০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুন্দরবনে ‘কথিত’ বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বলেশ্বর নদের কাতলার খাল এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘কথিত’ বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছে। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব জানায়, নিহত ইউসুফ ফকির (৩৪) ছিল আব্বাস বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। নিহত আরেকজন হলো সক্রিয় সদস্য রুহুল আমিন।

র‌্যাব বরিশাল-৮ এর উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীব জানান, সুন্দরবনের কাতলার খাল এলাকায় একদল জলদস্যু ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন খবর পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে সুন্দরবনে অভিযান শুরু করে। বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা সেখানে পৌঁছালে বনের মধ্যে থেকে দস্যুরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। আধা ঘণ্টা ধরে গোলাগুলির এক পর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটলে বন তল্লাশি করে আব্বাস বাহিনীর দুই দস্যুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দস্যুদের সাতটি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, জলদস্যু আব্বাস বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় জেলেদের নৌকা ও ট্রলারে ডাকতি করে জাল ও মাছ লুট এবং জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। ওই দস্যু বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ আছে।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিহত দস্যুর মরদেহ এবং অস্ত্র ও গুলি শরণখোলা থানা পুলিশে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

সুন্দরবনে ‘কথিত’ বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২

প্রকাশিত : ০১:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বলেশ্বর নদের কাতলার খাল এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘কথিত’ বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছে। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব জানায়, নিহত ইউসুফ ফকির (৩৪) ছিল আব্বাস বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। নিহত আরেকজন হলো সক্রিয় সদস্য রুহুল আমিন।

র‌্যাব বরিশাল-৮ এর উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীব জানান, সুন্দরবনের কাতলার খাল এলাকায় একদল জলদস্যু ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন খবর পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে সুন্দরবনে অভিযান শুরু করে। বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা সেখানে পৌঁছালে বনের মধ্যে থেকে দস্যুরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। আধা ঘণ্টা ধরে গোলাগুলির এক পর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটলে বন তল্লাশি করে আব্বাস বাহিনীর দুই দস্যুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দস্যুদের সাতটি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, জলদস্যু আব্বাস বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় জেলেদের নৌকা ও ট্রলারে ডাকতি করে জাল ও মাছ লুট এবং জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। ওই দস্যু বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ আছে।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিহত দস্যুর মরদেহ এবং অস্ত্র ও গুলি শরণখোলা থানা পুলিশে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।