০৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

মেজর গণির ৬১তম মৃত্যুদিবস শনিবার

আগামী ১১ নভেম্বর শনিবার ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য মেজর এম এ গণি ৬১তম মৃত্যু দিবস।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বাঙ্গালী সৈন্যদের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে মেজর গণি তৎকালীন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কমান্ডের জেনারেল স্যার মেসারভিকে এক আবেদনপত্রে বাঙ্গালী মুসলমানদের নিয়ে একটি আলাদা রেজিমেন্ট গঠনের দাবি উপস্থাপন করেন।

তার এই যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সে সময় স্যার মেসারভি তা বাস্তবায়নে সহায়তা করেছিলেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাঁজা নাজিমউদ্দিনের কাছেও মেজর গণি বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে মেজর গণি ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অগ্রযাত্রা শুরু করেন।

১৯৫৭ সালে জার্মানী সফরকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর একপর্যায়ে মাত্র ৪২ বছর বয়সে ইহকাল ছেড়ে যান এই সাহসী ও সংগ্রামী সৈনিক।

তার মৃত্যু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মেজর গণি পরিষদ ও পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কুমিল্লা সেনানিবাসে তার সমাধিসৌধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠান প্রতি বছর পালিত হয়।

এরপর মেজর গণি পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ এবং পরিষদের পক্ষ থেকে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর হামলা করা আরিফ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

মেজর গণির ৬১তম মৃত্যুদিবস শনিবার

প্রকাশিত : ১০:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭

আগামী ১১ নভেম্বর শনিবার ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য মেজর এম এ গণি ৬১তম মৃত্যু দিবস।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বাঙ্গালী সৈন্যদের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে মেজর গণি তৎকালীন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কমান্ডের জেনারেল স্যার মেসারভিকে এক আবেদনপত্রে বাঙ্গালী মুসলমানদের নিয়ে একটি আলাদা রেজিমেন্ট গঠনের দাবি উপস্থাপন করেন।

তার এই যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সে সময় স্যার মেসারভি তা বাস্তবায়নে সহায়তা করেছিলেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাঁজা নাজিমউদ্দিনের কাছেও মেজর গণি বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে মেজর গণি ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অগ্রযাত্রা শুরু করেন।

১৯৫৭ সালে জার্মানী সফরকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর একপর্যায়ে মাত্র ৪২ বছর বয়সে ইহকাল ছেড়ে যান এই সাহসী ও সংগ্রামী সৈনিক।

তার মৃত্যু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মেজর গণি পরিষদ ও পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কুমিল্লা সেনানিবাসে তার সমাধিসৌধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠান প্রতি বছর পালিত হয়।

এরপর মেজর গণি পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ এবং পরিষদের পক্ষ থেকে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।