০৮:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

শেষবারের মতো আজ এফডিসিতে যাবেন অঞ্জনা

ঢালিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনা রহমানকে শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসি প্রাঙ্গণে নেওয়া হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তার মরদেহ, জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।

জানা গেছে, বেলা ১১টায় শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ এফডিসিতে নিয়ে যাওয়া হবে। বাদ জোহর এফডিসি প্রাঙ্গণে হবে প্রথম জানাজা। দ্বিতীয় জানাজা তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। এরপর বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

টানা ১০ দিন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিসিইউতে ছিলেন অঞ্জনা রহমান। আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় গত বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেন।

অঞ্জনার অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তবে অঞ্জনা অভিনীত ও একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’। ছবিতে তার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা। এ ছবির পর তাকে আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হয়নি।

১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। একে একে অভিনয় করেন ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’ ,‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, ‘অভিযান’, ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরীণিতা’ ইত্যাদি বাণিজ্যিক সফল সিনেমায়।

অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে অঞ্জনা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আন্তর্জাতিক পুরস্কার, একাধিক জাতীয় স্বর্ণপদক ও বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন কয়েকবার। নৃত্যশিল্পী হিসেবেও অঞ্জনা পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। অঞ্জনা বিয়ে করেন পরিচালক আজিজুর রহমান বুলিকে। তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

জনপ্রিয়

গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

শেষবারের মতো আজ এফডিসিতে যাবেন অঞ্জনা

প্রকাশিত : ১০:৩৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

ঢালিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনা রহমানকে শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসি প্রাঙ্গণে নেওয়া হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তার মরদেহ, জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।

জানা গেছে, বেলা ১১টায় শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ এফডিসিতে নিয়ে যাওয়া হবে। বাদ জোহর এফডিসি প্রাঙ্গণে হবে প্রথম জানাজা। দ্বিতীয় জানাজা তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। এরপর বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

টানা ১০ দিন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিসিইউতে ছিলেন অঞ্জনা রহমান। আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় গত বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেন।

অঞ্জনার অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তবে অঞ্জনা অভিনীত ও একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’। ছবিতে তার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা। এ ছবির পর তাকে আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হয়নি।

১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। একে একে অভিনয় করেন ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’ ,‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, ‘অভিযান’, ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরীণিতা’ ইত্যাদি বাণিজ্যিক সফল সিনেমায়।

অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে অঞ্জনা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আন্তর্জাতিক পুরস্কার, একাধিক জাতীয় স্বর্ণপদক ও বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন কয়েকবার। নৃত্যশিল্পী হিসেবেও অঞ্জনা পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। অঞ্জনা বিয়ে করেন পরিচালক আজিজুর রহমান বুলিকে। তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস