০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

দিনাজপুরে চৈত্র সংক্রান্তি তিথিতে অনুষ্ঠিত হলো শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী চরক মেলা

দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪নং শেখপুরা ইউনিয়নের উত্তর গোপালপুর শ্রী শ্রী দূগা-শিব মন্দির কমিটির আয়োজনে মন্দির সংলগ্ন মাঠে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে চৈত্র সংক্রান্তি তিথি শুভলগ্নে শত বৎসরের ঐতিহ্যবহী চড়ক মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবছরের মতো এবারেও চড়ক মেলাকে সামনে রেখে এবং চৈত্র সংক্রান্তি তিথিকে মন্দিরে পূজা অর্চনা এবং গ্রামীণ মেলা ও আনন্দ উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো। এতে মাটির পুতুল, খেলনা, চুড়ি-শাখা-সিদুরসহ নানা ধরনের বাঙালী সংস্কৃতি জড়ানো মুখরোচক খাবার দোকান বসে। সেখানে মহিলা পুরুষ শিশুরা বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খায় এবং আনন্দ করে। গোধুলী লগ্নে চরকির ঘুরার জন্য আসে ঠাকুর সন্টুরাম রায়।
তার পিঠে একটা বড় বড়শি গেঁথে তার সাথে আরোও ৩জন যুবক চরকিতে ঘুরতে শুরু হয়। উপস্থিত নারীরা শঙ্খ-উলুধ্বনি দিতে থাকে। মেলার আয়োজক দূর্গা-শিব মন্দির কমিটির সভাপতি অজিত কুমার অধিকারী, সহ-সভাপতি ননি গোপাল রায়, সাধারণ সম্পাদক মিহির কুমার রায় ও কোষাধ্যক্ষ অমরেশ রায় (আপন) জানায়, একশত বছর পূর্বে এই চড়ক মেলা শুরু হয়েছিলো বলে আমাদের বাবা-দাদারা বলে গেছেন। এটি চৈত্র সংক্রান্তি তিথীতে হয় বলে হিন্দু ভক্তরা পূজা অর্চনা এবং কালী পূজা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। একদিনের চড়ক মেলায় দোকান-পাট যারা বসায় তাদের যৎসামান্য অর্থ এবং স্থানীয় লোকজন ও কমিটির সদস্যদের অর্থের দ্বারা এই মেলা পরিচালিত হয়ে আসছে। সরকার এই মেলায় পৃষ্ঠপোষকতা করলে আরোও ব্যাপকভাবে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। স্থানীয় প্রশাসন এর হস্তক্ষেপ বর্তমানে মেলা উদযাপনের ক্ষেত্রে জরুরী হয়ে পড়েছে। মেলার সার্বিক তত্ত¡াবধায়নে ছিলেন কমিটির সদস্য মহিন্দ্র, স্বাধীন, প্রিয়নাথ, ছচিন ও পরিমল।
ট্যাগ :

দিনাজপুরে চৈত্র সংক্রান্তি তিথিতে অনুষ্ঠিত হলো শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী চরক মেলা

প্রকাশিত : ০৮:২৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪নং শেখপুরা ইউনিয়নের উত্তর গোপালপুর শ্রী শ্রী দূগা-শিব মন্দির কমিটির আয়োজনে মন্দির সংলগ্ন মাঠে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে চৈত্র সংক্রান্তি তিথি শুভলগ্নে শত বৎসরের ঐতিহ্যবহী চড়ক মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবছরের মতো এবারেও চড়ক মেলাকে সামনে রেখে এবং চৈত্র সংক্রান্তি তিথিকে মন্দিরে পূজা অর্চনা এবং গ্রামীণ মেলা ও আনন্দ উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো। এতে মাটির পুতুল, খেলনা, চুড়ি-শাখা-সিদুরসহ নানা ধরনের বাঙালী সংস্কৃতি জড়ানো মুখরোচক খাবার দোকান বসে। সেখানে মহিলা পুরুষ শিশুরা বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খায় এবং আনন্দ করে। গোধুলী লগ্নে চরকির ঘুরার জন্য আসে ঠাকুর সন্টুরাম রায়।
তার পিঠে একটা বড় বড়শি গেঁথে তার সাথে আরোও ৩জন যুবক চরকিতে ঘুরতে শুরু হয়। উপস্থিত নারীরা শঙ্খ-উলুধ্বনি দিতে থাকে। মেলার আয়োজক দূর্গা-শিব মন্দির কমিটির সভাপতি অজিত কুমার অধিকারী, সহ-সভাপতি ননি গোপাল রায়, সাধারণ সম্পাদক মিহির কুমার রায় ও কোষাধ্যক্ষ অমরেশ রায় (আপন) জানায়, একশত বছর পূর্বে এই চড়ক মেলা শুরু হয়েছিলো বলে আমাদের বাবা-দাদারা বলে গেছেন। এটি চৈত্র সংক্রান্তি তিথীতে হয় বলে হিন্দু ভক্তরা পূজা অর্চনা এবং কালী পূজা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। একদিনের চড়ক মেলায় দোকান-পাট যারা বসায় তাদের যৎসামান্য অর্থ এবং স্থানীয় লোকজন ও কমিটির সদস্যদের অর্থের দ্বারা এই মেলা পরিচালিত হয়ে আসছে। সরকার এই মেলায় পৃষ্ঠপোষকতা করলে আরোও ব্যাপকভাবে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। স্থানীয় প্রশাসন এর হস্তক্ষেপ বর্তমানে মেলা উদযাপনের ক্ষেত্রে জরুরী হয়ে পড়েছে। মেলার সার্বিক তত্ত¡াবধায়নে ছিলেন কমিটির সদস্য মহিন্দ্র, স্বাধীন, প্রিয়নাথ, ছচিন ও পরিমল।