১১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুষ্টিয়ায় ৩ শতাধিক ইট ভাটার লাইসেন্স নেই

কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলায় প্রায় ৩ শতাধিক ইট ভাটা থাকলেও একটিরও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবাধে চলছে ওই সব ইট ভাটায় ইট পোড়ানো মহাৎসব। এরই মধ্যে দৌলতপুর উপজেলায় কয়েকটি ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করা হলেও অন্যরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা, মিরপুর, ভেড়ামারা, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় প্রকাশে ইট ভাটায় আবাদী জমির মাটি কেটে এবং কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হলেও এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসছে না।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ইট ভাটা মালিক জানান, তারা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মোটা অংকের আর্থিক চুক্তি করেই ইট পুড়াতে সক্ষম হয়েছে। তারা আরো জানান, ইট পুড়ানো সিজেন এলেই হাই কোটে একটি রিট করে । ওই রিটের সুত্র ধরেই তারা প্রশাসনের সাথে দেন দরবার করে চুক্তিতেই ইট পুড়াচ্ছে। প্রতি বছর একই ভাবে চলছে ইট পুরানোর উৎসব।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলাসহ সব কয়টি উপজেলায় ইটভাটায় নির্বিচারে পোরানো হচ্ছে কাঠ। আইন ও সরকারি বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করেই আবাদি জমির পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়কারী এসব ভাটা। ভাটা গুলোতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষি জমির উর্বর মাটি। আর এ সব ভাটায় সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগানের কাঠ অবাধে পুরানো হচ্ছে।
কয়লার পরিবর্তে গাছের বড় বড় গুলি পুড়িয়ে ভাটা চালাচ্ছে মালিকরা। সরকারি ভাবে গাছ পুরানো নিষিদ্ধ থাকলেও তারা ওই সব আইনকে তোয়াক্কা করছেন না। কিছু কিছু ইট ভাটায় আবার গাছের বড় বড় গুলি ফারাই করার জন্য স মিল পর্যন্ত স্থাপন করেছে। সেখানে কাঠ চিরাই করে ভাটায় পুরানো হচ্ছে। এত কিছুর পরেও স্থানীয় প্রশাসন নিরব। মিরপুর উপজেলার মশান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বারখাদা, জুগিয়া, গড়াই নদীর ধার, হরিনারায়নপুর, লক্ষিপুর, কুমারখালির রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই ইট ভাটার দৃশ্য নজরে পড়ে। এসব জায়গায় স্থানীয় প্রশানের চোখ রয়েছে বন্ধ।
ইট ভাটা সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা হলে তারা জানান, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

কুষ্টিয়ায় ৩ শতাধিক ইট ভাটার লাইসেন্স নেই

প্রকাশিত : ১২:০১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলায় প্রায় ৩ শতাধিক ইট ভাটা থাকলেও একটিরও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবাধে চলছে ওই সব ইট ভাটায় ইট পোড়ানো মহাৎসব। এরই মধ্যে দৌলতপুর উপজেলায় কয়েকটি ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করা হলেও অন্যরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা, মিরপুর, ভেড়ামারা, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় প্রকাশে ইট ভাটায় আবাদী জমির মাটি কেটে এবং কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হলেও এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসছে না।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ইট ভাটা মালিক জানান, তারা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মোটা অংকের আর্থিক চুক্তি করেই ইট পুড়াতে সক্ষম হয়েছে। তারা আরো জানান, ইট পুড়ানো সিজেন এলেই হাই কোটে একটি রিট করে । ওই রিটের সুত্র ধরেই তারা প্রশাসনের সাথে দেন দরবার করে চুক্তিতেই ইট পুড়াচ্ছে। প্রতি বছর একই ভাবে চলছে ইট পুরানোর উৎসব।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলাসহ সব কয়টি উপজেলায় ইটভাটায় নির্বিচারে পোরানো হচ্ছে কাঠ। আইন ও সরকারি বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করেই আবাদি জমির পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়কারী এসব ভাটা। ভাটা গুলোতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষি জমির উর্বর মাটি। আর এ সব ভাটায় সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগানের কাঠ অবাধে পুরানো হচ্ছে।
কয়লার পরিবর্তে গাছের বড় বড় গুলি পুড়িয়ে ভাটা চালাচ্ছে মালিকরা। সরকারি ভাবে গাছ পুরানো নিষিদ্ধ থাকলেও তারা ওই সব আইনকে তোয়াক্কা করছেন না। কিছু কিছু ইট ভাটায় আবার গাছের বড় বড় গুলি ফারাই করার জন্য স মিল পর্যন্ত স্থাপন করেছে। সেখানে কাঠ চিরাই করে ভাটায় পুরানো হচ্ছে। এত কিছুর পরেও স্থানীয় প্রশাসন নিরব। মিরপুর উপজেলার মশান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বারখাদা, জুগিয়া, গড়াই নদীর ধার, হরিনারায়নপুর, লক্ষিপুর, কুমারখালির রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই ইট ভাটার দৃশ্য নজরে পড়ে। এসব জায়গায় স্থানীয় প্রশানের চোখ রয়েছে বন্ধ।
ইট ভাটা সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা হলে তারা জানান, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।