০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সুন্দরীর মুকুট হারালেন

রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতায় সেনাবাহিনী ও সরকারের পক্ষে কথা বলা এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় সেরা সুন্দরীর মুকুট হারালেন সোয়ে ইয়েন সি নামের মিয়ানমারের একজন সুন্দরী। সোয়ে মিস গ্র্যান্ড মিয়ানমার ২০১৭ জয়ী সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেন, রাখাইনে যে সহিংসতা চলছে এর জন্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) দায়ী।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে মিস ইউনিভার্স মিয়ানমারের আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯ বছর বয়সী এই সুন্দরীকে দেওয়া মুকুট, উত্তরীয়, পুরস্কারের অর্থ এবং ট্রফি সবই ফেরত দিতে হবে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সোয়ে ইয়েন সি সম্প্রতি মিস গ্র্যান্ড মিয়ানমার জয়ী হন। সোয়ে ইয়েন সি গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এতে তিনি বলেন, রাখাইনে যে সহিংসতা চলছে, সেটার জন্য আরসা দায়ী। তিনি আরও বলেন, আরসা প্রতারণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। এই সুন্দরীর প্রকাশ করা ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

এখন মিস ইউনিভার্স মিয়ানমার অর্গানাইজার থেকে বলা হয়েছে, রোলমডেলের মতো আচরণ না করায় সোয়ে ইয়েন সিকে দেওয়া মুকুট, উত্তরীয়, পুরস্কারের অর্থ ও ট্রফি-সবকিছুই ফেরত দিতে হবে।
রোহিঙ্গা নিয়ে মন্তব্য করে আগামী ৫ থেকে ২৬ অক্টোবর ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ২০১৭ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছেন না সোয়ে। ব্যাংককভিত্তিক মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁদের এই সুন্দরী প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হলো শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধ বন্ধ করা।

গত বছরের অক্টোবরে রাখাইনের সীমান্তচৌকিতে হামলার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে। এরপর থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত অন্তত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরপর এ বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা শুরু হলে এখন পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিন দফা আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ ও জোট এ নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের পাশাপাশি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে অভিহিত করেছে। আন্তর্জাতিক জনমতের কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে চাপ অনুভব করছে মিয়ানমার।

ট্যাগ :

সুন্দরীর মুকুট হারালেন

প্রকাশিত : ০৫:২৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০১৭

রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতায় সেনাবাহিনী ও সরকারের পক্ষে কথা বলা এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় সেরা সুন্দরীর মুকুট হারালেন সোয়ে ইয়েন সি নামের মিয়ানমারের একজন সুন্দরী। সোয়ে মিস গ্র্যান্ড মিয়ানমার ২০১৭ জয়ী সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেন, রাখাইনে যে সহিংসতা চলছে এর জন্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) দায়ী।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে মিস ইউনিভার্স মিয়ানমারের আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯ বছর বয়সী এই সুন্দরীকে দেওয়া মুকুট, উত্তরীয়, পুরস্কারের অর্থ এবং ট্রফি সবই ফেরত দিতে হবে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সোয়ে ইয়েন সি সম্প্রতি মিস গ্র্যান্ড মিয়ানমার জয়ী হন। সোয়ে ইয়েন সি গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এতে তিনি বলেন, রাখাইনে যে সহিংসতা চলছে, সেটার জন্য আরসা দায়ী। তিনি আরও বলেন, আরসা প্রতারণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। এই সুন্দরীর প্রকাশ করা ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

এখন মিস ইউনিভার্স মিয়ানমার অর্গানাইজার থেকে বলা হয়েছে, রোলমডেলের মতো আচরণ না করায় সোয়ে ইয়েন সিকে দেওয়া মুকুট, উত্তরীয়, পুরস্কারের অর্থ ও ট্রফি-সবকিছুই ফেরত দিতে হবে।
রোহিঙ্গা নিয়ে মন্তব্য করে আগামী ৫ থেকে ২৬ অক্টোবর ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ২০১৭ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছেন না সোয়ে। ব্যাংককভিত্তিক মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁদের এই সুন্দরী প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হলো শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধ বন্ধ করা।

গত বছরের অক্টোবরে রাখাইনের সীমান্তচৌকিতে হামলার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে। এরপর থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত অন্তত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরপর এ বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা শুরু হলে এখন পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিন দফা আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ ও জোট এ নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের পাশাপাশি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে অভিহিত করেছে। আন্তর্জাতিক জনমতের কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে চাপ অনুভব করছে মিয়ানমার।