০৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫

১৫ বছর শ্রমিক লীগ করে কোটি টাকার হাতিয়ে এখন হয়ে গেলেন শ্রমিক দল

শ্রমিক দল থেকে শ্রমিক লীগ আবার শ্রমিক শ্রমিক লীগ থেকে  পা দেওয়ার অনেটা এগিয়ে গেছে ওয়াসা শ্রমিক লীগের সিবিএ নেতা মোঃ মামুনুর রশিদ ও যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর।আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ১৫ বছরে ওয়াসার শ্রমিক লীগের সাথে আতাত করে কোটি কোটি টাকার ফ্লাট বাড়ি,গাড়ি  ও প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন তারা।এখন হতে চাই ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ২৩০৭ নেতা।
চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ এর এক সময় সভাপতি মামুনুর রশিদ গত ১৫ বছরে চট্টগ্রাম ওয়াসা চত্বরের  ভেতরে ও বাইরে শ্রমিক লীগ ও আওয়ামী লীগের অসংখ্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৫ই আগস্ট শোক দিবস, শেখ রাসেল দিবস, ০৭ মার্চের আলোচনা সভা সহ বিভিন্ন সেমিনার ও মিটিংয়ে প্রত্যক্ষ বিবৃতি ও বক্তৃতা দিয়েছেন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতা করার ও অভিযোগ  রয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের সাথে বাইরে মিলেমিশে একসাথে র‍্যালী,শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণ ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের সাথে আতাত করে নিজের পদবী পরিবর্তন করে মিটার পরিদর্শক হন উক্ত সে মামুনুর রশিদ ও কার্যকরী সভাপতি কামাল খান। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি দুটি ফ্ল্যাট, সিএনজি ও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আগ্রাবাদ বেপারী পাড়া আবাসিক এলাকায় ২৪৪, নীলগিরি হাউজ এ দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে মামুনুর রশিদের।
মামুনুর রশিদ ও মিটার পরিদর্শক এস এম হানিফ চৌধুরী ও মিটার পরিদর্শক মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী সিস্টেম লসের দোহাই দিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন  মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন পত্রিকায়।  মোঃ মামুনুর রশিদ ও কার্যকরী সভাপতি কামাল খান দীর্ঘ ২০বছর যাবত একই এরিয়ায় মিটার পরিদর্শক  হিসেবে কাজ করে আসছে।মিটারের তথ্য সংগ্রহের জন্য মামুনুর রশিদ ও কার্যকরী সভাপতি কামাল খানের রয়েছে একাধিক নিজস্ব বেতনভোগী কর্মচারী যাদের আন অফিসিয়ালি বলা হয় বদি আলম।
বিগত ফ্যসিস্ট  সরকারের আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি এ কে এম  ফজলুল্লার দূর সম্পর্কের ভাই সভাপতি  মামুনুর রশিদ। এমডি দূর সম্পর্কের আত্মীয় হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের খালাতো ভাই দিদারসহ  অনেক জনকে চাকরি ও দিয়েছেন। বিগত ৫ ই আগস্টের পর আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ১৫ বছর ধরে অবৈধভাবে একই পদে চুক্তিভিত্তিক  দায়িত্ব পালনরত  উক্ত ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুল্লাহকে তিন মাস ধরে  প্রটোকল দিয়ে রক্ষা করেছেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ এর যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আবু জাফরের নামে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উক্ত আবু জাফর চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের সাথে মিলেমিশে শ্রমিক লীগের হাতকে শক্তিশালী করেছে। বিভিন্ন মিছিল  মিটিং ও আলোচনা সভায়  অংশগ্রহণ করেছে। তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আজম নাসির উদ্দিনকে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দদের সাথে একসাথে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময়  ছবিতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের সাথে মিলেমিশে একসাথে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের ফুলের শুভেচ্ছা দেয়ার সময় ছবিতে হাসিমুখে দেখা গেছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার শ্রমিক লীগের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় চট্টগ্রাম ওয়াসায় ডিপ টিউবওয়েল লাইসেন্স শাখাই দায়িত্ব নেয় এবং উক্ত রাজস্ব শাখা হতে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে ইনকাম করে কাজীর দেউরীতে আলিশান বাড়িও তৈরি করে।তার রয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়িও। উক্ত আবু জাফরের বড় ভাই মোঃ আবু ফয়েজ  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাসির উদ্দিনের  উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ এর সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহানকে  দেখা গেছে তৎকালীন লালখান বাজার ওয়ার্ড কমিশনার মোহাম্মদ জাবেদের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছার ও বেশ কিছু অন্তরঙ্গ ছবিতে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা  জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ এ যোগ দিয়েছে তৎকালীন চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের ক্যাবিনেট সদস্য মোঃ জাকারিয়া। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসলাম চৌধুরী ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান কে ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়ার সময় গ্রুপ ছবিতে দেখা গেছে উক্ত চট্টগ্রাম জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন  নম্বর ২৩০৭ এর নেতৃবৃন্দের সাথে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের কেবিনেট সদস্য মোঃ রেজােয়ান হোসেন দুলাল,মোহাম্মদ কামরুল হাসান,আপ্যায়ন সম্পাদক মোঃ ফজলুল কাদেরকেও দেখা গেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭এর  বিভিন্ন মিটিং, মিছিল ও গোপনীয় বৈঠকে।
২৩০৭ এর সহ সভাপতি মহিউদ্দিন মানিক শ্রমিকলীগ নেতা তাজুল ইসলামের সাথে মিলে আপন ২ ভাইকে ওয়াসাতে চাকরি দিয়েছেন। উক্ত সংগঠন গত আওয়ামী সরকারের সময় ভাগবাটোয়ারা রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। এই সংগঠনকে জাতীয়তাবাদী সংগঠন হিসেবে পরিচিত করার জন্য ওয়াসার কয়েকজন উদ্ধরতন কর্মকর্তা টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমজীবি ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৬৮৭ সাধারণ সম্পাদক মোঃ নওশাদ বলেন,বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমি ৪৮ টা মামলার আসামি হয়েছি। চট্টগ্রাম ওয়াসাতে আমি ১২ বছর ধরে সাময়িকভাবে বরখাস্ত। এখনো চাকরি ফিরে পাইনি।আমি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের  নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন  বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম।চট্টগ্রাম ওয়াসাতে তৎকালীন শ্রমিক লীগ আমাদের  শ্রমিক দলের কোন কার্যক্রম চালাতে দেয়নি।চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ এর নেতৃবৃন্দরা শ্রমিক লীগের সাথে মিলেমিশে আমাদের উপর নির্যাতন ও হয়রানি করেছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমজীবি ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৬৮৭ প্রাক্তন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রতন কান্তি দাশ বলেন,চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ একটি অবৈধ সংগঠন। ২০০৪ ও ২০০৫ সালে উক্ত সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিতাদেশ দিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট দুইবার রুল ইস্যু করেন।বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে।শ্রম আইন  অনুযায়ী, একটা প্রতিষ্ঠানে তিনটার বেশি ট্রেড ইউনিয়ন থাকতে  পারে না। চট্টগ্রাম ওয়াসার শ্রমিক  ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ চট্টগ্রাম ওয়াসাতে ৪ নম্বর সংগঠন।
 ওয়াসা শ্রমজীবি ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৬৮৭ সভাপতি  নুরুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ চট্টগ্রাম ওয়াসাতে চট্টগ্রাম ওয়াসার শ্রমিক লীগের সাথে মিলেমিশে শ্রমিকলীগের হাতকে শক্তিশালী করেছে।আমি ব্যক্তিগতভাবে শ্রমিক লীগের সাথে কোন কার্যক্রমে না থাকায় এবং শুধুমাত্র শ্রমিক দল  করার কারণে  আমাকে দীর্ঘ ১৫বছর যাবত একই পদে রেখে দেওয়া হয়েছে, কোন ধরনের পদোন্নতি দেয়া হয়নি। অথচ চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক  ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর  ২৩০৭ এর সভাপতি মামুন মামুনুর রশিদ ও কার্যকর সভাপতি কামাল খানসহ অনেক নেতৃবৃন্দ শ্রমিক লীগের সাথে আঁতাত করে  নিজেদের পদবী পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম ওয়াসার সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত মিটার ইন্সপেক্টর পদ অবৈধভাবে অর্জন করে এবং কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে ইনকাম করে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন,  রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১০০৮ চট্টগ্রাম ওয়াসাতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ এর সভাপতি মোঃ মামুনুর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর,সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন মানিক আমার শ্রমিক লীগের সাথে একসাথে কাজ করে গেছেন, অর্থ দিয়েও সহযোগিতা করেছেন পুরোপুরি সত্য।  রেজওয়ান হোসেন দুলাল, জাকারিয়া, ফজলুল কাদের এরা তো আমার কেবিনেট সদস্য ছিল।
ডিএস./
ট্যাগ :
জনপ্রিয়

দেশ সংস্কারের আগে উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার জরুরি: রাশেদ খান

১৫ বছর শ্রমিক লীগ করে কোটি টাকার হাতিয়ে এখন হয়ে গেলেন শ্রমিক দল

প্রকাশিত : ০২:৪৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
শ্রমিক দল থেকে শ্রমিক লীগ আবার শ্রমিক শ্রমিক লীগ থেকে  পা দেওয়ার অনেটা এগিয়ে গেছে ওয়াসা শ্রমিক লীগের সিবিএ নেতা মোঃ মামুনুর রশিদ ও যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর।আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ১৫ বছরে ওয়াসার শ্রমিক লীগের সাথে আতাত করে কোটি কোটি টাকার ফ্লাট বাড়ি,গাড়ি  ও প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন তারা।এখন হতে চাই ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ২৩০৭ নেতা।
চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ এর এক সময় সভাপতি মামুনুর রশিদ গত ১৫ বছরে চট্টগ্রাম ওয়াসা চত্বরের  ভেতরে ও বাইরে শ্রমিক লীগ ও আওয়ামী লীগের অসংখ্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৫ই আগস্ট শোক দিবস, শেখ রাসেল দিবস, ০৭ মার্চের আলোচনা সভা সহ বিভিন্ন সেমিনার ও মিটিংয়ে প্রত্যক্ষ বিবৃতি ও বক্তৃতা দিয়েছেন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতা করার ও অভিযোগ  রয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের সাথে বাইরে মিলেমিশে একসাথে র‍্যালী,শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণ ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের সাথে আতাত করে নিজের পদবী পরিবর্তন করে মিটার পরিদর্শক হন উক্ত সে মামুনুর রশিদ ও কার্যকরী সভাপতি কামাল খান। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি দুটি ফ্ল্যাট, সিএনজি ও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আগ্রাবাদ বেপারী পাড়া আবাসিক এলাকায় ২৪৪, নীলগিরি হাউজ এ দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে মামুনুর রশিদের।
মামুনুর রশিদ ও মিটার পরিদর্শক এস এম হানিফ চৌধুরী ও মিটার পরিদর্শক মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী সিস্টেম লসের দোহাই দিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন  মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন পত্রিকায়।  মোঃ মামুনুর রশিদ ও কার্যকরী সভাপতি কামাল খান দীর্ঘ ২০বছর যাবত একই এরিয়ায় মিটার পরিদর্শক  হিসেবে কাজ করে আসছে।মিটারের তথ্য সংগ্রহের জন্য মামুনুর রশিদ ও কার্যকরী সভাপতি কামাল খানের রয়েছে একাধিক নিজস্ব বেতনভোগী কর্মচারী যাদের আন অফিসিয়ালি বলা হয় বদি আলম।
বিগত ফ্যসিস্ট  সরকারের আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি এ কে এম  ফজলুল্লার দূর সম্পর্কের ভাই সভাপতি  মামুনুর রশিদ। এমডি দূর সম্পর্কের আত্মীয় হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের খালাতো ভাই দিদারসহ  অনেক জনকে চাকরি ও দিয়েছেন। বিগত ৫ ই আগস্টের পর আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ১৫ বছর ধরে অবৈধভাবে একই পদে চুক্তিভিত্তিক  দায়িত্ব পালনরত  উক্ত ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুল্লাহকে তিন মাস ধরে  প্রটোকল দিয়ে রক্ষা করেছেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ এর যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আবু জাফরের নামে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উক্ত আবু জাফর চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের সাথে মিলেমিশে শ্রমিক লীগের হাতকে শক্তিশালী করেছে। বিভিন্ন মিছিল  মিটিং ও আলোচনা সভায়  অংশগ্রহণ করেছে। তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আজম নাসির উদ্দিনকে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দদের সাথে একসাথে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময়  ছবিতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের সাথে মিলেমিশে একসাথে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের ফুলের শুভেচ্ছা দেয়ার সময় ছবিতে হাসিমুখে দেখা গেছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার শ্রমিক লীগের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় চট্টগ্রাম ওয়াসায় ডিপ টিউবওয়েল লাইসেন্স শাখাই দায়িত্ব নেয় এবং উক্ত রাজস্ব শাখা হতে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে ইনকাম করে কাজীর দেউরীতে আলিশান বাড়িও তৈরি করে।তার রয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়িও। উক্ত আবু জাফরের বড় ভাই মোঃ আবু ফয়েজ  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাসির উদ্দিনের  উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ এর সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহানকে  দেখা গেছে তৎকালীন লালখান বাজার ওয়ার্ড কমিশনার মোহাম্মদ জাবেদের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছার ও বেশ কিছু অন্তরঙ্গ ছবিতে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা  জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ এ যোগ দিয়েছে তৎকালীন চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের ক্যাবিনেট সদস্য মোঃ জাকারিয়া। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসলাম চৌধুরী ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান কে ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়ার সময় গ্রুপ ছবিতে দেখা গেছে উক্ত চট্টগ্রাম জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন  নম্বর ২৩০৭ এর নেতৃবৃন্দের সাথে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের কেবিনেট সদস্য মোঃ রেজােয়ান হোসেন দুলাল,মোহাম্মদ কামরুল হাসান,আপ্যায়ন সম্পাদক মোঃ ফজলুল কাদেরকেও দেখা গেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭এর  বিভিন্ন মিটিং, মিছিল ও গোপনীয় বৈঠকে।
২৩০৭ এর সহ সভাপতি মহিউদ্দিন মানিক শ্রমিকলীগ নেতা তাজুল ইসলামের সাথে মিলে আপন ২ ভাইকে ওয়াসাতে চাকরি দিয়েছেন। উক্ত সংগঠন গত আওয়ামী সরকারের সময় ভাগবাটোয়ারা রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। এই সংগঠনকে জাতীয়তাবাদী সংগঠন হিসেবে পরিচিত করার জন্য ওয়াসার কয়েকজন উদ্ধরতন কর্মকর্তা টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমজীবি ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৬৮৭ সাধারণ সম্পাদক মোঃ নওশাদ বলেন,বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমি ৪৮ টা মামলার আসামি হয়েছি। চট্টগ্রাম ওয়াসাতে আমি ১২ বছর ধরে সাময়িকভাবে বরখাস্ত। এখনো চাকরি ফিরে পাইনি।আমি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের  নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন  বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম।চট্টগ্রাম ওয়াসাতে তৎকালীন শ্রমিক লীগ আমাদের  শ্রমিক দলের কোন কার্যক্রম চালাতে দেয়নি।চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ এর নেতৃবৃন্দরা শ্রমিক লীগের সাথে মিলেমিশে আমাদের উপর নির্যাতন ও হয়রানি করেছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমজীবি ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৬৮৭ প্রাক্তন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রতন কান্তি দাশ বলেন,চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ একটি অবৈধ সংগঠন। ২০০৪ ও ২০০৫ সালে উক্ত সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিতাদেশ দিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট দুইবার রুল ইস্যু করেন।বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে।শ্রম আইন  অনুযায়ী, একটা প্রতিষ্ঠানে তিনটার বেশি ট্রেড ইউনিয়ন থাকতে  পারে না। চট্টগ্রাম ওয়াসার শ্রমিক  ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ চট্টগ্রাম ওয়াসাতে ৪ নম্বর সংগঠন।
 ওয়াসা শ্রমজীবি ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৬৮৭ সভাপতি  নুরুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ চট্টগ্রাম ওয়াসাতে চট্টগ্রাম ওয়াসার শ্রমিক লীগের সাথে মিলেমিশে শ্রমিকলীগের হাতকে শক্তিশালী করেছে।আমি ব্যক্তিগতভাবে শ্রমিক লীগের সাথে কোন কার্যক্রমে না থাকায় এবং শুধুমাত্র শ্রমিক দল  করার কারণে  আমাকে দীর্ঘ ১৫বছর যাবত একই পদে রেখে দেওয়া হয়েছে, কোন ধরনের পদোন্নতি দেয়া হয়নি। অথচ চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক  ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর  ২৩০৭ এর সভাপতি মামুন মামুনুর রশিদ ও কার্যকর সভাপতি কামাল খানসহ অনেক নেতৃবৃন্দ শ্রমিক লীগের সাথে আঁতাত করে  নিজেদের পদবী পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম ওয়াসার সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত মিটার ইন্সপেক্টর পদ অবৈধভাবে অর্জন করে এবং কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে ইনকাম করে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন,  রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১০০৮ চট্টগ্রাম ওয়াসাতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩০৭ এর সভাপতি মোঃ মামুনুর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর,সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন মানিক আমার শ্রমিক লীগের সাথে একসাথে কাজ করে গেছেন, অর্থ দিয়েও সহযোগিতা করেছেন পুরোপুরি সত্য।  রেজওয়ান হোসেন দুলাল, জাকারিয়া, ফজলুল কাদের এরা তো আমার কেবিনেট সদস্য ছিল।
ডিএস./