অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চার্জ সাধারণভাবে এজেন্টের অংশ, মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রোভাইডারের ইউএসএসডি মূল্য এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অংশ -এ তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে ইউএসএসডি মূল্য এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অংশ কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। এ দুটি চার্জ কমানো সম্ভব হলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার চার্জ কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) তথা মোবাইল ব্যাংকিংকে জনপ্রিয় ও সম্প্রসারণ করার জন্য সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, ব্যাংকগুলোর ঋণযোগ্য তহবিল বৃদ্ধি পাওয়ায় বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই সরকারের ঋণ গ্রহণের ফলে বেসরকারি বিনিয়োগে ঋণ প্রবাহ ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠ নয় বলে প্রতীয়মান হয়। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের অব্যাহত সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গতিশীলতা সৃষ্টি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বিগত বছরগুলোতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঋণের এ প্রবৃদ্ধি দেশের বেসরকারি খাতের উৎপাদনমুখী উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়ন এবং কাঙ্খিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।




















