১১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বরখাস্ত কৃত কর্মকর্তারা কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে, জুলাইয়েও আমরা বরখাস্ত হয়েছিলাম, আমাদের চাকুরী ফেরত দাও, বিদ্যুৎ বিভাগের সংস্কার অভিন্ন সার্ভিস কোড কর শিরোনামে বৈষম্য বিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি এই দাবি জানান।

মোহাম্মদ রাহাত বলেন,আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, দুর্নীতির মাধ্যমে ক্রয়কৃত নিম্ন মানের মালামাল দিয়ে ভঙ্গুর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা নির্মাণ করে গ্রাহক হয়রানি এবং গ্রাহক বনাম সমিতির কর্মরত কর্মচারীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া, আরইবির ব্যার্থতার দায়ভার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর উপর চাপানো, নানান আর্থিক অনিয়ম; কর্মক্ষেত্রে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করা কর্মীর দায় না নিয়ে বরং সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও অব্যাহত জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়নের কারণে দীর্ঘকালের অসন্তোষের প্রেক্ষিতে গত ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখ থেকে সমিতিগুলোতে সম্মিলিত আন্দোলনের সূত্রপাত।

তিনি বলেন,প্রথম দিন অন্যান্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা এবং জেলা/উপজেলা প্রশাসনের সাথে দাপ্তরিক কাজ সহজীকরণের স্বার্থে সমিতিতে কর্মরতদের পদবী এবং পদমর্যাদা নির্ধারণের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানের কারণে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুইজন কর্মকর্তাকে সংযুক্ত ও অপর দুইজন কর্মকর্তাকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। পরবর্তীতে নিয়মানুযায়ী বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বরত সচিব, সৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী মহোদয়কে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কিন্তু এরই কারণে ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে দুইজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একইসাথে ৩ মে, ২০২৪ তারিখ সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর দুইজন কর্মকর্তাকে আরইবিতে সংযুক্ত করা হয়। ফলশ্রুতিতে আমরা ৫ মে তারিখে সারাদেশে প্রায় সবগুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহকসেবা অক্ষুন্ন রেখে কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হই। দুঃখজনক যে, এর শাস্তি হিসেবে ৭ মে তারিখ সমিতির আরও ৩ জন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীকে আরইবিতে স্ট্যান্ড রিলিজপূর্বক সংযুক্ত করা হয়। এমতাবস্থায় কর্মসূচী চলাকালে ১০ মে, ২০২৪ তারিখ বিদ্যুৎ বিভাগ, আরইবি এবং সমিতির প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সভায় সাময়িক বরখাস্ত, সংযুক্ত, স্ট্যান্ড রিলিজকৃত সকলকে এক সপ্তাহের মধ্যে অব্যাহতি দিয়ে স্ব-স্ব কর্মস্থলে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি দাবীর বিষয়গুলো লিখিতভাবে আরইবিতে প্রেরণ, পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে একবার এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনে একাধিকবার আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিলো। ফলে, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কর্মসূচী প্রত্যাহার করেন।

তিনি আরো বলেন,আমাদের সাথে হওয়া প্রহসনের বিষয়ে শুনে ব্যথিত হবেন যে, সংযুক্তদের সংযুক্তি আদেশ বাতিল করা হলেও সাময়িক বরখাস্ত ও স্ট্যান্ড রিলিজকৃত কর্মকর্তাদের আরইবি অব্যাহতি দেননি। সমিতির ৩৭,৫৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ১০ মে তারিখে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সমিতির প্রতিনিধিগণের সাথে আলোচনায় বসার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তদুপরি এই সময়ের মধ্যে আরইবি কর্তৃক “বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড আইন-২০১৩ সংশোধনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। জবাবদিহিতার উর্ধ্বে গিয়ে গ্রাহক এবং সমিতিগুলোকে শোষণের লক্ষ্যে উক্ত আইনে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কিছু ধারা সংশোধন ও সংযোজন করে প্রস্তাব উপস্থাপন করে। তন্মধ্যে একটি ধারা ৬(প) হলো-“বোর্ড উহার কিংবা সমিতির যেকোনো কার্যাবালি বা অন্যান্য পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে যেরূপ মনে করিবে সেরূপ আদেশ প্রদান করিবে।”

তিনি বলেন,গ্রাহক হয়রানি ও সভার সিদ্ধান্ত না মেনে আমাদের প্রতি প্রহসন, বৈষম্যমূলক আচরণ এবং আমাদেরকে হয়রানির প্রতিবাদে ১ জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহক সেবা সচল রেখে পুনরায় কর্মবিরতি শুরু হয়। তৎপ্রেক্ষিতে, এই দুলাই, ২০১৪ তারিখ বিদ্যুৎ বিভাগে আরইবি, পবিস এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সমন্বয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় পুনরায় ১০ই, জুলাই তারিখ বিদ্যুৎ বিভাগে সভা অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই ছাত্র আন্দোলন তখন তুঙ্গে। আমরা ছাত্রদের সাথে সংহতি জানাই। ছাত্র আন্দোলনের সাথে আমাদের আন্দোলন একীভূত করার চেষ্টা করি। আমাদেরকে বিএনপি জামাতের দোসর হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। আমাদেরকে দমন পীড়নের উদ্দেশ্যে দেশে কারফিউ চলাকালীন সময়ে সমিতির কর্মকর্তাদের ১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দেশের একপ্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে বদলির ঘোষণা করা হয়। অসহযোগ ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলমান থাকায় যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বন্ধ ছিল। ৪ আগস্টে আমাদের পক্ষ থেকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের সময়সীমা বর্ধিত করার অনুরোধ জানানো হলে আওয়ামীলীগের নিয়োগকৃত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রশাসন “আকাশ দিয়ে উড়ে যান” সরাসরি এমন ভাষা ব্যবহার করে। এর আগের দিন ৩ আগস্ট আমরা দমন-পীড়ন বন্ধ না হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদরদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেই। পূর্ব ঘোষণা সাপেক্ষে।৮ আগস্ট তারিখের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আরইবি অভিমুখে লংমার্চ করি। উক্ত লংমার্চের দিন সেনাবাহিনী ও ছাত্র সমন্বয়কদের মধ্যস্থতায় আরইবি এবং পবিসের প্রতিনিধির সাথে সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সে সিদ্ধান্তগুলোও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করেনি।

তিনি আরো বলেন,জুলাই আন্দোলনের পর অন্তর্ভুক্তিকালীন সরকার গঠন হলে ২২ আগষ্ট আরবি এবং পল্লী ঈ সমিতর প্রথম সদা ভাবা হলে সেখানে আরইবির প্রতিনিধি উপস্থিত হননি। সমিতির প্রতিনিধিগন বিদুৎ বিভাগে উপস্থিত হলে তাঁদের উপস্থিতি স্বাক্ষর গ্রহণ এরা আরইনি অনুপস্থিত থাকায় পরবর্তীতে বধা আয়োজনের পত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালে বিদুৎ বিভাগ নিষ্ক্রিয় থাকেন। আলোচনায় বাধার নারীতে আমরা ২৪ আগস্ট তারিখে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে গণছুটি কর্মসূচী ঘোষণা করা করি। পরবর্তীতে ২৭ আগই চেয়ারম্যান মহোদয় এর সাথে অনুষ্ঠিত সভায় রিফর্ম কমিটির কার্যক্রম শুরু করার আশ্বাস দেওয়া হয়, সা ফ্যাবিয়ানযুক্ত দেশ, অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়লে মানবিক দৃষ্টিতে এবং অন্তবর্তী সরকারের আজানে সাড়া দিয়ে অমেরা কর্মসূচী প্রত্যাহার করি।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৯ই সেপেটম্বর তারিখে আমইবির নির্বাহী ও সহকারী প্রকৌশলীগণকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপকেন্দ্রগুলোর ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা উল্লেখ করে নারইবি হতে সেনাসদরে পত্র প্রেরণ করা হয়, যা এই সিস্টেমে প্রথম। এছাড়াও একই সময়কালে আরইবি ঠিকাদারের জনবলকে উপকেন্দ্র পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করে। এরপরে রিফর্ম কমিটির পরপর ৪টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দেখা যায় সভায় যা আলোচনা হয় কার্যবিবরণীতে তা আসে না, বরং এমন সিদ্ধান্ত আসে যা আলোচনাই হয়নি। এমতাবস্থায়, ৩০শে সেপ্টেম্বর তারিখে সারাদেশে পল্লী বিদ্যুতের সফল কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রাহক সেবা চালু রেখে ঢাকা প্রেস ক্লাব ও ৬১ জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন এবং মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আরকলিপি প্রেরণ করেন। উক্ত স্মারকলিপির ধারি “জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৫” এর এজেন্ডা হিসেবে গৃহীত হয় এবং আরইবি-পবিস একীভূত করার ধাধিটি যৌক্তিক হওয়ায় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ হতে বাস্তবায়নের নিমিত্তে বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর আস্থা রেখে আমরা আর কোন কর্মসূচি দেইনি। কিন্তু ৩০শে সেপ্টেম্বরের মানববন্ধনে উদঘাটন হওয়া ঘটনাকে ধামাচাপা দেওযার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে হঠাৎ করেই ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাইকোর্ট একটি কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে বিশেষ গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদে ১৫-১৬ জন ব্যক্তি সমধ্যাক পরিচয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সদর দপ্তরের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করে আমাদেরকে অপসারণ ও শাছি দাবি করেন। অথচ মানববন্ধনকারী কেউই যাদের শাস্তির দাবি করেছেন তাদের কাউকে চিনতেন না বা কোথায় কাজ করেন জানতেন না। ১৬ অক্টোবর এবং ১৭ অক্টোবর এই দুই দিনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১৭১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে রাষ্ট্র বিরোধী ও সাইবার নিরাপড়া আইনে মামলা ও ২৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। মামলায় মোট ১৬ জনকে আটক এবং রিমান্ডে নেওয়া হয়। ৬৩ জনকে ১৭জক্টোবর পরবর্তী ১ সপ্তাহে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভিন্ন শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। আন্দোলনের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রজনতা এবং বিভিন্ন সচেতন নগরিকবৃন্দ গণমাধ্যমে কথা বলা শুরু করলে ২৩শে অক্টোবর আরইবি-পবিস বিদ্যমান কাঠামো পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে সরকার একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেন। সরকার কর্তৃক জাতীয় কমিটি গঠনের পর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদস্যগণ আন্দোলন কর্মসূচী প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যায়। এই সময়েও ১৭ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫৬ জনকে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভিন্ন শান্তি প্রদান করা হয়। আরইবির কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন সমিতিতে গিয়ে হুমকি ধামকিসহ নানা প্রকার নিপীড়ন চালাতে থাকেন। আন্দোলন কর্মসূচী প্রত্যাহার করার পরেও আরইবির এমন দমন-পীড়নে অসহায় হয়ে তা বন্ধ এবং নির্বিঘ্নে কাজ করার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। মামলা, চাকরিচ্যুতি, শাস্তি ইত্যাদি হুমকি চলমান থাকলে পুনরায় ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখ সমিতির আন্দোলনের সমন্বয়কগণ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্দোলন কর্মসূচী প্রত্যাহারের বিষয়টি পুণর্বাক্ত করলেও ১৬ নভেম্বর আবারও একজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যারা জুলাইয়েও বিগত সরকারের উন্নয়নবিরোধী হিসেবে সাসপেন্ড ও বদলিসহ সংযুক্ত হয়েছেন, জুলাইয়ের পর তাদেরকেই আবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার কন্দ্রে যাদের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নূন্যতম সংযোগ নেই) ফ্যাসিস্টের দোসর হিসাবে আখ্যায়িত করে এবং সেই সুযোগ নিয়ে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়, মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।স্বয়ং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যুৎ বিভাগের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছেন। সরকারের সংস্কারের পক্ষে নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপে আমরাও অত্যন্ত আশাবাদী। অথচ এই সংস্কারের কথা বলতে গিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক সমিতির যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে এবং মামলা দেওয়া হয়েছে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। যৌক্তিক সংস্কার চাওয়ায় জুলাই স্পিরিট ধারণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরী পূনর্বহাল এবং মামলা প্রত্যাহার করে বিদ্যুৎ এর মতো একটি সংবেদনশীল খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে সরকার এবং এর সাথে যুক্ত সকল পক্ষের প্রতি আমাদের বিনীত আকুল আবেদন করছি।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মদ রাহাত বক্তব্য রাখেন হুমায়ুন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আবু সালাম জাবেদ, সুমাইয়া আক্তার সহ অন্যান্য দরখাস্তৃত কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সাঁতার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্থানীয় ক্রীড়াচর্চা আরও গতিশীল হবে : জেলা প্রশাসক

জুলাই আন্দোলনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বরখাস্ত কৃত কর্মকর্তারা কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত : ১২:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে, জুলাইয়েও আমরা বরখাস্ত হয়েছিলাম, আমাদের চাকুরী ফেরত দাও, বিদ্যুৎ বিভাগের সংস্কার অভিন্ন সার্ভিস কোড কর শিরোনামে বৈষম্য বিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি এই দাবি জানান।

মোহাম্মদ রাহাত বলেন,আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, দুর্নীতির মাধ্যমে ক্রয়কৃত নিম্ন মানের মালামাল দিয়ে ভঙ্গুর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা নির্মাণ করে গ্রাহক হয়রানি এবং গ্রাহক বনাম সমিতির কর্মরত কর্মচারীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া, আরইবির ব্যার্থতার দায়ভার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর উপর চাপানো, নানান আর্থিক অনিয়ম; কর্মক্ষেত্রে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করা কর্মীর দায় না নিয়ে বরং সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও অব্যাহত জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়নের কারণে দীর্ঘকালের অসন্তোষের প্রেক্ষিতে গত ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখ থেকে সমিতিগুলোতে সম্মিলিত আন্দোলনের সূত্রপাত।

তিনি বলেন,প্রথম দিন অন্যান্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা এবং জেলা/উপজেলা প্রশাসনের সাথে দাপ্তরিক কাজ সহজীকরণের স্বার্থে সমিতিতে কর্মরতদের পদবী এবং পদমর্যাদা নির্ধারণের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানের কারণে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুইজন কর্মকর্তাকে সংযুক্ত ও অপর দুইজন কর্মকর্তাকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। পরবর্তীতে নিয়মানুযায়ী বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বরত সচিব, সৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী মহোদয়কে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কিন্তু এরই কারণে ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে দুইজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একইসাথে ৩ মে, ২০২৪ তারিখ সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর দুইজন কর্মকর্তাকে আরইবিতে সংযুক্ত করা হয়। ফলশ্রুতিতে আমরা ৫ মে তারিখে সারাদেশে প্রায় সবগুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহকসেবা অক্ষুন্ন রেখে কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হই। দুঃখজনক যে, এর শাস্তি হিসেবে ৭ মে তারিখ সমিতির আরও ৩ জন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীকে আরইবিতে স্ট্যান্ড রিলিজপূর্বক সংযুক্ত করা হয়। এমতাবস্থায় কর্মসূচী চলাকালে ১০ মে, ২০২৪ তারিখ বিদ্যুৎ বিভাগ, আরইবি এবং সমিতির প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সভায় সাময়িক বরখাস্ত, সংযুক্ত, স্ট্যান্ড রিলিজকৃত সকলকে এক সপ্তাহের মধ্যে অব্যাহতি দিয়ে স্ব-স্ব কর্মস্থলে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি দাবীর বিষয়গুলো লিখিতভাবে আরইবিতে প্রেরণ, পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে একবার এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনে একাধিকবার আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিলো। ফলে, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কর্মসূচী প্রত্যাহার করেন।

তিনি আরো বলেন,আমাদের সাথে হওয়া প্রহসনের বিষয়ে শুনে ব্যথিত হবেন যে, সংযুক্তদের সংযুক্তি আদেশ বাতিল করা হলেও সাময়িক বরখাস্ত ও স্ট্যান্ড রিলিজকৃত কর্মকর্তাদের আরইবি অব্যাহতি দেননি। সমিতির ৩৭,৫৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ১০ মে তারিখে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সমিতির প্রতিনিধিগণের সাথে আলোচনায় বসার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তদুপরি এই সময়ের মধ্যে আরইবি কর্তৃক “বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড আইন-২০১৩ সংশোধনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। জবাবদিহিতার উর্ধ্বে গিয়ে গ্রাহক এবং সমিতিগুলোকে শোষণের লক্ষ্যে উক্ত আইনে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কিছু ধারা সংশোধন ও সংযোজন করে প্রস্তাব উপস্থাপন করে। তন্মধ্যে একটি ধারা ৬(প) হলো-“বোর্ড উহার কিংবা সমিতির যেকোনো কার্যাবালি বা অন্যান্য পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে যেরূপ মনে করিবে সেরূপ আদেশ প্রদান করিবে।”

তিনি বলেন,গ্রাহক হয়রানি ও সভার সিদ্ধান্ত না মেনে আমাদের প্রতি প্রহসন, বৈষম্যমূলক আচরণ এবং আমাদেরকে হয়রানির প্রতিবাদে ১ জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহক সেবা সচল রেখে পুনরায় কর্মবিরতি শুরু হয়। তৎপ্রেক্ষিতে, এই দুলাই, ২০১৪ তারিখ বিদ্যুৎ বিভাগে আরইবি, পবিস এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সমন্বয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় পুনরায় ১০ই, জুলাই তারিখ বিদ্যুৎ বিভাগে সভা অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই ছাত্র আন্দোলন তখন তুঙ্গে। আমরা ছাত্রদের সাথে সংহতি জানাই। ছাত্র আন্দোলনের সাথে আমাদের আন্দোলন একীভূত করার চেষ্টা করি। আমাদেরকে বিএনপি জামাতের দোসর হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। আমাদেরকে দমন পীড়নের উদ্দেশ্যে দেশে কারফিউ চলাকালীন সময়ে সমিতির কর্মকর্তাদের ১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দেশের একপ্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে বদলির ঘোষণা করা হয়। অসহযোগ ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলমান থাকায় যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বন্ধ ছিল। ৪ আগস্টে আমাদের পক্ষ থেকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের সময়সীমা বর্ধিত করার অনুরোধ জানানো হলে আওয়ামীলীগের নিয়োগকৃত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রশাসন “আকাশ দিয়ে উড়ে যান” সরাসরি এমন ভাষা ব্যবহার করে। এর আগের দিন ৩ আগস্ট আমরা দমন-পীড়ন বন্ধ না হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদরদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেই। পূর্ব ঘোষণা সাপেক্ষে।৮ আগস্ট তারিখের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আরইবি অভিমুখে লংমার্চ করি। উক্ত লংমার্চের দিন সেনাবাহিনী ও ছাত্র সমন্বয়কদের মধ্যস্থতায় আরইবি এবং পবিসের প্রতিনিধির সাথে সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সে সিদ্ধান্তগুলোও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করেনি।

তিনি আরো বলেন,জুলাই আন্দোলনের পর অন্তর্ভুক্তিকালীন সরকার গঠন হলে ২২ আগষ্ট আরবি এবং পল্লী ঈ সমিতর প্রথম সদা ভাবা হলে সেখানে আরইবির প্রতিনিধি উপস্থিত হননি। সমিতির প্রতিনিধিগন বিদুৎ বিভাগে উপস্থিত হলে তাঁদের উপস্থিতি স্বাক্ষর গ্রহণ এরা আরইনি অনুপস্থিত থাকায় পরবর্তীতে বধা আয়োজনের পত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালে বিদুৎ বিভাগ নিষ্ক্রিয় থাকেন। আলোচনায় বাধার নারীতে আমরা ২৪ আগস্ট তারিখে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে গণছুটি কর্মসূচী ঘোষণা করা করি। পরবর্তীতে ২৭ আগই চেয়ারম্যান মহোদয় এর সাথে অনুষ্ঠিত সভায় রিফর্ম কমিটির কার্যক্রম শুরু করার আশ্বাস দেওয়া হয়, সা ফ্যাবিয়ানযুক্ত দেশ, অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়লে মানবিক দৃষ্টিতে এবং অন্তবর্তী সরকারের আজানে সাড়া দিয়ে অমেরা কর্মসূচী প্রত্যাহার করি।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৯ই সেপেটম্বর তারিখে আমইবির নির্বাহী ও সহকারী প্রকৌশলীগণকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপকেন্দ্রগুলোর ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা উল্লেখ করে নারইবি হতে সেনাসদরে পত্র প্রেরণ করা হয়, যা এই সিস্টেমে প্রথম। এছাড়াও একই সময়কালে আরইবি ঠিকাদারের জনবলকে উপকেন্দ্র পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করে। এরপরে রিফর্ম কমিটির পরপর ৪টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দেখা যায় সভায় যা আলোচনা হয় কার্যবিবরণীতে তা আসে না, বরং এমন সিদ্ধান্ত আসে যা আলোচনাই হয়নি। এমতাবস্থায়, ৩০শে সেপ্টেম্বর তারিখে সারাদেশে পল্লী বিদ্যুতের সফল কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রাহক সেবা চালু রেখে ঢাকা প্রেস ক্লাব ও ৬১ জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন এবং মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আরকলিপি প্রেরণ করেন। উক্ত স্মারকলিপির ধারি “জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৫” এর এজেন্ডা হিসেবে গৃহীত হয় এবং আরইবি-পবিস একীভূত করার ধাধিটি যৌক্তিক হওয়ায় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ হতে বাস্তবায়নের নিমিত্তে বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর আস্থা রেখে আমরা আর কোন কর্মসূচি দেইনি। কিন্তু ৩০শে সেপ্টেম্বরের মানববন্ধনে উদঘাটন হওয়া ঘটনাকে ধামাচাপা দেওযার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে হঠাৎ করেই ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাইকোর্ট একটি কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে বিশেষ গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদে ১৫-১৬ জন ব্যক্তি সমধ্যাক পরিচয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সদর দপ্তরের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করে আমাদেরকে অপসারণ ও শাছি দাবি করেন। অথচ মানববন্ধনকারী কেউই যাদের শাস্তির দাবি করেছেন তাদের কাউকে চিনতেন না বা কোথায় কাজ করেন জানতেন না। ১৬ অক্টোবর এবং ১৭ অক্টোবর এই দুই দিনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১৭১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে রাষ্ট্র বিরোধী ও সাইবার নিরাপড়া আইনে মামলা ও ২৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। মামলায় মোট ১৬ জনকে আটক এবং রিমান্ডে নেওয়া হয়। ৬৩ জনকে ১৭জক্টোবর পরবর্তী ১ সপ্তাহে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভিন্ন শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। আন্দোলনের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রজনতা এবং বিভিন্ন সচেতন নগরিকবৃন্দ গণমাধ্যমে কথা বলা শুরু করলে ২৩শে অক্টোবর আরইবি-পবিস বিদ্যমান কাঠামো পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে সরকার একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেন। সরকার কর্তৃক জাতীয় কমিটি গঠনের পর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদস্যগণ আন্দোলন কর্মসূচী প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যায়। এই সময়েও ১৭ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫৬ জনকে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভিন্ন শান্তি প্রদান করা হয়। আরইবির কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন সমিতিতে গিয়ে হুমকি ধামকিসহ নানা প্রকার নিপীড়ন চালাতে থাকেন। আন্দোলন কর্মসূচী প্রত্যাহার করার পরেও আরইবির এমন দমন-পীড়নে অসহায় হয়ে তা বন্ধ এবং নির্বিঘ্নে কাজ করার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। মামলা, চাকরিচ্যুতি, শাস্তি ইত্যাদি হুমকি চলমান থাকলে পুনরায় ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখ সমিতির আন্দোলনের সমন্বয়কগণ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্দোলন কর্মসূচী প্রত্যাহারের বিষয়টি পুণর্বাক্ত করলেও ১৬ নভেম্বর আবারও একজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যারা জুলাইয়েও বিগত সরকারের উন্নয়নবিরোধী হিসেবে সাসপেন্ড ও বদলিসহ সংযুক্ত হয়েছেন, জুলাইয়ের পর তাদেরকেই আবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার কন্দ্রে যাদের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নূন্যতম সংযোগ নেই) ফ্যাসিস্টের দোসর হিসাবে আখ্যায়িত করে এবং সেই সুযোগ নিয়ে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়, মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।স্বয়ং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যুৎ বিভাগের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছেন। সরকারের সংস্কারের পক্ষে নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপে আমরাও অত্যন্ত আশাবাদী। অথচ এই সংস্কারের কথা বলতে গিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক সমিতির যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে এবং মামলা দেওয়া হয়েছে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। যৌক্তিক সংস্কার চাওয়ায় জুলাই স্পিরিট ধারণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরী পূনর্বহাল এবং মামলা প্রত্যাহার করে বিদ্যুৎ এর মতো একটি সংবেদনশীল খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে সরকার এবং এর সাথে যুক্ত সকল পক্ষের প্রতি আমাদের বিনীত আকুল আবেদন করছি।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মদ রাহাত বক্তব্য রাখেন হুমায়ুন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আবু সালাম জাবেদ, সুমাইয়া আক্তার সহ অন্যান্য দরখাস্তৃত কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

ডিএস./