০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

দাগনভূঞায় সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

দাগনভূঞা উপজেলার কৃষকদের সূর্যমুখী চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগে বছরেরও এক-তৃতীয়াংশ সময় পতিত থাকত তাদের জমি। সেখানে সূর্যমুখী চাষ করে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছেন কৃষকরা। অর্থকরী ফসল হিসেবে সূর্যমুখী একটি লাভজনক ফসল। এ জনপদের কৃষকরা আগে জানত না কিভাবে চাষ করা হয়। কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এ বছর উপজেলায় প্রণোদনা ৪৫ ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ০১ হেক্টর সহ সর্বমোট ৪৬ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। ওইসব বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে এখন সূর্যমুখীর সমারোহ। কেউ ফসল তুলছেন, কেউ বা ক্ষেতের পরিচর্যা করছেন। বেশিরভাগ ক্ষেতের ফলন তোলার কাজ শেষ হয়ে গেছে। মাটি ও আবহাওয়ায় অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন সূর্যমুখী চাষিরা। এতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ফলন হওয়ায় চাষিরা ফসল ঘরে তোলার কথা ভাবছেন। বাজারে দাম বেশি হওয়ায় লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা। কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রতি একর জমিতে সূর্যমুখীর ফলন হয় ২০ থেকে ২৪ মণ। এর থেকে তেল পাওয়া যায় প্রায় ১২ মণ। প্রতি কেজি তেল বাজারে ৩৫০-৪০০ টাকা দামে বিক্রি করা যায়। সূর্যমুখীর তেল ছাড়াও খৈল দিয়ে মাছের খাবার এবং গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর কোনো অংশই ফেলা যায় না। উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গ্রামের কৃষক মো. সোহাগ বলেন, গত বছর সূর্যমুখীর চাষ করে সফল হয়েছি। তাই এ বছরও চার একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। ফলন অনেক ভালো। আশা করছি, গত বছরের মতো এ বছরও লাভবান হতে পারবো। দাগনভূঞা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের চাঁদপুর গ্রামের সূর্যমুখী চাষি ইকবাল হোসেন এক একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে সন্তুষ্ট। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, এবার দাগনভূঞা পৌর এলাকায় ৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মারুপ বলেন, পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নে এ বছর ৬ হেক্টর পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী চাষটি করতে বলেছি। এখন কৃষকদের মাঝে একটি আশার আলো সঞ্চার হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এই পতিত জমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় আনা। এখন চাষিদের মধ্যে আগ্রহ জন্মেছে। তাছাড়া সূর্যমুখী অত‌্যন্ত লাভজনক তেলজাতীয় ফসল। কৃষকরা সরিষা আবাদে যেমন লাভবান হয়, সূর্যমুখীতে তার চেয়ে বেশি লাভবান হবে। আশা করি, আগামীতে সূর্যমুখীর আবাদ অনেক বৃদ্ধি পাবে। এ ব্যাপারে দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, গত কয়েক বছর ধরে দাগনভূঞায় সূর্যমুখীর আবাদ শুরু হয়েছে।

ট্যাগ :

দাগনভূঞায় সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

প্রকাশিত : ১০:২৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

দাগনভূঞা উপজেলার কৃষকদের সূর্যমুখী চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগে বছরেরও এক-তৃতীয়াংশ সময় পতিত থাকত তাদের জমি। সেখানে সূর্যমুখী চাষ করে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছেন কৃষকরা। অর্থকরী ফসল হিসেবে সূর্যমুখী একটি লাভজনক ফসল। এ জনপদের কৃষকরা আগে জানত না কিভাবে চাষ করা হয়। কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এ বছর উপজেলায় প্রণোদনা ৪৫ ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ০১ হেক্টর সহ সর্বমোট ৪৬ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। ওইসব বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে এখন সূর্যমুখীর সমারোহ। কেউ ফসল তুলছেন, কেউ বা ক্ষেতের পরিচর্যা করছেন। বেশিরভাগ ক্ষেতের ফলন তোলার কাজ শেষ হয়ে গেছে। মাটি ও আবহাওয়ায় অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন সূর্যমুখী চাষিরা। এতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ফলন হওয়ায় চাষিরা ফসল ঘরে তোলার কথা ভাবছেন। বাজারে দাম বেশি হওয়ায় লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা। কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রতি একর জমিতে সূর্যমুখীর ফলন হয় ২০ থেকে ২৪ মণ। এর থেকে তেল পাওয়া যায় প্রায় ১২ মণ। প্রতি কেজি তেল বাজারে ৩৫০-৪০০ টাকা দামে বিক্রি করা যায়। সূর্যমুখীর তেল ছাড়াও খৈল দিয়ে মাছের খাবার এবং গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর কোনো অংশই ফেলা যায় না। উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গ্রামের কৃষক মো. সোহাগ বলেন, গত বছর সূর্যমুখীর চাষ করে সফল হয়েছি। তাই এ বছরও চার একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। ফলন অনেক ভালো। আশা করছি, গত বছরের মতো এ বছরও লাভবান হতে পারবো। দাগনভূঞা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের চাঁদপুর গ্রামের সূর্যমুখী চাষি ইকবাল হোসেন এক একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে সন্তুষ্ট। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, এবার দাগনভূঞা পৌর এলাকায় ৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মারুপ বলেন, পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নে এ বছর ৬ হেক্টর পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী চাষটি করতে বলেছি। এখন কৃষকদের মাঝে একটি আশার আলো সঞ্চার হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এই পতিত জমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় আনা। এখন চাষিদের মধ্যে আগ্রহ জন্মেছে। তাছাড়া সূর্যমুখী অত‌্যন্ত লাভজনক তেলজাতীয় ফসল। কৃষকরা সরিষা আবাদে যেমন লাভবান হয়, সূর্যমুখীতে তার চেয়ে বেশি লাভবান হবে। আশা করি, আগামীতে সূর্যমুখীর আবাদ অনেক বৃদ্ধি পাবে। এ ব্যাপারে দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, গত কয়েক বছর ধরে দাগনভূঞায় সূর্যমুখীর আবাদ শুরু হয়েছে।