০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদ্যুতায়নে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ

কক্সবাজারে স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদ্যুতায়নের জন্য দুই কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিদ্যুতায়নের কাজ শুরু হবে।’ সোমবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন দেশীয় প্রতিষ্ঠানের দেয়া ত্রাণ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র, কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একদিনের বেতনের ২০ লাখ টাকা হস্তান্তর করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোহিঙ্গারা তৈরী করা শেডে উঠেছে। এটা শেখ হাসিনার ম্যাজিক। এসব আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার পাশপাশি তারা যতদিন বাংলাদেশে থাকবে ততদিন মানবিক কারণে তাদের সব কিছু দেখবে বাংলাদেশ।”প্রতিবছরই লোকসান গুণতে হয়েছে কৃষকদের। কুপি-হারিকেনের আলোয় পড়ালেখার বিঘ্ন ঘটতো শিক্ষার্থীদের। সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নাগরপুর উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুত দিলে মানুষের আর দুর্ভোগ থাকবে না এবং আর্থিক উন্নতি হবে।
টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ২৬৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নাগরপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে গ্রাম রয়েছে ২৬৫টি। এরমধ্যে বিদ্যুত দেয়া হয়েছে ১২৭টি গ্রামে। উপজেলায় ১০ এমভিএ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি উপকেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও একই ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আরেকটি উপকেন্দ্র নির্মাণ করার ঈস্খস্কাবনা রয়েছে। উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে ৪৬ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে আবাসিক সংযোগ ৪২ হাজার ৬১১টি, বাণিজ্যিক ৩ হাজার ৩ জন, অগভীর নলকুপ ৭১৩টি, অগভীর নলক‚প ২০টি, অন্যান্য গ্রাহক রয়েছে ৫২৭টি। উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার লক্ষ্যে ১ হাজার ৭৪৩ কিলোমিটার লাইন প্রয়োজন। ইতিমধ্যে ১হাজার ১৬ কিলোমিটার লাইন করা হয়েছে। বাকি লাইন টানানোর কাজ চলছে দ্রæত গতিতে। একইসাথে চলছে নতুন গ্রাহক সংগ্রহের কাজ। এসব কাজের তদারকি করছেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন। তিনি গ্রামে গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন এবং বিদ্যুতের পরিমিত ব্যবহার বিষয়ে গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময় করছেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ স্লোগানে সারা দেশ শতভাগ বিদ্যুত দিলে পাল্টে যাবে অবহেলিত গ্রামীন জনপদের চেহারা। দূর হবে দারিদ্রতা। বাড়বে মানুষের জীবনযাত্রার মান। প্রতিটি গ্রাম শহর হবে।

ট্যাগ :

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদ্যুতায়নে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত : ১২:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০১৭

কক্সবাজারে স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদ্যুতায়নের জন্য দুই কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিদ্যুতায়নের কাজ শুরু হবে।’ সোমবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন দেশীয় প্রতিষ্ঠানের দেয়া ত্রাণ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র, কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একদিনের বেতনের ২০ লাখ টাকা হস্তান্তর করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোহিঙ্গারা তৈরী করা শেডে উঠেছে। এটা শেখ হাসিনার ম্যাজিক। এসব আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার পাশপাশি তারা যতদিন বাংলাদেশে থাকবে ততদিন মানবিক কারণে তাদের সব কিছু দেখবে বাংলাদেশ।”প্রতিবছরই লোকসান গুণতে হয়েছে কৃষকদের। কুপি-হারিকেনের আলোয় পড়ালেখার বিঘ্ন ঘটতো শিক্ষার্থীদের। সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নাগরপুর উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুত দিলে মানুষের আর দুর্ভোগ থাকবে না এবং আর্থিক উন্নতি হবে।
টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ২৬৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নাগরপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে গ্রাম রয়েছে ২৬৫টি। এরমধ্যে বিদ্যুত দেয়া হয়েছে ১২৭টি গ্রামে। উপজেলায় ১০ এমভিএ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি উপকেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও একই ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আরেকটি উপকেন্দ্র নির্মাণ করার ঈস্খস্কাবনা রয়েছে। উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে ৪৬ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে আবাসিক সংযোগ ৪২ হাজার ৬১১টি, বাণিজ্যিক ৩ হাজার ৩ জন, অগভীর নলকুপ ৭১৩টি, অগভীর নলক‚প ২০টি, অন্যান্য গ্রাহক রয়েছে ৫২৭টি। উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার লক্ষ্যে ১ হাজার ৭৪৩ কিলোমিটার লাইন প্রয়োজন। ইতিমধ্যে ১হাজার ১৬ কিলোমিটার লাইন করা হয়েছে। বাকি লাইন টানানোর কাজ চলছে দ্রæত গতিতে। একইসাথে চলছে নতুন গ্রাহক সংগ্রহের কাজ। এসব কাজের তদারকি করছেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন। তিনি গ্রামে গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন এবং বিদ্যুতের পরিমিত ব্যবহার বিষয়ে গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময় করছেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ স্লোগানে সারা দেশ শতভাগ বিদ্যুত দিলে পাল্টে যাবে অবহেলিত গ্রামীন জনপদের চেহারা। দূর হবে দারিদ্রতা। বাড়বে মানুষের জীবনযাত্রার মান। প্রতিটি গ্রাম শহর হবে।