দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার ও গীতিকার সায়ীদ আবদুল মালিকের (মোহাম্মদ আবু সায়ীদ) আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্ববর) ৪৩তম শুভ জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি ধন্যবাদ প্রকাশ করেছেন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের বারাইশ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বাবা আবদুল মালেক ওরফে আবুল হাশেম মেম্বার ও মা উলফাতুন নিসার ৬ ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ সন্তান। জীবন সম্পর্কে ধারণা আসার পর থেকেই লেখা লেখিতে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। রাজধানী শহর ঢাকায় উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার লেখার সময় থেকেই লেখা লেখিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৫ সনে থকেই ঢাকা থেকে প্রকাশিত সুকন্যা ম্যাগাজিনের মাধ্যমে লেখা লেখি শুরু করেন। সেই সময় শাহাবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে আড্ডা ও টরেনচত্ত্বর নামের দুটো আড্ডায় তার নিয়মিত যাতায়ত ছিল। কবি ফাহিম ফিরোজ, সরকার আমিন, সাজ্জাদ কাদির, টোকন ঠাকুর ও ইশারফ হোসেনসহ বহু কবি সাহিত্যিক সে আড্ডায় অংশ নিতেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি ছোট গল্প, কবিতা ও গীতি কবিতা লেখেন তিনি। তার রচিত গান দেশের স্বনামধন্য সুরকার ও সঙ্গিত পরিচালকেরা সুরারোপ করে ‘দলছুট’ এর খ্যাতিমান গায়ক বাপ্পা মজুমদারসহ স্বনামধন্য শিল্পীদের কণ্ঠে ধারণ করে বিভিন্ন বেরসকারি প্রচার মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের যে কোন দিন তার নিজ পেশার মানুষদের জীবনালেখ্য নিয়ে রচিত ‘খবরের ফেরিওয়ালা’ গানটি এটিএন বাংলায় প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর গানটির মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যাবে। এছাড়াও অষ্টম শ্রেণীর বাংলা সহপাঠ ২০০৩, ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা ব্যকরণ ও রচনা ২০০৩, সপ্তম শ্রেণীর ব্যবহারিক মাতৃভাষার ব্যকরণ ও রচনা ২০০৫, মাধ্যমিক বাংলা ব্যকরণ ও রচনাসহ ২০০৫ বেশ কিছু বই রচনা ও সম্পাদনা করেন। মাদ্রাসা বোর্ড থেকে দাখিল ও আলিম পাশ করার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় আনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ১৯৯৮ সালে অনার্সে পড়াবস্থায় দৈনিক ইনকিলাবে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে সাংবাদিকতার কাজ করেন তিনি।
২০০৫ সালে দৈনিক দেশবাংলায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কিছুদিন কাজ করার পর ২০০৬ সালে দৈনিক আমাদের সময়ে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে দৈনিক ইনকিলাবে সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগদান। পরে ২০১১ সালের ২৪ মার্চ থেকে রিপোটিং বিভাগে আবার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৬ সালের ১২ জানুয়ারি বিলকিস আক্তারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সায়ীদ। বিবাহিত জীবনে তাদের ইসপিতা জাহান প্রভা, রাদিতা জাহান নুভা, সানদিহা জাহান ইভা নামের তিনজন কন্যা সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে বি.কম পাশ করেন। সায়ীদ আবদুল মালিক জানান, সাংবাদিকতার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৮ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ স্মৃৃতি অ্যাওয়ার্ড ও একই বছর আটই ফাল্গুন সাংস্কৃতিক সম্মাননা, ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি কর্তৃক মানবাধিকার স্বর্ণপদক-২০০৯, ২০১২ সালে গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ সম্মাননা ও ২০১৪ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড পুরষ্কার পান।
সায়ীদ আবদুল মালিক বাংলা ভাষাভাষীদের ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির একজন সম্মানিত সদস্য ও সমতট সাহিত্য প্রয়াসের সমন্বয়কারী। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের (বার্তমান কমিটির অর্থ সম্পাদক) ও কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার (বর্তমান কমিটির অর্থ সম্পাদক)। তিনি জানান, তার প্রিয় রং হালকা গোলাপি ও টিয়া কালার। পছন্দের ফুল রজনীগন্ধা। তিনি গরুর গোশত আর সাদাভাত খেতেই বেশি পছন্দ করেন।


























