কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পাড়ায় কৃষকদের চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। অনেকে পাট কাঁটার উপযোগী হওয়ার পরেও কৃষকরা পাট কাঁটছেন না। আবার অনেকেই জমির পাট কেটে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পাড়ায় সড়ক ও বাড়ীর উঠানে স্তুপ করে রাখছেন। ফলে পাট জাগ দিতে না পাড়ায় দুচিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, পানির সংকটে কৃষকরা পাট জাগ দিতে না পাড়ায় দুচিন্তায় পড়েছেন। তবে ধরলা, বারোমাসিয়া, নীলকমল নদী এলাকার আশেপাশের কৃষকরা গত এক দুই সপ্তাহ আগে থেকেই পাট কেটে জাগ দেয়া শুরু করেছেন।
আবার কিছু কৃষক অতিরিক্ত টাকা খরচ ভ্যান, পিকাপ ও পাওয়ার ট্রিয়ার দিয়ে চার পাঁচ কিলোমিটার দুরে বিভিন্ন ছড়ায় (জলাশয়) নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন।
উপজেলার পানিমাছকুটি এলাকার কৃষক হাফিজুল ইসলাম ও ইউনুস আলী জানান, তারা প্রত্যেকেই এক দেড় বিঘার জমির পাট গত চার পাঁচ দিন আগে পাট কেটে বাড়ির পাশে সড়কের পাশে স্তুপ করে রাখছেন। এই দুই কৃষক জানান, গত দুই তিন ধরে বৃষ্টিপাত শুরু হলেও এখন পর্যন্ত আমাদের এলাকার ডোবা ও নালায় পাট জাগ দেয়ার মতো পানি হয়নি।
চন্দ্রখানা মুসুল্লিপাড়ার কৃষক সামিউল ইসলাম বেনু জানান, দুই বিঘা জমির পাট দুই আগেই কাটা হয়েছে। বরিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বাড়ি থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দুরে শিমুলবাড়ী এলাকার একটি বড় ছড়ায় পিকাপ যোগে নিয়ে গিয়ে পাট জাগ দিচ্ছি। এতে পাট চাষে খরচ বেড়ে যাবে।
গজেরকুটি এলাকার পাট চাষি কিশোব চন্দ্র রায় ও ধীরেন চন্দ্র রায় জানান, দুই তিন থেকে বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকেই। পাট জাগ দেয়ার মতো পানি এখনো হয়নি। আমরা বরিবার পাট কেটে ডোবার পাশে রেখেছি। পানি হলে পাট জাগ দেয়া হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: নিলুফা ইয়াছমিন জানান, কৃষি বিভাগ সব সময় পাট চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এজন্য চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এ বছর উপজেলায় ৪৮০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা পাটের চাষাবাদ করেছে। ইতো মধ্যে নদী এলাকার পাশপাশসহ প্রায় ৮০ হেক্টর জমির পাট কর্তন করে জাগ দেয়া সম্পুর্ণ হয়েছে। যেহেতু বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে আশা রাখছি আগামী এক দুই সপ্তাহের মধ্যে পাট চাষিদের পানির সমস্যা হবে।
ডিএস./