০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বশেমুরবিপ্রবি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি; তদন্ত কমিটি গঠন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (বশেমুরবিপ্রবি) লাইব্রেরি থেকে কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে।বিশ্ববিদ্যালয়েরর একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগার (কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার) থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

আজ (সোমবার) বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ সাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে আইন অনুষদের ডিন মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহিম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এস এম এস্কান্দার আলী, প্রক্টর ড. মোঃ রাজিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরীয়ান মোঃ নাছিরুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ (সদস্য সচিব)।

তদন্ত কমিটিকে চুরির ঘটনার পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত গার্ডদের মধ্যে যারা অনুপস্থিত ছিলেন তাদের অনুনোমোদিত ছুটিতে থাকার বিষয়টিও তদন্ত করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, রেজিস্ট্রার সাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে উক্ত তদন্ত কমিটিকে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নিকট জমা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে গত রবিবার রাতে রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ জানান, ঈদের ছুটি শেষে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবগত হয়। এসময় দেখা যায়, গ্রন্থাগারের পেছনের দিকের জানালা ভেঙে কম্পিউটারগুলো চুরি করা হয়।

চুরির বিষয়ে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, চুরির বিষয়ে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। সিসিটিভিতে ২৭ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ঘটা, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এসময়ে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। আর এর আগে ২০ তারিখ উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) মহোদয় গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেছিলেন। তখনও সকল কম্পিউটার যথাস্থানে ছিলো। তাই আমরা ধারণা করছি ২০ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।”

এ বিষয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো:মাহবুবুল আলম বলেন, ‘গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রদত্ত চুরিকৃত কম্পিউটারের সংখ্যার তথ্যে কিছু ত্রুটি ছিলো। আজ সকালে লাইব্রেরিয়ানসহ অন্যান্যরা সরেজমিনে পরিদর্শনের পর নিশ্চিত হয়েছেন মোট ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

বশেমুরবিপ্রবি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি; তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত : ০৫:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (বশেমুরবিপ্রবি) লাইব্রেরি থেকে কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে।বিশ্ববিদ্যালয়েরর একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগার (কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার) থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

আজ (সোমবার) বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ সাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে আইন অনুষদের ডিন মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহিম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এস এম এস্কান্দার আলী, প্রক্টর ড. মোঃ রাজিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরীয়ান মোঃ নাছিরুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ (সদস্য সচিব)।

তদন্ত কমিটিকে চুরির ঘটনার পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত গার্ডদের মধ্যে যারা অনুপস্থিত ছিলেন তাদের অনুনোমোদিত ছুটিতে থাকার বিষয়টিও তদন্ত করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, রেজিস্ট্রার সাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে উক্ত তদন্ত কমিটিকে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নিকট জমা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে গত রবিবার রাতে রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ জানান, ঈদের ছুটি শেষে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবগত হয়। এসময় দেখা যায়, গ্রন্থাগারের পেছনের দিকের জানালা ভেঙে কম্পিউটারগুলো চুরি করা হয়।

চুরির বিষয়ে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, চুরির বিষয়ে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। সিসিটিভিতে ২৭ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ঘটা, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এসময়ে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। আর এর আগে ২০ তারিখ উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) মহোদয় গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেছিলেন। তখনও সকল কম্পিউটার যথাস্থানে ছিলো। তাই আমরা ধারণা করছি ২০ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।”

এ বিষয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো:মাহবুবুল আলম বলেন, ‘গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রদত্ত চুরিকৃত কম্পিউটারের সংখ্যার তথ্যে কিছু ত্রুটি ছিলো। আজ সকালে লাইব্রেরিয়ানসহ অন্যান্যরা সরেজমিনে পরিদর্শনের পর নিশ্চিত হয়েছেন মোট ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর