বেরোবি প্রতিনিধি 
চেক জালিয়াতির মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অর্থ ও হিসাব শাখার সহকারী পরিচালক রিয়াজুল ইসলামকে ছয় মাসের জেল ও সাত লাখ টাকা জরিমানা করেছে রংপুর আদালত। বিজ্ঞ আদালত সাক্ষী প্রমাণ ও শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক এস এম আহসানুল হক এ রায় দেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজ আহমেদ বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সিরাজুল ইসলাম মিঠুর কাছ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা ধার নিয়ে দলিল হিসেবে একটি চেক দেন। পরে টাকা পরিশোধে টালবাহানা করতে থাকে এবং তার দেওয়া চেকটি ব্যাংক থেকে ডিজঅনার হয়। এই পরিস্থিতিতে চেক জালিয়াতির মামলা করেন মিঠু।
রায়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলামকে অর্থদন্ড ও কারাদন্ড উভয় দন্ডে দন্ডিত করেন আদালত। রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। অপরদিকে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী।
মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘বিবাদী (রিয়াজুল ইসলাম) তিন বছর আগে আমার কাছে সাড়ে সাত লাখ টাকা নিয়েছে। টাকা ফেরত না দিয়ে তিনি আমাকে চেক দিয়েছিল। চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে সেখানে কোন টাকা পাই নাই। তাকে এ বিষয়ে বললে তিনি আমাকে উল্টা-পাল্টা বলতে শুরু করেন। পরে আমি আইনের আশ্রয় নেই। মামলার খরচ বাবদ ইতোমধ্যে অনেক টাকা চলে গেছে। তারপরেও আদালতের মাধ্যমে রায় পেয়েছি। এটাই অনেক।
এদিকে মামলার বিষয়টি গোপন রেখে চাকরিতে বহাল ও পদোন্নতি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র ও জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, ‘এতদিন ওই মামলার বিষয়টি অজানা ছিল। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, ‘আইনের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শতভাগ শ্রদ্ধাশীল। বিষয়টি পর্যালোচনা করে শীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর
