বাসা-বাড়ি-অফিসের মশা কিংবা লার্ভা নিধনে টাকা নেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এতদিন বিনামূল্য মশককর্মীরা এ কাজটি করলেও এখন থেকে আর এই সুবিধা পাবেন না বাড়ির মালিকরা।
বুধবার (১ জুলাই) বিকেলে ডিএসসিসির নগর ভবনে অনলাইনের মাধ্যমে মশার প্রজননস্থলে ফি-এর বিনিময়ে কীটনাশক ছিটানো সেবা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করার সময় ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।
কোনো ভবনে মশার লার্ভা থাকলে তা নিধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিককে সিটি করপোরেশনে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার তিনদিনের মধ্যে সিটি করপোরেশন লার্ভা নিধন করবে।
যাদের তিন কাঠা জমিতে এক ইউনিট বাড়ি (৫ তলা পর্যন্ত) আছে তাদের গুণতে হবে ২ হাজার টাকা, তিন থেকে পাঁচ কাঠা জমির ওপর ভবন বা বাড়ির জন্য প্রতি তলায় গুণতে হবে ২৫০০ টাকা। পাঁচ থেকে ১০ কাঠা জমিতে ১০ তলা পর্যন্ত বাড়ির জন্য প্রতি ফ্লোরে দিতে হবে ৩৫০০ টাকা, ১০ তলার ওপরে প্রতি ফ্লোরে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া বাণিজ্যিক ভবনের জন্য প্রতি ফ্লোরে দিতে হবে ৮ হাজার টাকা।
ডিএসসিসি মেয়র এ বিষয়ে বলেন, ‘কারও বাসা-বাড়িতে মশার লার্ভা বা বিস্তারক্ষেত্র রয়েছে কি না তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তাই কোনো বাড়িতে মশার লার্ভা থাকলে অনলাইনে আবেদন করে আমাদের জানাতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর মশা নিধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
মেয়র আশা প্রকাশ করেন এর মাধ্যমে তিনি ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু মশার প্রকোপ থেকে মুক্তি দিতে পারবেন।
মেয়র বলেন, ‘মশার লার্ভা থাকায় অনেক বাসা-বাড়িতে মোবাইল কোর্ট গিয়ে বাড়ির মালিককে জরিমানা করেন। নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে লার্ভা নিধন হলে জরিমানা থেকে বাড়ির মালিক রেহাই পাবেন। এছাড়া খরচও অনেক কম হবে।’
অনুষ্ঠানে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, সচিব আকরামুজ্জামানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর