ্জামান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট পূর্বাঞ্চলের কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাছান, এনবিআরের সিআইসির সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, এনবিআরের সদস্য মো লুৎফুল আজিম ও সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম।

গত জুলাই মাসে দুদক থেকে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল দুদক। ওই সময়ে দুদকে জমাকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ”জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অংকের ঘুসের বিনিময়ে কর দাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাগণ নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।’ এক্ষেত্রে, প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করেন বলে জানা যায়। অনেক করদাতা আগাম কর দেন। আবার কেউ কেউ বেশি কর দেন। নিয়ম হচ্ছে এই কর হিসাব-নিকাশ করার পর বেশি দেওয়া হলে তা ওই করদাতাকে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরো অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ হয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা করের টাকা ফেরত দিতে নিজেরাও কামিয়ে নিচ্ছেন মোটা টাকা।” ”অনুরূপভাবে, বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকুরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও ক্ষেত্র বিশেষে আয়কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ও নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীত, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এমন অভিযোগ রয়েছে।

গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা এই দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করা হয়। মে মাসে প্রায় ১৪ দিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে সরকারের আশ্বাসে বাজেট পেশ হবার আগে কর্মসূচি প্রত্যাহার হয়। ফের একই দাবিতে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে কর্মসূচি পালন করা হয়। গত ২৯ জুন ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

দুদকের আরেক অনুসন্ধানে জ্ঞ‍্যাত আয় সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গাজীপুরের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম(৪৬)মোঃ মোতালিব হোসেন (৬০), ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিঃ, কোনাবাড়ি শাখা, গাজীপুর; (৩) শামীম হোসাইন (৪১)মোঃ আশরাফুল আলম রানা ওরফে রবিন (৫২)মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৪)প্লটু চাকমা (৩২)মোঃ মোকলেছুর রহমান (মুকুল) (৫৩), সার্ভেয়ার (চুক্তিভিত্তিক), অঞ্চল-৬, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন,গাজীপুর গণ অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও অপরাধমূলক অসদাচরনের মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে অভিনব উপায়ে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিঃ, কোনাবাড়ি শাখা, গাজীপুর-এ “গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন” নামীয় ভুয়া ব্যাংক হিসাব খুলে পরস্পর যোগসাজসে একে অপরের সহায়তায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোট ২,৬০,২৪,৯৯৫.৫০ (দুই কোটি ষাট লক্ষ চব্বিশ হাজার নয়শত পঁচানব্বই টাকা পঞ্চাশ পয়সা) টাকা আত্মসাত করতঃ দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিদায় তাদের সকলের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক প্রধান কার্যালয়ের মোঃ আশিকুর রহমান বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করছেন।

ডিএস./

ট্যাগ :

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

এনবিআরের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশিত : ০৫:৩৬:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, দুদকের পরিচালিত তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার নিজ নামে বা তার পক্ষে অনা কোন ব্যক্তির বৈধ উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পত্তির দখলে রয়েছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর ১৭ নং বিধির আলোকে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী তার সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

যে ১৭ জন কর্মকর্তার নামে সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে- কর অঞ্চল-৩ কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক, কর আপিল ট্রাব্যুনাল এর কমিশনার লোকমান আহমেদ, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কর কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, অতিরিক্ত কর কমিশনার মোঃ মামুন মিয়া, ভ্যাট গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারিক রিকাবদার, যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা সাহরিন সুস্মিতা, কর একাডেমির যুগ্ম-কর কমিশনার মোঃ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, কর অঞ্চল ১৬ এর উপকর কমিশনার মোঃ শিহাবুল ইসলাম, ভ্যাটের বিয়েত করদাতা ইউনিটের অতিরিক্ত অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশিদ মিয়া, রেলওয়ে কাস্টমসের কমিশনার মো কামরুজ্জামান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট পূর্বাঞ্চলের কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাছান, এনবিআরের সিআইসির সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, এনবিআরের সদস্য মো লুৎফুল আজিম ও সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম।

গত জুলাই মাসে দুদক থেকে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল দুদক। ওই সময়ে দুদকে জমাকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ”জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অংকের ঘুসের বিনিময়ে কর দাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাগণ নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।’ এক্ষেত্রে, প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করেন বলে জানা যায়। অনেক করদাতা আগাম কর দেন। আবার কেউ কেউ বেশি কর দেন। নিয়ম হচ্ছে এই কর হিসাব-নিকাশ করার পর বেশি দেওয়া হলে তা ওই করদাতাকে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরো অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ হয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা করের টাকা ফেরত দিতে নিজেরাও কামিয়ে নিচ্ছেন মোটা টাকা।” ”অনুরূপভাবে, বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকুরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও ক্ষেত্র বিশেষে আয়কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ও নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীত, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এমন অভিযোগ রয়েছে।

গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা এই দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করা হয়। মে মাসে প্রায় ১৪ দিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে সরকারের আশ্বাসে বাজেট পেশ হবার আগে কর্মসূচি প্রত্যাহার হয়। ফের একই দাবিতে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে কর্মসূচি পালন করা হয়। গত ২৯ জুন ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

দুদকের আরেক অনুসন্ধানে জ্ঞ‍্যাত আয় সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গাজীপুরের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম(৪৬)মোঃ মোতালিব হোসেন (৬০), ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিঃ, কোনাবাড়ি শাখা, গাজীপুর; (৩) শামীম হোসাইন (৪১)মোঃ আশরাফুল আলম রানা ওরফে রবিন (৫২)মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৪)প্লটু চাকমা (৩২)মোঃ মোকলেছুর রহমান (মুকুল) (৫৩), সার্ভেয়ার (চুক্তিভিত্তিক), অঞ্চল-৬, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন,গাজীপুর গণ অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও অপরাধমূলক অসদাচরনের মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে অভিনব উপায়ে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিঃ, কোনাবাড়ি শাখা, গাজীপুর-এ “গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন” নামীয় ভুয়া ব্যাংক হিসাব খুলে পরস্পর যোগসাজসে একে অপরের সহায়তায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোট ২,৬০,২৪,৯৯৫.৫০ (দুই কোটি ষাট লক্ষ চব্বিশ হাজার নয়শত পঁচানব্বই টাকা পঞ্চাশ পয়সা) টাকা আত্মসাত করতঃ দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিদায় তাদের সকলের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক প্রধান কার্যালয়ের মোঃ আশিকুর রহমান বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করছেন।

ডিএস./