০৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

কুয়াকাটা সৈকতে ভয়াবহ ভাঙন,প্রতিরোধে সর্বস্তরের মানুষের মানববন্ধন

অমাবস্যা ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। শুক্র ও শনিবারের জোয়ারে পানি বৃদ্ধির ফলে সাগরের তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে সৈকতের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১১টায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী মানববন্ধন করে দ্রুত টেকসই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। মানববন্ধনে ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চল, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ঢুকে পড়েছে সমুদ্রের পানি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে ঝাউবাগান সংলগ্ন জাতীয় উদ্যান ও হোসেনপাড়া এলাকা সহ বেরিবাদের বাহিরের অংশ।

এ সময় বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কুয়াকাটা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান হাওলাদার, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামের কুয়াকাটা পৌর শাখার সাবেক আমির মাও: মাইনুল ইসলাম মান্নান, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, টুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মামুনুর রশীদ নোমানী, দৈনিক বর্তমান’র বরিশাল ব্যুরো চিফ মামুন-অর-রশিদ, কুয়াকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান সহ অনেকে।

এসময় বক্তারা বলেন, অব্যাহতভাবে সৈকতের সৌন্দর্য ও পরিবেশ ধ্বংস হওয়ার ফলে পর্যটকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে, যা কুয়াকাটার পর্যটন অর্থনীতির জন্য হুমকি।

তারা দ্রুত সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণ, অবৈধ দখলমুক্তকরণ এবং ট্যুরিস্ট ফ্যাসিলিটিজ বৃদ্ধির দাবিতে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয়দের দাবি, কুয়াকাটার প্রায় ২৮ কিলোমিটার সৈকতজুড়ে বালু সরে গিয়ে নিচের মাটি বেরিয়ে আসায় পর্যটন হুমকির মুখে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, হোসেনপাড়ায় সড়কের প্রায় ৩০ মিটার অংশ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। ডিসি পার্কের পাশেও নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে, উপড়ে গেছে গাছপালা।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

কবি পপি ভৌমিকের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দর্পণে দেখা আলোর আকুতি’র মোড়ক উন্মোচন

কুয়াকাটা সৈকতে ভয়াবহ ভাঙন,প্রতিরোধে সর্বস্তরের মানুষের মানববন্ধন

প্রকাশিত : ০৫:০৯:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

অমাবস্যা ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। শুক্র ও শনিবারের জোয়ারে পানি বৃদ্ধির ফলে সাগরের তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে সৈকতের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১১টায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী মানববন্ধন করে দ্রুত টেকসই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। মানববন্ধনে ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চল, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ঢুকে পড়েছে সমুদ্রের পানি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে ঝাউবাগান সংলগ্ন জাতীয় উদ্যান ও হোসেনপাড়া এলাকা সহ বেরিবাদের বাহিরের অংশ।

এ সময় বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কুয়াকাটা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান হাওলাদার, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামের কুয়াকাটা পৌর শাখার সাবেক আমির মাও: মাইনুল ইসলাম মান্নান, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, টুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মামুনুর রশীদ নোমানী, দৈনিক বর্তমান’র বরিশাল ব্যুরো চিফ মামুন-অর-রশিদ, কুয়াকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান সহ অনেকে।

এসময় বক্তারা বলেন, অব্যাহতভাবে সৈকতের সৌন্দর্য ও পরিবেশ ধ্বংস হওয়ার ফলে পর্যটকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে, যা কুয়াকাটার পর্যটন অর্থনীতির জন্য হুমকি।

তারা দ্রুত সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণ, অবৈধ দখলমুক্তকরণ এবং ট্যুরিস্ট ফ্যাসিলিটিজ বৃদ্ধির দাবিতে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয়দের দাবি, কুয়াকাটার প্রায় ২৮ কিলোমিটার সৈকতজুড়ে বালু সরে গিয়ে নিচের মাটি বেরিয়ে আসায় পর্যটন হুমকির মুখে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, হোসেনপাড়ায় সড়কের প্রায় ৩০ মিটার অংশ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। ডিসি পার্কের পাশেও নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে, উপড়ে গেছে গাছপালা।

ডিএস./