০৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

থানায় জিডি করতে কোন প্রকার টাকা লাগবে না আনোয়ারা থানার (ওসি) মোঃ মনির হোসেন

আনোয়ায়া থানায় জিডি, সাধারণ ডায়েরি বা মামলা – অভিযোগ প্রত্যাহার করলে কোন প্রকার টাকা লাগবে না আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনির হোসেন।
জানা যায়- থানায় সাধারণত ডায়রি বা নিখোঁজ অভিযোগ করার ক্ষেত্রে প্রথম কম্পিউটার দোকান গিয়ে ২০০/২৫০ টাকার বিনিময়ে অভিযোগটি লিখতে হবে।তারপর থানায় ডিউটি অফিসার বরাবর জমা দিতে হয়।তারপর থানা থেকে ইউনিয়ন ভিত্তিক বিট পুলিশের দায়িত্বে দেওয়া হয়।অভিযোগটি তদন্ত করা জন্য। অভিযোগটি দায়িত্বরত কর্মকর্তা ঘটনা স্থানে গিয়ে তদন্ত করবে।
অনুসন্ধানে এবং ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায় – থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ কর্মকর্তা বাড়িতে তদন্ত করতে আসবে এবং এলাকাবাসীসহ সকলে সাথে কথা বলে অভিযোগটি তদন্ত করবে।তারপর যাওয়ার সময় কিছু খরচ চাইবে।গাড়ি ভাড়া বাবদ টাকা দিতে হবে। ভুক্তভোগীরা হয়রানির ভয়ে টাকা দিতে রাজি হয়।অভিযোগ করেছে বলে যার থেকে যেমন পাচ্ছে তার থেকে তেমন টাকা নেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান- আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার কারণে থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করি।২দিন পড়ে ২ জন পুলিশ স্যার আমার বাড়ি গিয়েছিল তদন্ত করার জন্য আমি তখন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে ছিলাম।স্যার আমাকে কল দিয়ে জানান আমি যেন স্যারের সাথে দেখা করি।আমি হাসপাতাল থেকে এসে সন্ধ্যায় ওনার সাথে দেখা করি। তখন আমাকে বললো মিয়া আপনার বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে আমি হয়রান।আমি সিএনজি নিয়ে গেছি আপনি আগে সিএনজি ভাড়া দেন।তখন আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা চেয়েছিল।আমি শেষমেস ৪০০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়েছি।আমার ছেলে হারানো প্রায় বেশ কিছু দিন পড়ে আমি আমার ছেলে খোঁজে পাই।তাই অভিযোগটা প্রত্যাহার করার জন্য সেই পুলিশ অফিসারের কাছে গেলাম।ওনি বলেন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে একটা প্রত্যাহার পত্র লিখে আনার জন্য আমি লিখে এনে স্যারকে জমা দিলে ওনি জানান ভাই খরচ দিবেন না।আমি বললাম কি রকম খরচ স্যার বলেন এটা যে রেজিস্ট্রার হয়েছে। সেখান থেকে বাদ দিতে হবে।আর যদি আপনি দিতে অক্ষম হন তাহলে দিতে হবে না।আমি তখন ৫০০ টাকা দিতে চাইলে ওনি নিতে রাজি হয়নি।তারপর ১০০০ টাকা দাবি করেন।আমি তারপর ১হাজার টাকা দিয়ে চলে আসি।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনির হোসেন জানান, থানায় কোন অভিযোগ বা পুলিশ তদন্তে গেলে এবং মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে কোন প্রকার টাকা নেওয়া হয় না।কেউ যদি টাকা দিয়ে অভিযোগ করে,তাহলে ওনাকে আমার কাছে নিয়ে আসবেন।অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএস../
ট্যাগ :
জনপ্রিয়

অস্ত্রসহ বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি গ্রেফতার

থানায় জিডি করতে কোন প্রকার টাকা লাগবে না আনোয়ারা থানার (ওসি) মোঃ মনির হোসেন

প্রকাশিত : ০৫:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
আনোয়ায়া থানায় জিডি, সাধারণ ডায়েরি বা মামলা – অভিযোগ প্রত্যাহার করলে কোন প্রকার টাকা লাগবে না আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনির হোসেন।
জানা যায়- থানায় সাধারণত ডায়রি বা নিখোঁজ অভিযোগ করার ক্ষেত্রে প্রথম কম্পিউটার দোকান গিয়ে ২০০/২৫০ টাকার বিনিময়ে অভিযোগটি লিখতে হবে।তারপর থানায় ডিউটি অফিসার বরাবর জমা দিতে হয়।তারপর থানা থেকে ইউনিয়ন ভিত্তিক বিট পুলিশের দায়িত্বে দেওয়া হয়।অভিযোগটি তদন্ত করা জন্য। অভিযোগটি দায়িত্বরত কর্মকর্তা ঘটনা স্থানে গিয়ে তদন্ত করবে।
অনুসন্ধানে এবং ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায় – থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ কর্মকর্তা বাড়িতে তদন্ত করতে আসবে এবং এলাকাবাসীসহ সকলে সাথে কথা বলে অভিযোগটি তদন্ত করবে।তারপর যাওয়ার সময় কিছু খরচ চাইবে।গাড়ি ভাড়া বাবদ টাকা দিতে হবে। ভুক্তভোগীরা হয়রানির ভয়ে টাকা দিতে রাজি হয়।অভিযোগ করেছে বলে যার থেকে যেমন পাচ্ছে তার থেকে তেমন টাকা নেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান- আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার কারণে থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করি।২দিন পড়ে ২ জন পুলিশ স্যার আমার বাড়ি গিয়েছিল তদন্ত করার জন্য আমি তখন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে ছিলাম।স্যার আমাকে কল দিয়ে জানান আমি যেন স্যারের সাথে দেখা করি।আমি হাসপাতাল থেকে এসে সন্ধ্যায় ওনার সাথে দেখা করি। তখন আমাকে বললো মিয়া আপনার বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে আমি হয়রান।আমি সিএনজি নিয়ে গেছি আপনি আগে সিএনজি ভাড়া দেন।তখন আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা চেয়েছিল।আমি শেষমেস ৪০০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়েছি।আমার ছেলে হারানো প্রায় বেশ কিছু দিন পড়ে আমি আমার ছেলে খোঁজে পাই।তাই অভিযোগটা প্রত্যাহার করার জন্য সেই পুলিশ অফিসারের কাছে গেলাম।ওনি বলেন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে একটা প্রত্যাহার পত্র লিখে আনার জন্য আমি লিখে এনে স্যারকে জমা দিলে ওনি জানান ভাই খরচ দিবেন না।আমি বললাম কি রকম খরচ স্যার বলেন এটা যে রেজিস্ট্রার হয়েছে। সেখান থেকে বাদ দিতে হবে।আর যদি আপনি দিতে অক্ষম হন তাহলে দিতে হবে না।আমি তখন ৫০০ টাকা দিতে চাইলে ওনি নিতে রাজি হয়নি।তারপর ১০০০ টাকা দাবি করেন।আমি তারপর ১হাজার টাকা দিয়ে চলে আসি।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনির হোসেন জানান, থানায় কোন অভিযোগ বা পুলিশ তদন্তে গেলে এবং মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে কোন প্রকার টাকা নেওয়া হয় না।কেউ যদি টাকা দিয়ে অভিযোগ করে,তাহলে ওনাকে আমার কাছে নিয়ে আসবেন।অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএস../