০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

খালেদার গাড়িবহর থেকে ছাত্রদল নেতা আটক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যাওয়ার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছন থেকে হাসান মাহমুদ নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবের সামনে কদমপোয়াড়ার মোড় থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। হাসান মাহমুদ নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদস্য।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এর আগে ৬ নভেম্বর (সোমবার) জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জমিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন। বুধবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূইয়া। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, এ মামলায় ২০০৮ সালে খালেদা জিয়া জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। কিন্তু দুদককে তখন পক্ষভূক্ত করা হয়নি। সম্প্রতি পক্ষভূক্ত হতে দুদক আবেদন করার পর হাইকোর্ট তা মঞ্জুর করে।
পরে এ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল মঞ্জুর করেন আদালত। অর্থাৎ এ মামলায় খালেদা জিয়া স্থায়ী জামিন পেয়েছেন। তবে জামিনের অপব্যবহার করলে বিচারিক আদালত তার জামিন বাতিল করতে পারবে। দুদকের আইনজীবী খোরশেদ আলম জানিছেন, হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ। ফলে নিম্ন আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই।
খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী বদরুদ্দোজা বাদল জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর আমরা নিয়মিত আপিল আবেদন করব।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়

ট্যাগ :

খালেদার গাড়িবহর থেকে ছাত্রদল নেতা আটক

প্রকাশিত : ০২:০৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যাওয়ার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছন থেকে হাসান মাহমুদ নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবের সামনে কদমপোয়াড়ার মোড় থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। হাসান মাহমুদ নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদস্য।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এর আগে ৬ নভেম্বর (সোমবার) জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জমিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন। বুধবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূইয়া। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, এ মামলায় ২০০৮ সালে খালেদা জিয়া জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। কিন্তু দুদককে তখন পক্ষভূক্ত করা হয়নি। সম্প্রতি পক্ষভূক্ত হতে দুদক আবেদন করার পর হাইকোর্ট তা মঞ্জুর করে।
পরে এ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল মঞ্জুর করেন আদালত। অর্থাৎ এ মামলায় খালেদা জিয়া স্থায়ী জামিন পেয়েছেন। তবে জামিনের অপব্যবহার করলে বিচারিক আদালত তার জামিন বাতিল করতে পারবে। দুদকের আইনজীবী খোরশেদ আলম জানিছেন, হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ। ফলে নিম্ন আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই।
খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী বদরুদ্দোজা বাদল জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর আমরা নিয়মিত আপিল আবেদন করব।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়