০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিশুদের সমস্যা সমাধান করতে হবে

  • সিলেট ব্যুরো
  • প্রকাশিত : ০৪:২৫:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৭
  • 153

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম বলেছেন, আজকের শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাই তাদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তুলার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সম্ভব। সরকার ও শিশুদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের পাশাপাশি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য কাজ করছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শ্রমজীবী শিশুদের যাবতীয় সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখতে হবে।

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, সিলেট-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, সিলেট-এর উপমহাপরিদর্শক মো. আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভা বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আজম খান, পুলিশের ডিআইজি (সিলেট রেঞ্জ) মো. কামরুল আহসান বিপিএম , সমাজসেবা কার্যালয়, সিলেট-এর উপপরিচালক নিবাস রঞ্জন দাশ, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় পরিচালক তাহমিনা খাতুন, সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. কমল রতন সাহা, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আকমল খান, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সঞ্চিতা কর্মকার, ব্র্যাকের এরিয়া ম্যানেজার মলয় কুমার সাহা, মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, মো. আলিউল আজিম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মো. রুহুল আলম, ইউনিসেফের সাইদ মিলকী, সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ মালিক, সিলেট জেলা মটর মেকানিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. এমাদ উদ্দিন প্রমুখ।

সভায় শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে মোছা. রাজিবুন নেছাকে নগদ ১ লাখ টাকা এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অধ্যয়নরত মো. আফজাল হোসাইনকে নগদ ত্রিশ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম।

এছাড়া সভায় শ্রমজীবী শিশুদের ব্যাপারে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। ১৮ বছরের নিচে কোনো শিশু যাতে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িত না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানানো হয়। ঝুঁকিপূর্ণ চারটি সেক্টর শিশুশ্রম মুক্তকরণ, শিশুশ্রমিকের তালিকা প্রণয়ন, তাদের পুনর্বাসনে সরকারি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা, কারিগরি শিক্ষায় অন্তর্ভূক্তিকরণ ও ভাতার ব্যবস্থা এবং তাদের পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় আনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।

ট্যাগ :

শিশুদের সমস্যা সমাধান করতে হবে

প্রকাশিত : ০৪:২৫:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম বলেছেন, আজকের শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাই তাদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তুলার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সম্ভব। সরকার ও শিশুদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের পাশাপাশি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য কাজ করছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শ্রমজীবী শিশুদের যাবতীয় সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখতে হবে।

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, সিলেট-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, সিলেট-এর উপমহাপরিদর্শক মো. আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভা বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আজম খান, পুলিশের ডিআইজি (সিলেট রেঞ্জ) মো. কামরুল আহসান বিপিএম , সমাজসেবা কার্যালয়, সিলেট-এর উপপরিচালক নিবাস রঞ্জন দাশ, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় পরিচালক তাহমিনা খাতুন, সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. কমল রতন সাহা, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আকমল খান, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সঞ্চিতা কর্মকার, ব্র্যাকের এরিয়া ম্যানেজার মলয় কুমার সাহা, মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, মো. আলিউল আজিম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মো. রুহুল আলম, ইউনিসেফের সাইদ মিলকী, সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ মালিক, সিলেট জেলা মটর মেকানিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. এমাদ উদ্দিন প্রমুখ।

সভায় শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে মোছা. রাজিবুন নেছাকে নগদ ১ লাখ টাকা এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অধ্যয়নরত মো. আফজাল হোসাইনকে নগদ ত্রিশ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম।

এছাড়া সভায় শ্রমজীবী শিশুদের ব্যাপারে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। ১৮ বছরের নিচে কোনো শিশু যাতে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িত না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানানো হয়। ঝুঁকিপূর্ণ চারটি সেক্টর শিশুশ্রম মুক্তকরণ, শিশুশ্রমিকের তালিকা প্রণয়ন, তাদের পুনর্বাসনে সরকারি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা, কারিগরি শিক্ষায় অন্তর্ভূক্তিকরণ ও ভাতার ব্যবস্থা এবং তাদের পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় আনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।