১০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ৩ বিষয়ে কথা বললেন সু চি

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশ সফরে গিয়ে সেখানকার মানুষকে ‘ঝগড়া বিবাদে না’ জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি।

রাখাইনে নতুন করে সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের দমনপীড়ন শুরুর দুই মাস পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো সেখানে সফর করেন তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সকাল ৯টায় রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে মংডুর উদ্দেশ্যে রওনা হন মিয়ানমারের নেত্রী সু চি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ২০ জনের একটি প্রতিনিধিদল। মংডুতে পৌঁছে সড়কপথে রোহিঙ্গাদের এলাকায় যান তিনি। এসময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় জড়ো হওয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

আরাকান প্রজেক্ট মনিটরিং গ্রুপের ক্রিস লিওয়া রয়টার্সকে বলেন, “সুচি শুধু তিনটি বিষয় বলেছেন। বিষয়গুলো হলো- তাদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে হবে, সরকার তাদের সহায়তা করবে এবং তারা যেন নিজেদের মধ্যে ঝাগড়া-বিবাদ না করেন।”

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর নির্বিচারে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ ঘটনাকে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের বাংলাদেশে প্রবেশের ঘটনাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট’ বলে উল্লেখ করেছে।

ট্যাগ :

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ৩ বিষয়ে কথা বললেন সু চি

প্রকাশিত : ১০:২৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশ সফরে গিয়ে সেখানকার মানুষকে ‘ঝগড়া বিবাদে না’ জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি।

রাখাইনে নতুন করে সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের দমনপীড়ন শুরুর দুই মাস পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো সেখানে সফর করেন তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সকাল ৯টায় রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে মংডুর উদ্দেশ্যে রওনা হন মিয়ানমারের নেত্রী সু চি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ২০ জনের একটি প্রতিনিধিদল। মংডুতে পৌঁছে সড়কপথে রোহিঙ্গাদের এলাকায় যান তিনি। এসময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় জড়ো হওয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

আরাকান প্রজেক্ট মনিটরিং গ্রুপের ক্রিস লিওয়া রয়টার্সকে বলেন, “সুচি শুধু তিনটি বিষয় বলেছেন। বিষয়গুলো হলো- তাদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে হবে, সরকার তাদের সহায়তা করবে এবং তারা যেন নিজেদের মধ্যে ঝাগড়া-বিবাদ না করেন।”

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর নির্বিচারে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ ঘটনাকে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের বাংলাদেশে প্রবেশের ঘটনাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট’ বলে উল্লেখ করেছে।